মেহেরপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতি- কার্যালয় বন্ধ আট বছর, দলে তিন ধারা by তুহিন আরন্য
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি কার্যত আট বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। দলীয় কর্মকাণ্ডে গতি আনতে ১৩ বছর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের নতুন কমিটি হয়েছে। কিন্তু কার্যালয়ের হাল একই রয়েছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলে তিনটি ধারা থাকার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মেহেরপুর শহরের পাসপোর্ট অফিসের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। সেখানে সাইনবোর্ড ঝুলছে, কিন্তু তালাবদ্ধ। কার্যালয় ভবনের সামনের দিকে কয়েকটি দোকানঘর। জানতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, সর্বশেষ কবে তাঁরা কার্যালয়টি খোলা দেখেছেন, তা মনে করতে পারছেন না।
ওই ভবনের মালিক শহিদ ইকবাল ওরফে লিমন জানান, ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুরোধে ভবনটি ভাড়া দেন। তিনি অফিসটি ৮ থেকে ১০ দিন খুলতে দেখেছেন। এ পর্যন্ত কোনো ভাড়া পাননি। ভবনটি ছাড়তে বলতেও পারছেন না।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের তিনটি ধারার মধ্যে একাংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেহেরপুর-১ আসনের সাংসদ ও জেলা সভাপতি ফরহাদ হোসেন। তাঁর সঙ্গে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক। আরেক অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের প্রশাসক আইনজীবী মিয়াজান আলী। আর তৃতীয় অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল।
আওয়ামী লীগের ৮ থেকে ১০ জন নেতা-কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দলের আগের সভাপতি ও সম্পাদককে বাদ দিয়ে তিন মাস আগে নতুন জেলা কমিটি হয়েছে। সেখানে কাউন্সিলরদের মতামত নেওয়া হয়নি। প্রত্যাশা ছিল নতুন সাংসদ দলে সুস্থ রাজনীতির চর্চা শুরু করবেন। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এ কারণে আগের মতো এখনো টেন্ডারবাজি, দখল, হামলা, নিয়োগ বাণিজ্য ভিন্ন কৌশলে চলছে।
নতুন কমিটি সবে দায়িত্ব নিয়েছে। কার্যালয় খোলা হবে কি না, চিন্তাভাবনা চলছে-আবদুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক দলীয় কার্যালয় না খোলা এবং দলের তিনটি ধারার বিষয়ে সাংসদের অনুসারী বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বলেন, নতুন কমিটি সবে দায়িত্ব নিয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করা হচ্ছে। কার্যালয় খোলা হবে কি না, চিন্তাভাবনা চলছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও একটি ধারার নেতা মিয়াজান আলী বলেন, কাউন্সিলের পর দলীয় মিছিল-মিটিং বন্ধ। সবকিছু হয় সাংসদের ইচ্ছেমতো। তিনি বলেন, সময়মতো এর জবাব দেওয়া হবে। মিয়াজানের দাবি, তাঁর সঙ্গে দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ জয়নাল আবেদীন, শহর আওয়ামী লীগ ও জেলা যুবলীগ রয়েছে। তাঁর এই দাবির বিষয়ে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়ারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজনীতি নেই, চলছে হরিলুট। বেশি কিছু বললে পদও থাকবে না। তাই রাজনীতি নিয়ে নিশ্চুপ তাঁরা।
নিজে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক থাকার সময় দলীয় কার্যালয় না খোলা প্রসঙ্গে মিয়াজান আলী বলেন, ‘নেতারা সবাই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বসতেন বলে দলীয় কার্যালয় খোলা হয়নি।’
