নাছিরের ‘অনুসারী’ হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলেন তাঁরা
চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত তাপস |
চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের ‘অনুসারী’ হয়ে ছয় মাস পর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করেছেন ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের
বগিভিত্তিক সংগঠন ভার্সিটি এক্সপ্রেসের সদস্যরা। আজ সকাল সাড়ে দশটার দিকে
ক্যাম্পাসে ঢোকেন তাঁরা।
ছাত্রলীগের এই অংশটি আগে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের ফলে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের (বর্তমানে বিজয়) নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ভার্সিটি এক্সপ্রেস পক্ষের সঙ্গে বিজয় পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগের কর্মী তাপস সরকার খুন হওয়ার পর থেকে ভার্সিটি এক্সপ্রেস পক্ষ ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত ছিল। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভার্সিটি এক্সপ্রেস পক্ষের নেতা-কর্মীদের আসামি করে দুটি মামলা হয়েছিল। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তখন তাঁরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান।
এরপর বিভিন্ন সময়ে তাঁরা মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে হলে উঠিয়ে দিতে অনুরোধ করলেও সাড়া পাননি। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে এই পক্ষের নেতা-কর্মীরা আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পক্ষে যোগ দেন।
আজ সকালে নাছির পক্ষের নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপু ও নাজমুল হোসেইনের নেতৃত্বে ভার্সিটি এক্সপ্রেস পক্ষের প্রায় শতাধিক নেতা ক্যাম্পাসে ঢোকেন। এ সময় প্রতিপক্ষ বিজয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেন। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ভার্সিটি এক্সপ্রেস পক্ষের নেতা মিজানুর বিপুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র হয়ে আমরা প্রায় একশ ত্রিশজন নেতা-কর্মী ছয় মাস ধরে ক্যাম্পাসে আসতে পারিনি। নাছির ভাইয়ের উদ্যোগে অবশেষে ক্যাম্পাসে এসেছি। এখন থেকে আমরা নাছির ভাইয়ের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করব।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী এম এ খালেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাছির ভাই কয়েক দিন আগে আমাদের ডেকে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ ছাত্র ও যাদের নামে কোনো মামলা নেই তাদের হলে উঠিয়ে দিতে সহযোগিতা করতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের হলে উঠিয়ে দিয়েছি।’
তবে এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের বিজয় পক্ষের নেতা অমিত কুমার বসু ও সুমন মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি অপরাধের বিচারহীনতা আরেকটি অপরাধের জন্ম দেয়। আশা করি আমাদের অভিভাবকেরা বিষয়টি সযত্নে আমলে নেবেন। তাপস সরকারের খুনের সঙ্গে জড়িতরা যে প্রক্রিয়ায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে, এর পরবর্তী যেকোনো ঘটনার দায়ভার প্রশাসন ও তাদেরই নিতে হবে।’
ছাত্রলীগের এই অংশটি আগে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের ফলে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের (বর্তমানে বিজয়) নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ভার্সিটি এক্সপ্রেস পক্ষের সঙ্গে বিজয় পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগের কর্মী তাপস সরকার খুন হওয়ার পর থেকে ভার্সিটি এক্সপ্রেস পক্ষ ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত ছিল। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভার্সিটি এক্সপ্রেস পক্ষের নেতা-কর্মীদের আসামি করে দুটি মামলা হয়েছিল। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তখন তাঁরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান।
এরপর বিভিন্ন সময়ে তাঁরা মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে হলে উঠিয়ে দিতে অনুরোধ করলেও সাড়া পাননি। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে এই পক্ষের নেতা-কর্মীরা আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পক্ষে যোগ দেন।
আজ সকালে নাছির পক্ষের নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপু ও নাজমুল হোসেইনের নেতৃত্বে ভার্সিটি এক্সপ্রেস পক্ষের প্রায় শতাধিক নেতা ক্যাম্পাসে ঢোকেন। এ সময় প্রতিপক্ষ বিজয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেন। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ভার্সিটি এক্সপ্রেস পক্ষের নেতা মিজানুর বিপুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র হয়ে আমরা প্রায় একশ ত্রিশজন নেতা-কর্মী ছয় মাস ধরে ক্যাম্পাসে আসতে পারিনি। নাছির ভাইয়ের উদ্যোগে অবশেষে ক্যাম্পাসে এসেছি। এখন থেকে আমরা নাছির ভাইয়ের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করব।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী এম এ খালেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাছির ভাই কয়েক দিন আগে আমাদের ডেকে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ ছাত্র ও যাদের নামে কোনো মামলা নেই তাদের হলে উঠিয়ে দিতে সহযোগিতা করতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের হলে উঠিয়ে দিয়েছি।’
