সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া গিয়ে নিখোঁজ চকরিয়ার শতাধিক মানুষ by বশির আল মামুন
দালাল
চক্রের মাধ্যমে সাগরপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া গেছেন চকরিয়ার পাঁচ
শতাধিক নানা বয়সের মানুষ। এরই মধ্যে চার শতাধিক মানুষ ওই দেশে কাজে যোগ
দিলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক মানুষ। মালয়েশিয়া পৌঁছার পর পরিবারের সাথে
কেউ কেউ ফোনে যোগাযোগ করলেও হদিস নেই অনেকের। এ অবস্থায় তাদের পরিবারে
চলছে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। উপজেলার খুঁটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমান
জানিয়েছেন, তার ইউনিয়ন থেকে অন্তত তিন শতাধিক মানুষ মালয়েশিয়া গেছে। তার
মধ্যে নিখোঁজ রয়েছে ৩০ থেকে ৫০ জনের মতো। তিনি দাবি করেন, বেশির ভাগ
পাচারের ঘটনা ঘটে রাতের বেলায়। ফলে পাচারে কারা জড়িত তা শনাক্ত করতে পারেনি
ইউনিয়ন পরিষদ।
উপজেলার খুঁটাখালী ইউনিয়নের গর্জনতলী এলাকার অনেকে জানান, ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে মানব পাচারকারী দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সাগরপথে অবৈধভাবে স্বপ্নের মালয়েশিয়া পাড়ি দেন গর্জনতলী গ্রামের মৃত আবদুস ছালামের ছেলে নুরুল আজিম, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুরুল আবছার, হাসান আলীর ছেলে ছৈয়দ আলম, নবী হোছাইনের ছেলে নুরুল ইসলাম, সিরাজুল হকের ছেলে মনছুর আলম, সোনা মিয়ার ছেলে মো. শাহজালাল, আমির হোছাইনের ছেলে দিল মোহাম্মদ, আবদুশ শুক্কুরের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মো. সেলিম, আবদুল মোনাফের ছেলে ওয়াজউদ্দিন, দক্ষিণ মেধাকচ্ছপিয়া স্কুলপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে জসিম উদ্দিনসহ অনেকে। পরিবারের সঙ্গে তাদের সর্বশেষ কথা ছিল সেই দেশে অবস্থান নিতে পারলে তারা মুঠোফোনে যোগাযোগ রক্ষা করবে। কিন্তু মালয়েশিয়া যাত্রার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এখনও তারা কোথায় আছেন পরিবার সদস্যরা জানেন না। তবে পরিবার সদস্যদের ধারণা, বেঁচে থাকলে এসব হতভাগাদের ঠাঁই হয়েছে ভারত কিংবা ও থাইল্যান্ডের কোন কারাগারে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ইউনিয়নের উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে ওসমান গণির মাধ্যমে গতবছর মালয়েশিয়া গেছেন ইউনিয়নের উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার ফজল করিমের ছেলে আক্তার মিয়া, মৃত সোলেমানের ছেলে নুরুল আবছার, মৃত সোলতান আহমদের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন প্রকাশ মাছন, মো.আবদুর ছেলে আবদুল মালেক, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন, খলিল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ কালু, জনু মিয়ার ছেলে ফজল করিম, জয়গুণের ছেলে সালাহ উদ্দিন, রফিক উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান, একই এলাকার হাকিম আলী, ইসমাইলসহ অনেকে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় আগে থেকে অবস্থান করা নার্গিস আক্তার নামের এক মহিলার মাধ্যমে ওসমান গনি এসব মানুষকে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছেন। ইউনিয়নের উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার একটি বাড়িতে ওসমান গনির সাথে অবস্থান করেন নার্গিস আক্তারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। মূলত ওসমানের মাধ্যমে মেয়ে সুমাইয়া মালয়েশিয়াগামী এসব মানুষকে ট্রলারে তুলে দিতেন। পরে পাঠানো এসব মানুষ মালয়েশিয়ায় সুমাইয়া আক্তারের মা নার্গিস আক্তার রিসিভ করতেন।
