যাত্রাবাড়ীতে ভাড়াটিয়া সেজে ডাকাতি : গৃহকর্তার মেয়ে খুন
যাত্রাবাড়ীতে ডাকাতদের হাতে নিহত নিগারের (ইনসেটে) স্বজনদের আহাজারি |
রাজধানীর
যাত্রাবাড়ীতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার বাসায় ডাকাতিকালে তার মেয়েকে
হত্যার নেপথ্যে ছিল বাসায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা থাকার গুজব। ডাকাতরা বাসায়
প্রবেশ করে তাদের হা-পা বেঁধেই জানতে চায়, ‘আমরা জানি তোদের বাসায় সাড়ে ৫
কোটি টাকা আছে। টাকা কোথায় রাখচস বল।’ শুক্রবার মধ্য রাতে নাটকীয় কৌশলে
উত্তর যাত্রাবাড়ীর ৭৬/১/এল/১৩ বিবিরবাগিচা এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি
কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামানের বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। ডাকাতিকালে
নির্যাতন ও গলাটিপে হত্যা করা হয় তার মেঝ মেয়ে সৈয়দা ছাবেকুন নাহার
নিগারকে। খুন করার আগে নিগারকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করেছিল বলে ধারণা করছেন
তদন্ত কর্মকর্তারা। তার মুখমণ্ডল ও গলায় নখের অঁাঁচড়সহ ধর্ষণজনিত
নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জামা-কাপড়ও ছিল ছেঁড়া। লাশের সুরতহাল
প্রতিবেদনেও এমন আশংকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট
পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সশস্ত্র বাহিনী বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ কামরুজ্জামানের এক ছেলে তিন মেয়ে। একমাত্র ছেলে এসএম সোহেলুজ্জামান আমেরিকা প্রবাসী। তার তিন মেয়ে নাহার, নিগার ও নিশাত। এদের মধ্যে নিশাতও আমেরিকা প্রবাসী। বড় মেয়ে স্বামীর সঙ্গে ওয়ারীতে থাকেন। সৈয়দ কামরুজ্জামান মেজ মেয়ে নিগার ও স্ত্রী তাহেরা খাতুনকে নিয়ে তিন তলা ওই বাড়ির দোতলায় থাকতেন। বাড়িটি তার নিজের। এছাড়াও যাত্রাবাড়ীতে তাদের আরও একটি বাড়ি আছে।
বাড়ির মালিক কামারুজ্জামান ও তার আত্মীয়রা জানান, ‘গত সপ্তাহে দুই ভাই পরিচয় দিয়ে ২০-২২ বছর বয়সী দুই যুবক তার বাড়ির নিচ তলার তিনটি কক্ষ ভাড়া নেয়। তারা ছাত্র পরিচয় দিয়ে মাত্র দেড় হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে বাড়িতে কিছু বইপত্র, হাঁড়ি-পাতিল এনে রাখে। তারা ১ জুন থেকে ওঠার কথা।
এর মধ্যে এসে অনুনয়-বিনয় করে জানায় তাদের থাকার সমস্যা। বাসার নিচ তলা যেহেতু খালি আছে তাই আগেই সেখানে উঠতে চায়। ২৫ তারিখ তারা অগ্রিমের বাকি টাকা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসবে। কামরুজ্জামান ও তাহেরা দম্পতি সরল বিশ্বাসে তাদের থাকতে দেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই যুবক বাসায় ছিল। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তারা দোতলায় এসে ফ্যান লাগানোর জন্য একটি চেয়ার চায়। দরজা খুলে দেয়ার পর ২২-২৩ বছর বয়সী দুই যুবক ভেতরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পরে আরও ৫-৬ জন বাসায় প্রবেশ করে। অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে পাটের দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। কামারুজ্জামান ও তার স্ত্রীকে এক রুমে নিয়ে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে আটকে রাখে। তাদের মারধর করে আলমিরা ও ওয়ারড্রোবের চাবি নিয়ে যায়। কয়েক যুবক নিগারকে নিয়ে যায় পাশের রুমে। তার মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে দেয় ও হাত বেঁধে ফেলে। বাড়ির মালিক জানান, ৭-৮ যুবকের সবার বয়স ছিল ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তাদের দু-একজন কলেজছাত্র হতে পারে।
নিগারের মা তাহেরা জানান, ভাড়াটিয়া হিসেবে আসা ওই ছেলেরা বলে, ‘তোদের বাসায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা আছে। টাকা কোথায় রাখচস বল।’ একথা বলেই আমাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। নিগারকে তারা পাশের রুমে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ধস্তাধস্তি ও গোঙানির শব্দ শোনা গেছে। এরপর তার সব শেষ।
