বনের ওপর বন বিভাগের থাবা by হাফিজুর রহমান ও এম জসীম উদ্দীন
দুই সংরক্ষিত বনে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার বানাচ্ছে বন বিভাগ : কাটা পড়ছে বহু গাছগাছালি : পরিবেশবাদীদের উদ্বেগ
নাগরিক
প্রতিবাদ ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা উপেক্ষা করেই পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের নির্মাণকাজ
চলছে হবিগঞ্জের সংরক্ষিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। পাশাপাশি করা হচ্ছে সড়কও।
কাটা পড়ছে বহু গাছগাছালি। একই কাজ চলছে বরগুনার সংরক্ষিত বন হরিণঘাটায়ও
(লালদিয়া)।
উন্নয়নের নামে বন বিভাগের এ কর্মকাণ্ডে প্রকৃতপক্ষে বনগুলোই ধ্বংস হচ্ছে এবং বনের জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ করছেন পরিবেশবাদীরা। বনাঞ্চল দুটি আর সংরক্ষিত থাকবে কি না, তা নিয়েও দেখা দিচ্ছে প্রশ্ন। অবাক ব্যাপার হলো, এ কাজে ব্যয় করা হচ্ছে জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ তহবিলের অর্থ।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান: বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাতছড়ি বনাঞ্চলের আয়তন ৩৭৫০ একর। এর মধ্যে সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যানটি ৬০০ একর এলাকা নিয়ে গঠিত। ২০০৫ সালে সাতছড়িকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় অধিবাসীদের নিয়ে সহব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে উদ্যানটি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এবং দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরাজিতে সমৃদ্ধ এই বনের আশপাশ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও সুরক্ষার স্বার্থে ভেতরটা ছিল জনসাধারণ থেকে সংরক্ষিত। বনের ভেতরে এখন তৈরি করা হচ্ছে ১২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০ ফুট উঁচু একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। সঙ্গে সাড়ে ছয় ফুট প্রশস্ত সড়ক। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বন্য প্রাণী সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় এ কাজ চলছে।
সাতছড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে বনের এক কিলোমিটার ভেতরে দর্শনার্থীদের জন্য ওই টাওয়ারের নির্মাণকাজ চলছে। গত বছরের মে থেকে শুরু হওয়া এ কাজের প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। টাওয়ারে প্রবেশের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে এক কিলোমিটার রাস্তা। চলছে ছড়ার ওপর কালভার্ট নির্মাণও। এ কাজে ইতিমধ্যে কাটা পড়েছে অসংখ্য গাছগাছালি ও টিলার মতো ভূমি। পাহাড়ের স্থানে স্থানে করা হয়েছে গর্ত।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ইচ্ছা করলেই এই সংরক্ষিত বনের ভেতরে স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। টাওয়ার, সড়কসহ অবকাঠামো তৈরির কারণে বনের ভেতরে লোকসমাগম বাড়বে। এতে এখানকার জীববৈচিত্র্যে প্রভাব পড়বে। বন বিভাগ নিজেই বনে আঘাত হানছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ সাঈদ আলী বলেন, এই উন্নয়নকাজে কিছুটা প্রাকৃতিক ক্ষতি হতে পারে। তবে তাঁদের কিছু করার নেই। কারণ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন এ কাজ চলছে। স্থানীয়ভাবে তাঁরা শুধু স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
শ্বাসমূলীয় বন হরিণঘাটা: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সংরক্ষিত বন হরিণঘাটা। বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে মিলিত হওয়া তিন নদ-নদী পায়রা-বলেশ্বর-বিষখালীর মোহনার শ্বাসমূলীয় বন এটি। বলিষ্ঠ ও আকারে বড় চিত্রল হরিণের বাস বলেই বনের এমন নাম। স্থানীয়ভাবে লালদিয়ার বন নামে পরিচিত।
জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল থেকে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে এই ‘উন্নয়নকাজ’ করছে বন বিভাগ।