কংগ্রেসের অভিযোগ- ভারতের গণতন্ত্রকে হত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মোদি
ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতা ও সাবেক
মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। তিনি বললেন, ভারতের গণতন্ত্রকে হত্যার পক্ষে অবস্থান
নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি পার্লামেন্টকে পুরোপুরি এড়িয়ে গেছেন। মোদি ও
মমতা হলেন একই মুদ্রার দুপাশ। তারা দুজনেই স্বৈরাচার। তারা দুজন মৌন
সম্মতিতে পৌঁছেছেন। গতকাল এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা
পিটিআই। এতে বলা হয়, জয়রাম রমেশ এক সংবাদ সম্মেলনে মোদি ও মমতার বিরুদ্ধে
ওই অভিযোগ আনেন। এতে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিরও সমালোচনা
করেন। এ সময় তিনি কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের এক বছরপূর্তিতে একটি রিপোর্ট
কার্ড প্রদর্শন করেন। বলেন, মোদি ক্ষমতায় এসেই সর্বোচ্চ সুশাসন দেয়ার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এক বছর পরে আমরা কি দেখতে পাচ্ছি? আমরা
দেখতে পাচ্ছি সর্বোচ্চ ঔদ্ধত্য ও এক-ব্যক্তির সরকার। পশ্চিমবঙ্গের যেন
প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে এক্ষেত্রে। তাই মোদি ও মমতা একত্রিত হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ সফরের সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা একই মঞ্চ
ব্যবহার করেছেন। ওই সফরের সময় প্রকাশ্যে মমতার প্রশংসা করেছেন মোদি। শুধু
তা-ই নয়। তারা দুজনে একসঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজভবনে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের
এক বছরের শাসনবিষয়ক ৫টি অধ্যায়ের ওই রিপোর্ট প্রদর্শন করে জয়রাম রমেশ বলেন,
ভারতের গণতন্ত্রকে হত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মোদি। তিনি পার্লামেন্টকে
পুরোপুরি এড়িয়ে গেছেন। মোদি সরকার যখন সুশীল সমাজ ও এনজিওর ওপর চড়াও হয়েছে
তখন এই গত এক বছরে কোন সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেননি। তথ্য পাওয়ার
অধিকারবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা নিয়োগ করেননি তিনি। এভাবেই তিনি পদ্ধতিগতভাবে
তথ্য পাওয়ার অধিকারকে হত্যা করছেন। গত সাত মাস ধরে প্রধান কোন তদারকি
কর্মকর্তা নেই। জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও গ্রামীণ সড়ক
খাতে ভয়াবহভাবে বাজেট কর্তন করেছেন। এতে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও গ্রামীণ
মানুষের কল্যাণ বিষয়ক কর্মকাণ্ড প্রভাবিত হয়েছে মারাত্মকভাবে।
No comments