বাসায় আসলে বড় অংকের কোনো টাকা (সাড়ে ৫ কোটি) ছিল কিনা জানতে চাইলে বাড়ির মালিক কামরুজ্জামান বলেন, এত টাকা কেউ বাসায় রাখে না। তার বাসাতেও ছিল না। তিনি ও তার স্ত্রী এবং মেয়ের কাছে মিলে লাখ খানেক টাকা থাকতে পারে। সাড়ে ৫ কোটি টাকা থাকার বিষয়টি ছিল গুজব।
বাসায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাসার বেডরুমে নিগারের লাশ উপুড় অবস্থায় পড়ে আছে। চোখে ঘুষির দাগ, মুখে ও গলায় নখের আঁচড় ছিল। নিগারের গলার নিচে কালচে দাগ রয়েছে। সবুজ, কালো, সাদা প্রিন্টের বাটিকের জামাটি ছিলে ছেঁড়া। লাশের অবস্থা দেখে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা হত্যার আগে নিগারকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, হত্যার আগে মেয়েটিকে (নিগার) ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করা হয়েছিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এছাড়া নিগারের লাশের পাশে ও অন্য কক্ষে লেপ-তোশক এলোমেলো। যে দড়ি দিয়ে নিগারকে বাঁধা হয়েছে সেগুলো টুকরো টুকরো পড়ে আছে।
নিগারের খালাতো ভাই রনি জানান, তিন তলা বাড়ির দোতলায় নিগার ও তার মা-বাবা এ তিনজনই থাকতেন। তাদের বাসায় কোনো কাজের লোক ছিল না। ছুটা বুয়া এসে কাজ করে চলে যেত।
পুলিশ জানায়, বাসা থেকে কিছু নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার, দুটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে ডাকাতরা। ঠিক কত টাকা নিয়েছে ডাকাতরা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিগারের লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। তার প্রবাসী ভাই ও বোন আসার পর লাশ দাফন করা হবে।
এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা ও ডাকাতির মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করছেন যাত্রাবাড়ী থানার এসআই পরিমল চন্দ্র দাস। তিনি জানান, ভাড়াটিয়া সেজে সংঘবদ্ধ চক্র ডাকাতি করেছে। হত্যার আগে নিগারকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা বিষয়টি এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। নিগারকে হাত বেঁধে গলা টিপে হত্যা করা হয়। তার মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে রাখা হয়। ডাকাতদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে নিগারের জামা ছিঁড়ে গেছে। আর মুখে স্কচটেপ দেয়া থাকায় দাগ পড়েছে। এছাড়া নিগারের চেহারায় ঘুষির দাগ ছিল। কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ওই বাসা ভাড়া নেয়া হয়েছিল। এ দলে ৭-৮ জন ছিল। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। প্রযুক্তিগত তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সশস্ত্র বাহিনী বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ কামরুজ্জামানের এক ছেলে তিন মেয়ে। একমাত্র ছেলে এসএম সোহেলুজ্জামান আমেরিকা প্রবাসী। তার তিন মেয়ে নাহার, নিগার ও নিশাত। এদের মধ্যে নিশাতও আমেরিকা প্রবাসী। বড় মেয়ে স্বামীর সঙ্গে ওয়ারীতে থাকেন। সৈয়দ কামরুজ্জামান মেজ মেয়ে নিগার ও স্ত্রী তাহেরা খাতুনকে নিয়ে তিন তলা ওই বাড়ির দোতলায় থাকতেন। বাড়িটি তার নিজের। এছাড়াও যাত্রাবাড়ীতে তাদের আরও একটি বাড়ি আছে।
বাড়ির মালিক কামারুজ্জামান ও তার আত্মীয়রা জানান, ‘গত সপ্তাহে দুই ভাই পরিচয় দিয়ে ২০-২২ বছর বয়সী দুই যুবক তার বাড়ির নিচ তলার তিনটি কক্ষ ভাড়া নেয়। তারা ছাত্র পরিচয় দিয়ে মাত্র দেড় হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে বাড়িতে কিছু বইপত্র, হাঁড়ি-পাতিল এনে রাখে। তারা ১ জুন থেকে ওঠার কথা।
