সম্পদের হিসাব দিতে সময় চাইলেন মুসা বিন শমসের
সম্পদের
হিসাব দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে আরও সাত কর্মদিবস সময়
চেয়েছেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের। রোববার দুপুরে মুসা তাঁর
প্রতিনিধির মাধ্যমে দুদকের সচিব বরাবর আবেদন পাঠান।
দুদক সূত্র মুসার সময় চেয়ে মুসার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানায়, আইন অনুযায়ী মুসা আরও সাত কর্মদিবস সময় পাবেন।
গত মঙ্গলবার সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাঁর সম্পদের হিসাব দিতে মুসাকে নোটিশ পাঠায় দুদক। বিশেষ বাহক মারফত বনানীতে মুসার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ড্যাটকোতে এই নোটিশ পাঠানো হয়। দদুক আইন অনুযায়ী নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে হয়। অবশ্য এ সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে ব্যর্থ হলে আরও সাত কার্যদিবস সময় বাড়িয়ে নেওয়া যায়। দুদকের কাছে সম্পদের তথ্য গোপন করলে এবং যথাসময়ে সম্পদ বিবরণী জমা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে দুদকের।
এর আগে গত ৫ মে কমিশনের দৈনন্দিন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুসা বিন শমসেরের নামে সম্পদের নোটিশ জারির অনুমোদন দেন দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান।
গত বছরের জুন মাসে বিজনেস এশিয়া নামের একটি সাময়িকীর ঈদ সংখ্যায় মুসাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের সূত্রে একই বছরের ৩ নভেম্বর কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মুসার সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ওই সাময়িকীতে এই ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তাঁর জীবনযাত্রা, আর্থিক সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর প্রায় ৪০ জন ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর বহর নিয়ে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন তিনি।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, অনুসন্ধানে নামার সময় সুইস ব্যাংকে মুসার যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে বলে দুদক জানত, প্রকৃতপক্ষে এর পরিমাণ আরও বেশি। দুদকের দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে মুসা নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। মাস দুয়েক আগে দুদকের অনুসন্ধান টিম মুসার মালিকানাধীন বনানীর জনশক্তি প্রতিষ্ঠান ড্যাটকো এবং তাঁর গুলশানের বাসায় পরিদর্শনে যান। সেখানে মুসা বিন শমসেরকে দলটি জিজ্ঞাসাবাদও করেন বলে জানা গেছে। সূত্রটি আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মুসা জানিয়েছেন, সুইস ব্যাংকে তার একটিমাত্র অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে এ অ্যাকাউন্টে সাত বিলিয়ন নয়, বর্তমানে জমা রয়েছে মোট ১২ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৩ হাজার কোটি টাকার (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে) সমান। এ অর্থ জব্দ অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান তিনি। অথচ সুইস ব্যাংকে মুসার জব্দকৃত অর্থের পরিমাণ সাত বিলিয়ন ডলার রয়েছে তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের প্রথম দফা জিজ্ঞাসাবাদেও এ তথ্য জানিয়েছিলেন মুসা। মুসার দেওয়া নতুন এ তথ্যের পর আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত অর্থের পরিমাণ ও উৎস জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সহায়তা চেয়েছে দুদক।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা দাবি করেছেন, বাংলাদেশ থেকে তাঁর কোনো অর্থই সুইস ব্যাংকে জমা হয়নি। ৪২ বছর বিদেশে বৈধভাবে ব্যবসার মাধ্যমেই তিনি ১২ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছেন, যা সুইস ব্যাংকে তাঁর নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, মিসর, সিরিয়া ও পাকিস্তানসহ অনেক দেশের সরকারি প্রতিরক্ষা ক্রয় সংক্রান্ত পাওনা পরিশোধের অর্থ ওইসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে সুইস ব্যাংকে তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। সুইস ব্যাংকে অতিরিক্ত পাঁচ বিলিয়ন ডলার সম্পদের তথ্যের পাশাপাশি দুদককে মুসা আরও জানিয়েছেন, সাভারে তাঁর এক হাজার ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। সত্তরের দশকে নিজ নামে তিনি ঢাকা জেলার সাভার অঞ্চলে বিভিন্ন দাগে বিভিন্ন সময় দলিল ও সাফ-কবলার মাধ্যমে এসব জমি কিনেছেন। এসব জমির অধিকাংশই বর্তমানে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন মৌজায় তফসিলভুক্ত। তিনি জানান, দেশে না থাকায় এসব জমির খাজনা পরিশোধ করে নামজারি করা সম্ভব হয়নি। তবে গত কয়েক বছরে দেশের অবস্থানের কারণে জমিগুলো পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করছেন।
দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল অভিযোগটির অনুসন্ধান করছেন।
দুদক সূত্র মুসার সময় চেয়ে মুসার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানায়, আইন অনুযায়ী মুসা আরও সাত কর্মদিবস সময় পাবেন।
গত মঙ্গলবার সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাঁর সম্পদের হিসাব দিতে মুসাকে নোটিশ পাঠায় দুদক। বিশেষ বাহক মারফত বনানীতে মুসার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ড্যাটকোতে এই নোটিশ পাঠানো হয়। দদুক আইন অনুযায়ী নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে হয়। অবশ্য এ সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে ব্যর্থ হলে আরও সাত কার্যদিবস সময় বাড়িয়ে নেওয়া যায়। দুদকের কাছে সম্পদের তথ্য গোপন করলে এবং যথাসময়ে সম্পদ বিবরণী জমা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে দুদকের।
এর আগে গত ৫ মে কমিশনের দৈনন্দিন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুসা বিন শমসেরের নামে সম্পদের নোটিশ জারির অনুমোদন দেন দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান।
গত বছরের জুন মাসে বিজনেস এশিয়া নামের একটি সাময়িকীর ঈদ সংখ্যায় মুসাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের সূত্রে একই বছরের ৩ নভেম্বর কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মুসার সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ওই সাময়িকীতে এই ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তাঁর জীবনযাত্রা, আর্থিক সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর প্রায় ৪০ জন ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর বহর নিয়ে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন তিনি।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, অনুসন্ধানে নামার সময় সুইস ব্যাংকে মুসার যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে বলে দুদক জানত, প্রকৃতপক্ষে এর পরিমাণ আরও বেশি। দুদকের দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে মুসা নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। মাস দুয়েক আগে দুদকের অনুসন্ধান টিম মুসার মালিকানাধীন বনানীর জনশক্তি প্রতিষ্ঠান ড্যাটকো এবং তাঁর গুলশানের বাসায় পরিদর্শনে যান। সেখানে মুসা বিন শমসেরকে দলটি জিজ্ঞাসাবাদও করেন বলে জানা গেছে। সূত্রটি আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মুসা জানিয়েছেন, সুইস ব্যাংকে তার একটিমাত্র অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে এ অ্যাকাউন্টে সাত বিলিয়ন নয়, বর্তমানে জমা রয়েছে মোট ১২ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৩ হাজার কোটি টাকার (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে) সমান। এ অর্থ জব্দ অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান তিনি। অথচ সুইস ব্যাংকে মুসার জব্দকৃত অর্থের পরিমাণ সাত বিলিয়ন ডলার রয়েছে তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের প্রথম দফা জিজ্ঞাসাবাদেও এ তথ্য জানিয়েছিলেন মুসা। মুসার দেওয়া নতুন এ তথ্যের পর আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত অর্থের পরিমাণ ও উৎস জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সহায়তা চেয়েছে দুদক।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা দাবি করেছেন, বাংলাদেশ থেকে তাঁর কোনো অর্থই সুইস ব্যাংকে জমা হয়নি। ৪২ বছর বিদেশে বৈধভাবে ব্যবসার মাধ্যমেই তিনি ১২ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছেন, যা সুইস ব্যাংকে তাঁর নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, মিসর, সিরিয়া ও পাকিস্তানসহ অনেক দেশের সরকারি প্রতিরক্ষা ক্রয় সংক্রান্ত পাওনা পরিশোধের অর্থ ওইসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে সুইস ব্যাংকে তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। সুইস ব্যাংকে অতিরিক্ত পাঁচ বিলিয়ন ডলার সম্পদের তথ্যের পাশাপাশি দুদককে মুসা আরও জানিয়েছেন, সাভারে তাঁর এক হাজার ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। সত্তরের দশকে নিজ নামে তিনি ঢাকা জেলার সাভার অঞ্চলে বিভিন্ন দাগে বিভিন্ন সময় দলিল ও সাফ-কবলার মাধ্যমে এসব জমি কিনেছেন। এসব জমির অধিকাংশই বর্তমানে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন মৌজায় তফসিলভুক্ত। তিনি জানান, দেশে না থাকায় এসব জমির খাজনা পরিশোধ করে নামজারি করা সম্ভব হয়নি। তবে গত কয়েক বছরে দেশের অবস্থানের কারণে জমিগুলো পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করছেন।
দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল অভিযোগটির অনুসন্ধান করছেন।
No comments