রামাদির কিছু এলাকা পুনর্দখল করল ইরাকি বাহিনী
ইরাকি
বাহিনী শনিবার আনবার প্রদেশের রাজধানী রামাদির পূর্বে ইসলামিক স্টেট
গ্রুপের কাছ থেকে কিছু এলাকা পুনর্দখল করেছে। কমান্ডাররা এ খবর জানান। এক
সপ্তাহ আগে আইএস রামাদি দখল করার পর এটি আইএসের বিরুদ্ধে ইরাকি বাহিনীর
প্রথম পাল্টা আক্রমণ। এ আক্রমণে ফোরাত উপত্যকাবর্তী শহর হুসাইবাহকে টার্গেট
করা হয়। শহরটি রামাদির ওপর যে কোনো আক্রমণ চালানোর জন্য কৌশলগতভাবে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের একজন কর্নেল সম্মুখ সমর থেকে এএফপিকে বলেন, রামাদির ৭
কিলোমিটার পূর্ববর্তী হুসাইবাহ মুক্ত করতে সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে।
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত হুসাইবাহ থানা এবং এর আশপাশের এলাকা মুক্ত করা হয়েছে। অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হচ্ছে।’ ওই এলাকার প্রধান উপজাতীয় বাহিনীর প্রধান শেখ রাফিয়া আবদেল করিম আল ফাহদাবি পাল্টা অভিযান শুরুর কথা নিশ্চিত করেন। আলবু ফাহদ উপজাতির প্রধান এএফপিকে বলেন, উপজাতীয় যোদ্ধাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে হুসাইবাহ পুনর্দখলের অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে এবং তারা এর মধ্যে বিরাট একটি এলাকা পুনর্দখল করে নিয়েছে। এএফপি
উদ্বাস্তুদের বাগদাদ প্রবেশে বাধা : ইরাকের রাজধানী বাগদাদ প্রবেশের প্রধান সেতুটি বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রামাদি থেকে আগত উদ্বাস্তুদের স্রোত ঠেকাতেই তারা বেজেবিজ সেতুটি বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। রোববার জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট আনবারের রাজধানী রামাদি দখল করে নেয়ার পর এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ওই শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে বেজেবিজ সেতুটি কেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ইরাকি কর্মকর্তারা আশংকা করছেন, জঙ্গিরা রামাদি থেকে আগত এসব শরণার্থীদের সঙ্গে মিশে বাগদাদ দখলের জন্য শহরে প্রবেশ করতে পারে। এদিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, তারা রামাদিতে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। ডব্লিউএফপি আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রায় ২৫ হাজার জনকে জরুরিভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আরও ১৫ হাজারের জন্য খাবার আসছে।
ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-আনবার প্রদেশের খালিদিয়া শহর মুক্ত করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর ফলে সেখান থেকে উগ্রবাদী আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পালাতে বাধ্য হয়েছে। কিছুদিন ধরে খালিদিয়া শহরটি আইএস সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এরপর তারা রামাদি শহর মুক্ত করার অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত এক বছর ধরে ইরাকের সরকারি বাহিনী এবং তাদের অন্যতম মিত্র মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা সত্ত্বেও ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস যোদ্ধাদের সামরিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তারা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করে প্রাচীন নগরী পামিরাও দখল করে নিয়েছে। ইরাকি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সালেহ আল মুতলাক শুক্রবার আইএসকে পরাজিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছেন।
এ সময় তিনি বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আইএস ইরাকের কোনো ‘স্থানীয় ইস্যু’ নয়।
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত হুসাইবাহ থানা এবং এর আশপাশের এলাকা মুক্ত করা হয়েছে। অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হচ্ছে।’ ওই এলাকার প্রধান উপজাতীয় বাহিনীর প্রধান শেখ রাফিয়া আবদেল করিম আল ফাহদাবি পাল্টা অভিযান শুরুর কথা নিশ্চিত করেন। আলবু ফাহদ উপজাতির প্রধান এএফপিকে বলেন, উপজাতীয় যোদ্ধাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে হুসাইবাহ পুনর্দখলের অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে এবং তারা এর মধ্যে বিরাট একটি এলাকা পুনর্দখল করে নিয়েছে। এএফপি
উদ্বাস্তুদের বাগদাদ প্রবেশে বাধা : ইরাকের রাজধানী বাগদাদ প্রবেশের প্রধান সেতুটি বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রামাদি থেকে আগত উদ্বাস্তুদের স্রোত ঠেকাতেই তারা বেজেবিজ সেতুটি বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। রোববার জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট আনবারের রাজধানী রামাদি দখল করে নেয়ার পর এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ওই শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে বেজেবিজ সেতুটি কেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ইরাকি কর্মকর্তারা আশংকা করছেন, জঙ্গিরা রামাদি থেকে আগত এসব শরণার্থীদের সঙ্গে মিশে বাগদাদ দখলের জন্য শহরে প্রবেশ করতে পারে। এদিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, তারা রামাদিতে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। ডব্লিউএফপি আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রায় ২৫ হাজার জনকে জরুরিভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আরও ১৫ হাজারের জন্য খাবার আসছে।
ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-আনবার প্রদেশের খালিদিয়া শহর মুক্ত করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর ফলে সেখান থেকে উগ্রবাদী আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পালাতে বাধ্য হয়েছে। কিছুদিন ধরে খালিদিয়া শহরটি আইএস সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এরপর তারা রামাদি শহর মুক্ত করার অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত এক বছর ধরে ইরাকের সরকারি বাহিনী এবং তাদের অন্যতম মিত্র মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা সত্ত্বেও ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস যোদ্ধাদের সামরিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তারা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করে প্রাচীন নগরী পামিরাও দখল করে নিয়েছে। ইরাকি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সালেহ আল মুতলাক শুক্রবার আইএসকে পরাজিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছেন।
এ সময় তিনি বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আইএস ইরাকের কোনো ‘স্থানীয় ইস্যু’ নয়।
No comments