সুব্রামানিয়াম জয়শংকরের সফর
ভারতের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফরে এলে দেশবাসী আগ্রহের সঙ্গে তাকিয়ে থাকে- তিনি দু’দেশের অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধানের বিষয়ে কোনো বার্তা নিয়ে এসেছেন কিনা। ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শংকরের সফরেও মানুষ আশা করেছে, তার এ সফরে বহু কাক্সিক্ষত তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর এবং স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি জানা যাবে। কারণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্রুত তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আশ্বাসবাণী দিয়েছেন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশ সফরের সময়ও এ বিষয়ে তার সদিচ্ছা ব্যক্ত করে গেছেন। এ প্রেক্ষাপটে কবে এসবের বাস্তব রূপ দেখতে পাবে মানুষ, সেই অপেক্ষার পালা। এ সংক্রান্ত কর্মতৎপরতার দিকে মানুষের দৃষ্টি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আমাদের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হকের কাছ থেকে এটুকু জানা গেছে যে, তিস্তা নিয়ে ভারতের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, তিস্তার পানিপ্রবাহ বর্তমানে সর্বনিু পর্যায়ে রয়েছে। এতে সংকটে পড়েছে চলতি বোরো মৌসুমের কৃষকরা। অন্যদিকে স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়ায় দু’দেশের ছিটমহলের অধিবাসীদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্যসহ দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়, উপ-আঞ্চলিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। বস্তুত এটি ছিল ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের একটি শুভেচ্ছা সফর। গত ২৯ জানুয়ারি সুব্রামানিয়াম জয়শংকর এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তাই শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাকে সার্কভুক্ত দেশগুলোয় সফরে পাঠিয়েছেন। জয়শংকর রোববার ভুটান সফর শেষ করে বাংলাদেশে আসেন। এ সফর শেষে তিনি যাবেন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নরেন্দ্র মোদির একটি চিঠি হস্তান্তর করেছেন। ওই চিঠিতে মোদি বলেছেন, তিনি আগ্রহের সঙ্গে ঢাকা সফরের অপেক্ষা করছেন। হতে পারে ওই সফরের সময়েই স্বাক্ষরিত হবে তিস্তা চুক্তি। তাই দ্রুত নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রত্যাশা করছে দেশবাসী।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে চুক্তি আর স্বাক্ষরিত হয়নি। বস্তুত এ সমস্যার সমাধান না হওয়া ছিল বাংলাদেশের জনগণের জন্য হতাশাজনক। পরবর্তী সময়েও মমতার বিভিন্ন বক্তব্যে এ বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু ভারতের ক্ষমতা কেন্দ্রে পরিবর্তনের পর তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণ নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠেছে। মমতার মনোভাবেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বস্তুত নরেন্দ্র মোদি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী। তাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধানের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বর্তমানে। তবে শুধু তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর এবং সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন নয়- বাণিজ্য, পর্যটন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানসহ সব ক্ষেত্রেই দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়া প্রয়োজন। এজন্য আমাদের শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না, আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতাও আরও জোরদার করতে হবে।
জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আমাদের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হকের কাছ থেকে এটুকু জানা গেছে যে, তিস্তা নিয়ে ভারতের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, তিস্তার পানিপ্রবাহ বর্তমানে সর্বনিু পর্যায়ে রয়েছে। এতে সংকটে পড়েছে চলতি বোরো মৌসুমের কৃষকরা। অন্যদিকে স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়ায় দু’দেশের ছিটমহলের অধিবাসীদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্যসহ দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়, উপ-আঞ্চলিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। বস্তুত এটি ছিল ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের একটি শুভেচ্ছা সফর। গত ২৯ জানুয়ারি সুব্রামানিয়াম জয়শংকর এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তাই শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাকে সার্কভুক্ত দেশগুলোয় সফরে পাঠিয়েছেন। জয়শংকর রোববার ভুটান সফর শেষ করে বাংলাদেশে আসেন। এ সফর শেষে তিনি যাবেন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নরেন্দ্র মোদির একটি চিঠি হস্তান্তর করেছেন। ওই চিঠিতে মোদি বলেছেন, তিনি আগ্রহের সঙ্গে ঢাকা সফরের অপেক্ষা করছেন। হতে পারে ওই সফরের সময়েই স্বাক্ষরিত হবে তিস্তা চুক্তি। তাই দ্রুত নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রত্যাশা করছে দেশবাসী।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে চুক্তি আর স্বাক্ষরিত হয়নি। বস্তুত এ সমস্যার সমাধান না হওয়া ছিল বাংলাদেশের জনগণের জন্য হতাশাজনক। পরবর্তী সময়েও মমতার বিভিন্ন বক্তব্যে এ বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু ভারতের ক্ষমতা কেন্দ্রে পরিবর্তনের পর তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণ নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠেছে। মমতার মনোভাবেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বস্তুত নরেন্দ্র মোদি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী। তাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধানের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বর্তমানে। তবে শুধু তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর এবং সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন নয়- বাণিজ্য, পর্যটন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানসহ সব ক্ষেত্রেই দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়া প্রয়োজন। এজন্য আমাদের শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না, আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতাও আরও জোরদার করতে হবে।
No comments