ছিটমহলবাসীর ইচ্ছাতেই নাগরিকত্ব নির্ধারণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা |
বাংলাদেশ
ও ভারতের ছিটমহলে বসবাসকারীদের নাগরিকত্ব নির্ধারণে নাগরিকদের ইচ্ছাকেই
প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন
ভূইঞা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে
ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের যে প্রস্তাব
অনুমোদন হয়েছে, তাতে এ কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহল যে দেশে অবস্থিত, বসবাসকারী নাগরিকেরা সেই দেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হচ্ছে, ছিটমহলটি যে দেশে অবস্থিত, বসবাসকারীরা সেই দেশেরই নাগরিক হতে চাইবেন। তবে, কেউ চাইলে তাঁদের পূর্ববর্তী দেশের নাগরিক হওয়ারও সুযোগ থাকবে।
সম্প্রতি ভারতের লোকসভায় ১৯৭৪ সালের স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন হয়। ওই বছরের ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে চুক্তিটি অনুমোদন হলেও ভারতের লোকসভায় তা অনুমোদন হয়নি।
২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে এ সংক্রান্ত প্রটোকল সই হয়। ভারতের লোকসভায় স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন না হওয়ায় প্রটোকলটি এত দিন কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি ভারতের লোকসভায় চুক্তিটি অনুমোদন হওয়ায় আজ বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় প্রটোকলটি অনুমোদন হয়েছে।
ছিটমহলে বসবাসরতদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে নাগরিক অভিপ্রায় প্রাধান্য পাবে—এমনটা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি ছিটমহলে মোট জমির পরিমাণ ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর। জনসংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৮৬ জন। অন্যদিকে, ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন সাত হাজার ১১০ দশমিক ২ একর। জনসংখ্যা ১৪ হাজার ৯০ জন। অর্থাৎ, বাংলাদেশ ছিটমহলের ১০ হাজার ৫০ দশমিক ৬১ একর জমি বেশি পাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেশির ভাগ জায়গা চিহ্নিত থাকলেও ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকা চিহ্নিত করা ছিল না। পঞ্চগড়, মৌলভীবাজার ও ফেনীর কিছু এলাকায় এই সীমানা এত দিন চিহ্নিত ছিল না। এ ছাড়া তিন বিঘা করিডোর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলেও জানান তিনি।
দুই দেশের অবৈধ দখলে থাকা জমি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ভারতের দখলে ছিল বাংলাদেশের ২ হাজার ২৬৭ দশমিক ৮৮ একর জমি। আর ভারতের জমি বাংলাদেশের দখলে ছিল ২ হাজার ৭৭৭ দশমিক ১৪ একর জমি। অর্থাৎ ৫০৯ দশমিক ২৬ একর বেশি জমি বাংলাদেশের দখলে ছিল। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের অনুমোদন চূড়ান্ত হয়েছে, এখন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন বাংলাদেশ সফরের সময় এ বিষয়টির অগ্রগতি হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহল যে দেশে অবস্থিত, বসবাসকারী নাগরিকেরা সেই দেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হচ্ছে, ছিটমহলটি যে দেশে অবস্থিত, বসবাসকারীরা সেই দেশেরই নাগরিক হতে চাইবেন। তবে, কেউ চাইলে তাঁদের পূর্ববর্তী দেশের নাগরিক হওয়ারও সুযোগ থাকবে।
সম্প্রতি ভারতের লোকসভায় ১৯৭৪ সালের স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন হয়। ওই বছরের ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে চুক্তিটি অনুমোদন হলেও ভারতের লোকসভায় তা অনুমোদন হয়নি।
২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে এ সংক্রান্ত প্রটোকল সই হয়। ভারতের লোকসভায় স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন না হওয়ায় প্রটোকলটি এত দিন কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি ভারতের লোকসভায় চুক্তিটি অনুমোদন হওয়ায় আজ বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় প্রটোকলটি অনুমোদন হয়েছে।
ছিটমহলে বসবাসরতদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে নাগরিক অভিপ্রায় প্রাধান্য পাবে—এমনটা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি ছিটমহলে মোট জমির পরিমাণ ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর। জনসংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৮৬ জন। অন্যদিকে, ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন সাত হাজার ১১০ দশমিক ২ একর। জনসংখ্যা ১৪ হাজার ৯০ জন। অর্থাৎ, বাংলাদেশ ছিটমহলের ১০ হাজার ৫০ দশমিক ৬১ একর জমি বেশি পাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেশির ভাগ জায়গা চিহ্নিত থাকলেও ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকা চিহ্নিত করা ছিল না। পঞ্চগড়, মৌলভীবাজার ও ফেনীর কিছু এলাকায় এই সীমানা এত দিন চিহ্নিত ছিল না। এ ছাড়া তিন বিঘা করিডোর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলেও জানান তিনি।
দুই দেশের অবৈধ দখলে থাকা জমি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ভারতের দখলে ছিল বাংলাদেশের ২ হাজার ২৬৭ দশমিক ৮৮ একর জমি। আর ভারতের জমি বাংলাদেশের দখলে ছিল ২ হাজার ৭৭৭ দশমিক ১৪ একর জমি। অর্থাৎ ৫০৯ দশমিক ২৬ একর বেশি জমি বাংলাদেশের দখলে ছিল। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের অনুমোদন চূড়ান্ত হয়েছে, এখন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন বাংলাদেশ সফরের সময় এ বিষয়টির অগ্রগতি হবে বলে জানান তিনি।
No comments