মুক্তিপণ দিলেও মিলছে না খোঁজ, নরসিংদীতে ৪৫ মামলায় গ্রেপ্তার হয়নি কেউ
মুক্তিপণ
দিলেও দালালদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি মিলছে না বাংলাদেশী অনেক যুবকের।
তাদের খোঁজও পাচ্ছেন না স্বজনরা। নিখোঁজ হওয়া তেমনই কয়েকজন হলেন শিবপুর
উপজেলার পালপাড়া গ্রামের রুহুল আমিন, শরিফুল ও নাহিদ। এদের বয়স ১৫ থেকে ২০
বছরের মধ্যে। এ ঘটনায় দুই বছরে মোট ৪৫টি মামলা হলেও একজন মানব পাচারকারীও
গ্রেপ্তার হয়নি।
নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার বলেন, ‘অবৈধভাবে মানব পাচারের জন্য ২০১৪ সালে এ জেলায় ৩২টি ও ২০১৫ সালে ১৩টি মামলা হয়েছে।’ আর গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
টেলিফোনে মুক্তিপণ দাবি করছে দালালরা। থাইল্যান্ডের জঙ্গল থেকে প্রায় এক মাস আগে ফোন আসে রুহুল আমিনের পিতা আবদুল হাসিম মিয়ার কাছে। মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়েছিল একই উপজেলার গাসির দিয়া গ্রামের সানাউল্লাহ মিয়াকেও। দালালের খপ্পরে পড়ে তার ছেলে নাহিদও (১৫) দেড় মাস ধরে নিখোঁজ।
এক সপ্তাহ আগে তাদের মোবাইল নম্বরে ০০৬১৬৯৭৩৯৩০৭ ও ০০৬০১১৩৬২১৮১৭০ এবং ০১৭৭১৬৯৯২৩৪ ও ০১৬২৪৭০৪৪৬১ নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিলে তাদের ছেলেদের ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।
আবদুল হাসিম মিয়া বলেন, টেলিফোনে তাদের ছেলেরা কান্নাকাটি করে এবং টাকা পাঠাতে অনুরোধ করে। এরপর থেকে আর কোন হদিস নেই ছেলে।
দালালদের সঙ্গে অবৈধপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে নৌবাহিনীর টহল দলের হাতে ধরা পড়ে বাড়ি ফিরে আসেন নরসিংদী সদর উপজেলার দঘরিয়া গ্রামের গয়েছ আলী মিয়ার ছেলে মো. দানা মিয়া (৩১)। তিনি বলেন, টাকা পরে দিলে চলবে অনেক প্রলোভন দেখানো। আলতাফ হোসেন নামের এক দালালের মাধ্যমে চট্টগ্রামে পৌঁছান তিনি। সেখানে জাহিদ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। বিভিন্ন জেলার ৫ জনসহ মোট ১১ জনকে নিয়ে ট্রলারে তোলা হয়। ট্রলারে ছিল আরও ৫ জন। তখন আমাদের পরনে ছিল শুধু একটি গামছা। আর সবকিছু জাহিদ নিয়ে নেয়। মাঝি পরিচয়ে ৫ জন ওরা আমাদের বলে পুলিশে ধরলে আমরা যেন বলি মাছ ধরতে ট্রলারে উঠেছি। ট্রলার ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই মাঝিরা তাদের শারীরিক নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখান শুরু করে। তারা যেভাবে কথা বলে সেই মতে কাজ করতে শাসাতে থাকে। ৪-৫ ঘণ্টা পর আমরা ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু ট্রলারে কোন খাবার ছিল না। বাংলাদেশ সীমানা অতিক্রম করার কিছু আগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা আমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। আমাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ পরে আমাদের ছেড়ে দেয়।
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, ‘যারা বৈধভাবে গিয়ে কোন বিপদে পড়ে তাদের জন্য আমরা কিছু করতে পারি। আর এ পর্যন্ত আমার কাছে কোন পরিবার এ ব্যাপারে কোন অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার বলেন, ‘অবৈধভাবে মানব পাচারের জন্য ২০১৪ সালে এ জেলায় ৩২টি ও ২০১৫ সালে ১৩টি মামলা হয়েছে।’ আর গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
টেলিফোনে মুক্তিপণ দাবি করছে দালালরা। থাইল্যান্ডের জঙ্গল থেকে প্রায় এক মাস আগে ফোন আসে রুহুল আমিনের পিতা আবদুল হাসিম মিয়ার কাছে। মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়েছিল একই উপজেলার গাসির দিয়া গ্রামের সানাউল্লাহ মিয়াকেও। দালালের খপ্পরে পড়ে তার ছেলে নাহিদও (১৫) দেড় মাস ধরে নিখোঁজ।
এক সপ্তাহ আগে তাদের মোবাইল নম্বরে ০০৬১৬৯৭৩৯৩০৭ ও ০০৬০১১৩৬২১৮১৭০ এবং ০১৭৭১৬৯৯২৩৪ ও ০১৬২৪৭০৪৪৬১ নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিলে তাদের ছেলেদের ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।
আবদুল হাসিম মিয়া বলেন, টেলিফোনে তাদের ছেলেরা কান্নাকাটি করে এবং টাকা পাঠাতে অনুরোধ করে। এরপর থেকে আর কোন হদিস নেই ছেলে।
দালালদের সঙ্গে অবৈধপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে নৌবাহিনীর টহল দলের হাতে ধরা পড়ে বাড়ি ফিরে আসেন নরসিংদী সদর উপজেলার দঘরিয়া গ্রামের গয়েছ আলী মিয়ার ছেলে মো. দানা মিয়া (৩১)। তিনি বলেন, টাকা পরে দিলে চলবে অনেক প্রলোভন দেখানো। আলতাফ হোসেন নামের এক দালালের মাধ্যমে চট্টগ্রামে পৌঁছান তিনি। সেখানে জাহিদ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। বিভিন্ন জেলার ৫ জনসহ মোট ১১ জনকে নিয়ে ট্রলারে তোলা হয়। ট্রলারে ছিল আরও ৫ জন। তখন আমাদের পরনে ছিল শুধু একটি গামছা। আর সবকিছু জাহিদ নিয়ে নেয়। মাঝি পরিচয়ে ৫ জন ওরা আমাদের বলে পুলিশে ধরলে আমরা যেন বলি মাছ ধরতে ট্রলারে উঠেছি। ট্রলার ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই মাঝিরা তাদের শারীরিক নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখান শুরু করে। তারা যেভাবে কথা বলে সেই মতে কাজ করতে শাসাতে থাকে। ৪-৫ ঘণ্টা পর আমরা ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু ট্রলারে কোন খাবার ছিল না। বাংলাদেশ সীমানা অতিক্রম করার কিছু আগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা আমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। আমাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ পরে আমাদের ছেড়ে দেয়।
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, ‘যারা বৈধভাবে গিয়ে কোন বিপদে পড়ে তাদের জন্য আমরা কিছু করতে পারি। আর এ পর্যন্ত আমার কাছে কোন পরিবার এ ব্যাপারে কোন অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
No comments