কামালের ‘মীরজাফর’ শ্রীনিবাসন!
শ্রীনির ওপর রাগ কমেনি মুস্তফা কামালের ছবি |
জগমোহন
ডালমিয়াল বিশেষ নিমন্ত্রণে এই মুহূর্তে কলকাতা অবস্থান করছেন আইসিসি ও
বিসিবির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আইপিএলের ফাইনাল দেখাটা মূল উদ্দেশ্য, কিন্তু এর ফাঁকে বাংলাদেশ-ভারত
ক্রিকেট সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়াটাও এই সফরের লক্ষ্য। কলকাতা বসেই
তিনি কথা বলেছেন বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে। সেখানে খোলা মেলা
অনেক কথাই বলেছেন। বলেছেন তাঁর ‘চিরশত্রু’ নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন
সম্পর্কেও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিতাড়িত সভাপতি ও আইসিসির বর্তমান
চেয়ারম্যানকে তিনি অভিহিত করেছেন এ যুগের ‘মীরজাফর’ হিসেবে। বলেছেন, ‘আগে
বাংলাদেশে আগে লোকে গালাগাল দিলে মীরজাফরের নাম উঠত। কারও ওপর খুব রেগে
গেলে বা কারও সঙ্গে ঝগড়া হলে বাংলাদেশের মানুষ এখন বলে তুই ব্যাটা
শ্রীনিবাসন!’
বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে দুই মাস হতে চলল। শ্রীনিবাসনের ওপর রাগ এতটুকু কমেনি মুস্তফা কামালের। সাক্ষাৎকারে ভারতীয় বোর্ডের এই সাবেক সভাপতিকে ‘বেনিয়া’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি। খোলামেলাই বলেছেন, ‘এই লোকটার ধান্দা টাকা রোজগার আর নিজের কাছে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার।’
বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সোজা-সাপ্টাই মন্তব্য করেছিলেন মুস্তফা কামাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা নিরপেক্ষ নয়—এমন মন্তব্যও তিনি করেছিলেন খোদ সংস্থার সভাপতি পদে থেকে। আইসিসিকে অভিহিত করেছিলেন ‘ইন্ডিয়ার ক্রিকেট কাউন্সিল।’ দুই মাস পর এ ব্যাপারে আনন্দবাজারের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ব্যাটটা সপাটেই চালিয়েছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক। সরাসরিই বলেছেন, ‘আমি একটি কথাও ভারতের বিপক্ষে বলিনি। আমি বলেছি নির্দিষ্ট একটি লোকের বিরুদ্ধে। আইসিসির সভাপতি ছিলাম আমি। শ্রীনিবাসন চেয়ারম্যান। অপারেশনাল দায়িত্ব তাঁর হাতে। মেলবোর্নে সে দিন উনি আমাদের ম্যাচে স্পাইক্যাম কেন রাখেনি, বলতে পারেন? কেন সেদিনই টিভি রিপ্লের ব্যবস্থা বেছে বেছে সেদিনই করা হয়নি? মাহমুদউল্লাহর ক্যাচটা তো লাইনের বাইরে থেকে ধরা। অথচ, সেটা টিভিতে ভালোভাবে দেখায়নি! স্কোরবোর্ডেও ওপর লেখা ছিল “জিতেগা ভাই জিতেগা, ইন্ডিয়া জিতেগা”—এটা কী? ওটা তো ছিল আইসিসির স্পেস। সেখানে একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি পক্ষপাত দেখানো হবে কেন? এগুলো সব ওই শ্রীনির কীর্তি। লোকটা ফেয়ার প্লে’তে বিশ্বাসই করে না।’
জগমোহন ডালমিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ঝরেছে মুস্তফা কামালের কণ্ঠে। ডালমিয়ার প্রসঙ্গে কামাল যেন কিছুটা আবেগীও, ‘মি. ডালমিয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটের গডফাদার। এই মানুষটির জন্যই আমরা টেস্ট মর্যাদা পাই। সেই ঋণ বাংলাদেশের মানুষ ভোলেনি।’
বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের পর বাংলাদেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট তুঙ্গে—এমন আশঙ্কা নাকি অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারের মধ্যেই। বাংলাদেশ সফরে তাদের উত্তেজিত জনসমর্থনের বিপক্ষে লড়তে হলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ারও শঙ্কা করছেন অনেকেই—আনন্দবাজার পত্রিকার এমন প্রশ্নের মুখে সবাইকে আশ্বস্তই করেছেন কামাল। বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট তুঙ্গে, এমন শঙ্কার কোনো ভিত্তি নেই। বরং বাংলাদেশের মানুষ মুখিয়ে আছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বরণ করে নিতে। দারুণ সংবর্ধনা পাবে ক্রিকেটাররা বাংলাদেশে এলে। তবে ওই একটা লোক শ্রীনি, যাকে বাংলাদেশিরা কোনো দিনই ক্ষমা করতে পারবে না।’
বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে দুই মাস হতে চলল। শ্রীনিবাসনের ওপর রাগ এতটুকু কমেনি মুস্তফা কামালের। সাক্ষাৎকারে ভারতীয় বোর্ডের এই সাবেক সভাপতিকে ‘বেনিয়া’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি। খোলামেলাই বলেছেন, ‘এই লোকটার ধান্দা টাকা রোজগার আর নিজের কাছে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার।’
বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সোজা-সাপ্টাই মন্তব্য করেছিলেন মুস্তফা কামাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা নিরপেক্ষ নয়—এমন মন্তব্যও তিনি করেছিলেন খোদ সংস্থার সভাপতি পদে থেকে। আইসিসিকে অভিহিত করেছিলেন ‘ইন্ডিয়ার ক্রিকেট কাউন্সিল।’ দুই মাস পর এ ব্যাপারে আনন্দবাজারের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ব্যাটটা সপাটেই চালিয়েছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক। সরাসরিই বলেছেন, ‘আমি একটি কথাও ভারতের বিপক্ষে বলিনি। আমি বলেছি নির্দিষ্ট একটি লোকের বিরুদ্ধে। আইসিসির সভাপতি ছিলাম আমি। শ্রীনিবাসন চেয়ারম্যান। অপারেশনাল দায়িত্ব তাঁর হাতে। মেলবোর্নে সে দিন উনি আমাদের ম্যাচে স্পাইক্যাম কেন রাখেনি, বলতে পারেন? কেন সেদিনই টিভি রিপ্লের ব্যবস্থা বেছে বেছে সেদিনই করা হয়নি? মাহমুদউল্লাহর ক্যাচটা তো লাইনের বাইরে থেকে ধরা। অথচ, সেটা টিভিতে ভালোভাবে দেখায়নি! স্কোরবোর্ডেও ওপর লেখা ছিল “জিতেগা ভাই জিতেগা, ইন্ডিয়া জিতেগা”—এটা কী? ওটা তো ছিল আইসিসির স্পেস। সেখানে একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি পক্ষপাত দেখানো হবে কেন? এগুলো সব ওই শ্রীনির কীর্তি। লোকটা ফেয়ার প্লে’তে বিশ্বাসই করে না।’
জগমোহন ডালমিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ঝরেছে মুস্তফা কামালের কণ্ঠে। ডালমিয়ার প্রসঙ্গে কামাল যেন কিছুটা আবেগীও, ‘মি. ডালমিয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটের গডফাদার। এই মানুষটির জন্যই আমরা টেস্ট মর্যাদা পাই। সেই ঋণ বাংলাদেশের মানুষ ভোলেনি।’
বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের পর বাংলাদেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট তুঙ্গে—এমন আশঙ্কা নাকি অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারের মধ্যেই। বাংলাদেশ সফরে তাদের উত্তেজিত জনসমর্থনের বিপক্ষে লড়তে হলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ারও শঙ্কা করছেন অনেকেই—আনন্দবাজার পত্রিকার এমন প্রশ্নের মুখে সবাইকে আশ্বস্তই করেছেন কামাল। বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট তুঙ্গে, এমন শঙ্কার কোনো ভিত্তি নেই। বরং বাংলাদেশের মানুষ মুখিয়ে আছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বরণ করে নিতে। দারুণ সংবর্ধনা পাবে ক্রিকেটাররা বাংলাদেশে এলে। তবে ওই একটা লোক শ্রীনি, যাকে বাংলাদেশিরা কোনো দিনই ক্ষমা করতে পারবে না।’
No comments