তবে এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের বিজয় পক্ষের নেতা অমিত কুমার বসু ও সুমন মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি অপরাধের বিচারহীনতা আরেকটি অপরাধের জন্ম দেয়। আশা করি আমাদের অভিভাবকেরা বিষয়টি সযত্নে আমলে নেবেন। তাপস সরকারের খুনের সঙ্গে জড়িতরা যে প্রক্রিয়ায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে, এর পরবর্তী যেকোনো ঘটনার দায়ভার প্রশাসন ও তাদেরই নিতে হবে।’
উপাচার্য তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ- প্রক্টরকে আসামি করতে চাপ
আপডেট: ১৬ডিসেম্বর, ২০১৪ >>
ছাত্রলীগের কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হত্যা
মামলা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ ছাত্রলীগের ভিএক্স (ভার্সিটি
এক্সপ্রেস) পক্ষের দুই ডজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার জন্য রোববার
রাতে পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ। এ সময়
পুলিশ বলছে, হত্যা মামলায় কারা আসামি হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে নিহত তাপস
সরকারের পরিবার।
তবে রোববার রাতেই অস্ত্র আইনে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০ জনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মামলা হয়েছে। এঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ২৫ জনকে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে রোববার রাতেই অস্ত্র আইনে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০ জনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মামলা হয়েছে। এঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ২৫ জনকে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হত্যাকারীদের
গ্রেপ্তার এবং উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে সিএফসি (চুজ
ফ্রেন্ডস উয়িথ কেয়ার) ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ-পক্ষের নেতা-কর্মীরা গতকাল
দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেন। ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা এ সময়
প্রশাসনিক ভবনের (উপাচার্য দপ্তর) দুটি জানালার কাচ ভাঙচুর করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গত রোববার নিহত হন তাপস সরকার। এ ঘটনায় আহত হন আরও পাঁচ কর্মী। তাঁরা সবাই সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ-পক্ষের নেতা-কর্মী।
পুলিশ সূত্র জানায়, সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী রোববার রাতে হাটহাজারী থানায় যান। তাঁরা তাপস সরকার খুনের ঘটনায় ভিএক্স-পক্ষের অন্তত ২৪ জন নেতা-কর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। প্রকৃত হত্যাকারী ছাড়া কোনো নিরীহ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা নেবে না বলে পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়।
জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওরা একটি তালিকা নিয়ে এসেছিল। তাদের কথায় নিরীহ ব্যক্তিদের কেন আসামি করা হবে? হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। আত্মীয়রা এলে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবে।’ তিনি বলেন, পুলিশ জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রক্টরের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গত রোববার নিহত হন তাপস সরকার। এ ঘটনায় আহত হন আরও পাঁচ কর্মী। তাঁরা সবাই সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ-পক্ষের নেতা-কর্মী।
পুলিশ সূত্র জানায়, সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী রোববার রাতে হাটহাজারী থানায় যান। তাঁরা তাপস সরকার খুনের ঘটনায় ভিএক্স-পক্ষের অন্তত ২৪ জন নেতা-কর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। প্রকৃত হত্যাকারী ছাড়া কোনো নিরীহ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা নেবে না বলে পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়।
জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওরা একটি তালিকা নিয়ে এসেছিল। তাদের কথায় নিরীহ ব্যক্তিদের কেন আসামি করা হবে? হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। আত্মীয়রা এলে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবে।’ তিনি বলেন, পুলিশ জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রক্টরের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
চবি'তে আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ |
এদিকে
শাহজালাল হলে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় ভিএক্স-পক্ষের যে
পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা হলেন: ব্যবস্থাপনা বিভাগের মোহাম্মদ
আনিস, উদ্ভিদবিদ্যার আশরাফুজ্জামান আশা, সমাজতত্ত্বের মো. রাশেদ হোছাইন ও
রাবিদ রায়হান এবং ইংরেজির রুবেল দে। তাঁদের মধ্যে প্রথম দুজন ঘটনার পরই
পালিয়ে যান। বাকি তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশরাফুজ্জামানের গুলিতে তাপস সরকার খুন হয়েছেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে। তাঁকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশরাফুজ্জামানের গুলিতে তাপস সরকার খুন হয়েছেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে। তাঁকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।
No comments