এলাকাবাসীর দাবি, সুমাইয়া আক্তার ও ওসমান মিলে খুঁটাখালী ইউনিয়নের উপকূলীয় সমুদ্র চ্যানেল হয়ে কয়েকদফা লোক পাঠিয়েছেন মালয়েশিয়ায়। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে এলাকায় গেলে সুমাইয়া ও ওসমান গনিকে পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্তমানে প্রশাসন মানব পাচার বন্ধে কঠোর হওয়ার কারনে অন্যদের মতো তারাও গা ঢাকা দিয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, ওসমান গনি ঢাকার বাসিন্দা আছিয়া বেগম নামের এক মহিলাকে প্রথমে বিয়ে করেন। পরে তার সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে স্বামী ওসমানের বিরুদ্ধে একটি জিআর মামলা করেন আছিয়া বেগম। এরপর ওসমান দ্বিতীয় বিয়ে করেন খুঁটাখালী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া পাহাড় এলাকার মহিউদ্দিনের মেয়ে ইয়াছমিন আক্তারকে। বর্তমানে তার সাথেও সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসী। অপরদিকে স্বামী ফজল করিমকে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে কোন খোঁজ না দেয়ার কারণে উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার রোজিনা আক্তার নামের এক গৃহবধু ওসমানের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু মানব পাচারকারী শনাক্ত করতে থানা পুলিশের হালনাগাদের তালিকায় তার নাম নেই বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে খুঁটাখালী ইউনিয়নের মতো উপজেলার কোণাখালী, বিএমচর, পূর্ববড় ভেওলা, ঢেমুশিয়া, কৈয়ারবিল, সাহারবিল ইউনিয়ন ও চকরিয়া পৌরসভা এলাকা থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ মানুষ দালাল চক্রের মাধ্যমে সাগর পথে মালয়েশিয়া ফাঁড়ি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। তাদের মধ্যে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলামনগর গ্রামের আবদুছ ছালামের ছেলে জসিমউদ্দিন রনি, মোক্তার আহমদের ছেলে মনির আহমদ, আনোয়ার হোছাইনের ছেলে মোবারক হোসেন, বাহাদুর আলমের ছেলে মো. চুট্টোসহ চার যুবক মালয়েশিয়া গেলেও তার পরিবার সদস্যরা গত দেড়মাস ধরে তাদের সন্ধান পাচ্ছেন না।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার উপকূলীয় সমুদ্র চ্যানেল হয়ে যারা অবৈধ পন্থায় মালয়েশিয়ায় মানুষ পাঠিয়েছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগ পাচারকারী এখনো প্রশাসনের অধরায় রয়েছে। তাদের মধ্যে খুঁটাখালী ছড়িবিল এলাকার বার্মাইয়া হাসু, বদরখালী এলাকার সাহাব উদ্দিন বাহাদুর, কোরালখালী এলাকার জোবাইর, ইদমনি এলাকার আবদুল মালেক, আহমদ হোসেন, কোণাখালী এলাকার সফিউল আলম, মোজাম্মেল, আবদুর রহিম, নুরুজ্জামান, ইসমাইল, বকুল ও সুরাজপুর ভিলেজারপাড়ার সফিউল্লাহ সহ অনেকের নাম জনতার মুখে মুখে থাকলেও থানা-পুলিশের তালিকায় তাদের নাম নেই বলে জানা গেছে। চকরিয়া থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, চকরিয়া থানায় গত চারবছরে ২৮ জনকে আসামি করে মানব পাচার আইনে ৮টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে ৮ জন মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতমাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বদরখালী এলাকার পাচারকারী সাহাব উদ্দিন বাহাদুরসহ দু’জনকে।
উপজেলার খুঁটাখালী ইউনিয়নের গর্জনতলী এলাকার অনেকে জানান, ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে মানব পাচারকারী দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সাগরপথে অবৈধভাবে স্বপ্নের মালয়েশিয়া পাড়ি দেন গর্জনতলী গ্রামের মৃত আবদুস ছালামের ছেলে নুরুল আজিম, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুরুল আবছার, হাসান আলীর ছেলে ছৈয়দ আলম, নবী হোছাইনের ছেলে নুরুল ইসলাম, সিরাজুল হকের ছেলে মনছুর আলম, সোনা মিয়ার ছেলে মো. শাহজালাল, আমির হোছাইনের ছেলে দিল মোহাম্মদ, আবদুশ শুক্কুরের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মো. সেলিম, আবদুল মোনাফের ছেলে ওয়াজউদ্দিন, দক্ষিণ মেধাকচ্ছপিয়া স্কুলপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে জসিম উদ্দিনসহ অনেকে। পরিবারের সঙ্গে তাদের সর্বশেষ কথা ছিল সেই দেশে অবস্থান নিতে পারলে তারা মুঠোফোনে যোগাযোগ রক্ষা করবে। কিন্তু মালয়েশিয়া যাত্রার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এখনও তারা কোথায় আছেন পরিবার সদস্যরা জানেন না। তবে পরিবার সদস্যদের ধারণা, বেঁচে থাকলে এসব হতভাগাদের ঠাঁই হয়েছে ভারত কিংবা ও থাইল্যান্ডের কোন কারাগারে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ইউনিয়নের উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে ওসমান গণির মাধ্যমে গতবছর মালয়েশিয়া গেছেন ইউনিয়নের উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার ফজল করিমের ছেলে আক্তার মিয়া, মৃত সোলেমানের ছেলে নুরুল আবছার, মৃত সোলতান আহমদের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন প্রকাশ মাছন, মো.