দলের তৃতীয় অংশের নেতা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগসহ একাধিক অঙ্গসংগঠন রয়েছে। সাংসদ নেতাদের ডাকেন না। নেতারা সাংসদের কাছে যান না। কাউন্সিলের পর নেতাদের নিয়ে বসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কেন্দ্রীয় নির্দেশ ছিল। সাংসদ সেটাও করেননি। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রুপিংয়ে বিশ্বাস করি না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা মেনে সংগঠন পরিচালনা করি।’
মেহেরপুর শহরের পাসপোর্ট অফিসের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। সেখানে সাইনবোর্ড ঝুলছে, কিন্তু তালাবদ্ধ। কার্যালয় ভবনের সামনের দিকে কয়েকটি দোকানঘর। জানতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, সর্বশেষ কবে তাঁরা কার্যালয়টি খোলা দেখেছেন, তা মনে করতে পারছেন না।
ওই ভবনের মালিক শহিদ ইকবাল ওরফে লিমন জানান, ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুরোধে ভবনটি ভাড়া দেন। তিনি অফিসটি ৮ থেকে ১০ দিন খুলতে দেখেছেন। এ পর্যন্ত কোনো ভাড়া পাননি। ভবনটি ছাড়তে বলতেও পারছেন না।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের তিনটি ধারার মধ্যে একাংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেহেরপুর-১ আসনের সাংসদ ও জেলা সভাপতি ফরহাদ হোসেন। তাঁর সঙ্গে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক। আরেক অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের প্রশাসক আইনজীবী মিয়াজান আলী। আর তৃতীয় অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল।
আওয়ামী লীগের ৮ থেকে ১০ জন নেতা-কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দলের আগের সভাপতি ও সম্পাদককে বাদ দিয়ে তিন মাস আগে নতুন জেলা কমিটি হয়েছে। সেখানে কাউন্সিলরদের মতামত নেওয়া হয়নি। প্রত্যাশা ছিল নতুন সাংসদ দলে সুস্থ রাজনীতির চর্চা শুরু করবেন। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এ কারণে আগের মতো এখনো টেন্ডারবাজি, দখল, হামলা, নিয়োগ বাণিজ্য ভিন্ন কৌশলে চলছে।
নতুন কমিটি সবে দায়িত্ব নিয়েছে। কার্যালয় খোলা হবে কি না, চিন্তাভাবনা চলছে-আবদুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক দলীয় কার্যালয় না খোলা এবং দলের তিনটি ধারার বিষয়ে সাংসদের অনুসারী বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বলেন, নতুন কমিটি সবে দায়িত্ব নিয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করা হচ্ছে। কার্যালয় খোলা হবে কি না, চিন্তাভাবনা চলছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও একটি ধারার নেতা মিয়াজান আলী বলেন, কাউন্সিলের পর দলীয় মিছিল-মিটিং বন্ধ। সবকিছু হয় সাংসদের ইচ্ছেমতো। তিনি বলেন, সময়মতো এর জবাব দেওয়া হবে। মিয়াজানের দাবি, তাঁর সঙ্গে দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ জয়নাল আবেদীন, শহর আওয়ামী লীগ ও জেলা যুবলীগ রয়েছে। তাঁর এই দাবির বিষয়ে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়ারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজনীতি নেই, চলছে হরিলুট। বেশি কিছু বললে পদও থাকবে না। তাই রাজনীতি নিয়ে নিশ্চুপ তাঁরা।
নিজে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক থাকার সময় দলীয় কার্যালয় না খোলা প্রসঙ্গে মিয়াজান আলী বলেন, ‘নেতারা সবাই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বসতেন বলে দলীয় কার্যালয় খোলা হয়নি।’
দলের তৃতীয় অংশের নেতা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগসহ একাধিক অঙ্গসংগঠন রয়েছে। সাংসদ নেতাদের ডাকেন না। নেতারা সাংসদের কাছে যান না। কাউন্সিলের পর নেতাদের নিয়ে বসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কেন্দ্রীয় নির্দেশ ছিল। সাংসদ সেটাও করেননি। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রুপিংয়ে বিশ্বাস করি না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা মেনে সংগঠন পরিচালনা করি।’
No comments