এর মধ্যে এসে অনুনয়-বিনয় করে জানায় তাদের থাকার সমস্যা। বাসার নিচ তলা যেহেতু খালি আছে তাই আগেই সেখানে উঠতে চায়। ২৫ তারিখ তারা অগ্রিমের বাকি টাকা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসবে। কামরুজ্জামান ও তাহেরা দম্পতি সরল বিশ্বাসে তাদের থাকতে দেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই যুবক বাসায় ছিল। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তারা দোতলায় এসে ফ্যান লাগানোর জন্য একটি চেয়ার চায়। দরজা খুলে দেয়ার পর ২২-২৩ বছর বয়সী দুই যুবক ভেতরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পরে আরও ৫-৬ জন বাসায় প্রবেশ করে। অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে পাটের দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। কামারুজ্জামান ও তার স্ত্রীকে এক রুমে নিয়ে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে আটকে রাখে। তাদের মারধর করে আলমিরা ও ওয়ারড্রোবের চাবি নিয়ে যায়। কয়েক যুবক নিগারকে নিয়ে যায় পাশের রুমে। তার মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে দেয় ও হাত বেঁধে ফেলে। বাড়ির মালিক জানান, ৭-৮ যুবকের সবার বয়স ছিল ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তাদের দু-একজন কলেজছাত্র হতে পারে।
নিগারের মা তাহেরা জানান, ভাড়াটিয়া হিসেবে আসা ওই ছেলেরা বলে, ‘তোদের বাসায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা আছে। টাকা কোথায় রাখচস বল।’ একথা বলেই আমাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। নিগারকে তারা পাশের রুমে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ধস্তাধস্তি ও গোঙানির শব্দ শোনা গেছে। এরপর তার সব শেষ।
বাসায় আসলে বড় অংকের কোনো টাকা (সাড়ে ৫ কোটি) ছিল কিনা জানতে চাইলে বাড়ির মালিক কামরুজ্জামান বলেন, এত টাকা কেউ বাসায় রাখে না। তার বাসাতেও ছিল না। তিনি ও তার স্ত্রী এবং মেয়ের কাছে মিলে লাখ খানেক টাকা থাকতে পারে। সাড়ে ৫ কোটি টাকা থাকার বিষয়টি ছিল গুজব।
বাসায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাসার বেডরুমে নিগারের লাশ উপুড় অবস্থায় পড়ে আছে। চোখে ঘুষির দাগ, মুখে ও গলায় নখের আঁচড় ছিল। নিগারের গলার নিচে কালচে দাগ রয়েছে। সবুজ, কালো, সাদা প্রিন্টের বাটিকের জামাটি ছিলে ছেঁড়া। লাশের অবস্থা দেখে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা হত্যার আগে নিগারকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, হত্যার আগে মেয়েটিকে (নিগার) ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করা হয়েছিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এছাড়া নিগারের লাশের পাশে ও অন্য কক্ষে লেপ-তোশক এলোমেলো। যে দড়ি দিয়ে নিগারকে বাঁধা হয়েছে সেগুলো টুকরো টুকরো পড়ে আছে।
নিগারের খালাতো ভাই রনি জানান, তিন তলা বাড়ির দোতলায় নিগার ও তার মা-বাবা এ তিনজনই থাকতেন। তাদের বাসায় কোনো কাজের লোক ছিল না। ছুটা বুয়া এসে কাজ করে চলে যেত।
পুলিশ জানায়, বাসা থেকে কিছু নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার, দুটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে ডাকাতরা। ঠিক কত টাকা নিয়েছে ডাকাতরা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিগারের লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। তার প্রবাসী ভাই ও বোন আসার পর লাশ দাফন করা হবে।
এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা ও ডাকাতির মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করছেন যাত্রাবাড়ী থানার এসআই পরিমল চন্দ্র দাস। তিনি জানান, ভাড়াটিয়া সেজে সংঘবদ্ধ চক্র ডাকাতি করেছে। হত্যার আগে নিগারকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা বিষয়টি এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। নিগারকে হাত বেঁধে গলা টিপে হত্যা করা হয়। তার মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে রাখা হয়। ডাকাতদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে নিগারের জামা ছিঁড়ে গেছে। আর মুখে স্কচটেপ দেয়া থাকায় দাগ পড়েছে। এছাড়া নিগারের চেহারায় ঘুষির দাগ ছিল। কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ওই বাসা ভাড়া নেয়া হয়েছিল। এ দলে ৭-৮ জন ছিল। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। প্রযুক্তিগত তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
No comments