আবদুর ছেলে আবদুল মালেক, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন, খলিল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ কালু, জনু মিয়ার ছেলে ফজল করিম, জয়গুণের ছেলে সালাহ উদ্দিন, রফিক উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান, একই এলাকার হাকিম আলী, ইসমাইলসহ অনেকে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় আগে থেকে অবস্থান করা নার্গিস আক্তার নামের এক মহিলার মাধ্যমে ওসমান গনি এসব মানুষকে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছেন। ইউনিয়নের উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার একটি বাড়িতে ওসমান গনির সাথে অবস্থান করেন নার্গিস আক্তারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। মূলত ওসমানের মাধ্যমে মেয়ে সুমাইয়া মালয়েশিয়াগামী এসব মানুষকে ট্রলারে তুলে দিতেন। পরে পাঠানো এসব মানুষ মালয়েশিয়ায় সুমাইয়া আক্তারের মা নার্গিস আক্তার রিসিভ করতেন।
এলাকাবাসীর দাবি, সুমাইয়া আক্তার ও ওসমান মিলে খুঁটাখালী ইউনিয়নের উপকূলীয় সমুদ্র চ্যানেল হয়ে কয়েকদফা লোক পাঠিয়েছেন মালয়েশিয়ায়। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে এলাকায় গেলে সুমাইয়া ও ওসমান গনিকে পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্তমানে প্রশাসন মানব পাচার বন্ধে কঠোর হওয়ার কারনে অন্যদের মতো তারাও গা ঢাকা দিয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, ওসমান গনি ঢাকার বাসিন্দা আছিয়া বেগম নামের এক মহিলাকে প্রথমে বিয়ে করেন। পরে তার সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে স্বামী ওসমানের বিরুদ্ধে একটি জিআর মামলা করেন আছিয়া বেগম। এরপর ওসমান দ্বিতীয় বিয়ে করেন খুঁটাখালী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া পাহাড় এলাকার মহিউদ্দিনের মেয়ে ইয়াছমিন আক্তারকে। বর্তমানে তার সাথেও সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসী। অপরদিকে স্বামী ফজল করিমকে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে কোন খোঁজ না দেয়ার কারণে উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার রোজিনা আক্তার নামের এক গৃহবধু ওসমানের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু মানব পাচারকারী শনাক্ত করতে থানা পুলিশের হালনাগাদের তালিকায় তার নাম নেই বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে খুঁটাখালী ইউনিয়নের মতো উপজেলার কোণাখালী, বিএমচর, পূর্ববড় ভেওলা, ঢেমুশিয়া, কৈয়ারবিল, সাহারবিল ইউনিয়ন ও চকরিয়া পৌরসভা এলাকা থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ মানুষ দালাল চক্রের মাধ্যমে সাগর পথে মালয়েশিয়া ফাঁড়ি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। তাদের মধ্যে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলামনগর গ্রামের আবদুছ ছালামের ছেলে জসিমউদ্দিন রনি, মোক্তার আহমদের ছেলে মনির আহমদ, আনোয়ার হোছাইনের ছেলে মোবারক হোসেন, বাহাদুর আলমের ছেলে মো. চুট্টোসহ চার যুবক মালয়েশিয়া গেলেও তার পরিবার সদস্যরা গত দেড়মাস ধরে তাদের সন্ধান পাচ্ছেন না।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার উপকূলীয় সমুদ্র চ্যানেল হয়ে যারা অবৈধ পন্থায় মালয়েশিয়ায় মানুষ পাঠিয়েছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগ পাচারকারী এখনো প্রশাসনের অধরায় রয়েছে। তাদের মধ্যে খুঁটাখালী ছড়িবিল এলাকার বার্মাইয়া হাসু, বদরখালী এলাকার সাহাব উদ্দিন বাহাদুর, কোরালখালী এলাকার জোবাইর, ইদমনি এলাকার আবদুল মালেক, আহমদ হোসেন, কোণাখালী এলাকার সফিউল আলম, মোজাম্মেল, আবদুর রহিম, নুরুজ্জামান, ইসমাইল, বকুল ও সুরাজপুর ভিলেজারপাড়ার সফিউল্লাহ সহ অনেকের নাম জনতার মুখে মুখে থাকলেও থানা-পুলিশের তালিকায় তাদের নাম নেই বলে জানা গেছে। চকরিয়া থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, চকরিয়া থানায় গত চারবছরে ২৮ জনকে আসামি করে মানব পাচার আইনে ৮টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে ৮ জন মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতমাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বদরখালী এলাকার পাচারকারী সাহাব উদ্দিন বাহাদুরসহ দু’জনকে।
No comments