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের শেষ দিকে এখানে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের আওতায় প্রায় তিন হাজার হেক্টর আয়তনের এই বনে পাঁচতলা একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, আরসিসি খুঁটির ওপর কাঠের পাটাতন দেওয়া এক কিলোমিটার দীর্ঘ হাঁটার পথ, চারটি পাকা বিশ্রামাগার, একটি পাকা সেতু, ১০টি পাকা বেঞ্চ, একটি গণশৌচাগার ও একটি জেটি নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, বিশ্রামাগার, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হরিণঘাটা বিট কার্যালয় থেকে আগে যে সরু মাটির রাস্তা বনের মধ্যে গিয়ে মিলেছিল, এখন সেখানে ঢালাইয়ের খুঁটির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে ১২ ফুট প্রশস্ত রাস্তা। প্রকল্পের প্রথম ধাপে রাস্তাটি যাবে বনের গভীরে এক কিলোমিটার পর্যন্ত। পরবর্তী ধাপে এটা তিন কিলোমিটার বেড়ে মিলবে বঙ্গোপসাগরের মোহনায়। বনে ঢুকতে ছোট্ট খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে একটি পাকা সেতু। সেতু পার হয়ে একটু পশ্চিমে এগোতেই পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই এসব স্থাপনা করা হচ্ছে। এতে এলাকার মানুষের সচ্ছলতা আসবে। তবে বাপার বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন বলেন, ‘সংরক্ষিত বনে এ ধরনের স্থাপনা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের উন্নয়নের জন্য পরিবেশ অধিপ্তরের ছাড়পত্র প্রয়োজন। কিন্তু এ ছাড়পত্র অধিদপ্তর দিয়ে থাকলেও সেটা অনৈতিক।’
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, এরই মধ্যে কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। নির্মাণকাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে বনের গাছ। এমনিতেই ভাঙনে বনের আধা কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বনের ঝাউবাগানটিও প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এতে বনের অস্তিত্বই এখন হুমকিতে। চর লাঠিমারা এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, ‘এই বন না থাকলে ঘূর্ণিঝড় সিডরে আমরা হয়তো বাঁচতেই পারতাম না। এই অঞ্চলের মানুষ বেঁচে আছে এই বনের কারণে।’
যোগাযোগ করা হলে পটুয়াখালী-বরগুনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার বলেন, ‘এতে বন ও জীববৈচিত্র্যের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, যেসব স্থান দিয়ে রাস্তা নেওয়া হয়েছে, সেসব স্থানে গাছ খুব কম ছিল। বেশি গাছ কাটা পড়েনি। তা ছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে বনায়নও করা হচ্ছে।’
সংরক্ষিত বনে মানুষের আনাগোনা কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে তো কেউ রাত্রিযাপন করবে না। এ কথা ভেবেই এখানে কোনো রেস্টহাউস নির্মাণ করা হয়নি।’
উন্নয়নের নামে বন বিভাগের এ কর্মকাণ্ডে প্রকৃতপক্ষে বনগুলোই ধ্বংস হচ্ছে এবং বনের জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ করছেন পরিবেশবাদীরা। বনাঞ্চল দুটি আর সংরক্ষিত থাকবে কি না, তা নিয়েও দেখা দিচ্ছে প্রশ্ন। অবাক ব্যাপার হলো, এ কাজে ব্যয় করা হচ্ছে জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ তহবিলের অর্থ।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান: বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাতছড়ি বনাঞ্চলের আয়তন ৩৭৫০ একর। এর মধ্যে সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যানটি ৬০০ একর এলাকা নিয়ে গঠিত। ২০০৫ সালে সাতছড়িকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় অধিবাসীদের নিয়ে সহব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে উদ্যানটি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এবং দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরাজিতে সমৃদ্ধ এই বনের আশপাশ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও সুরক্ষার স্বার্থে ভেতরটা ছিল জনসাধারণ থেকে সংরক্ষিত। বনের ভেতরে এখন তৈরি করা হচ্ছে ১২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০ ফুট উঁচু একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। সঙ্গে সাড়ে ছয় ফুট প্রশস্ত সড়ক। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বন্য প্রাণী সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় এ কাজ চলছে।
সাতছড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে বনের এক কিলোমিটার ভেতরে দর্শনার্থীদের জন্য ওই টাওয়ারের নির্মাণকাজ চলছে। গত বছরের মে থেকে শুরু হওয়া এ কাজের প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। টাওয়ারে প্রবেশের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে এক কিলোমিটার রাস্তা। চলছে ছড়ার ওপর কালভার্ট নির্মাণও। এ কাজে ইতিমধ্যে কাটা পড়েছে অসংখ্য গাছগাছালি ও টিলার মতো ভূমি। পাহাড়ের স্থানে স্থানে করা হয়েছে গর্ত।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ইচ্ছা করলেই এই সংরক্ষিত বনের ভেতরে স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। টাওয়ার, সড়কসহ অবকাঠামো তৈরির কারণে বনের ভেতরে লোকসমাগম বাড়বে। এতে এখানকার জীববৈচিত্র্যে প্রভাব পড়বে। বন বিভাগ নিজেই বনে আঘাত হানছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ সাঈদ আলী বলেন, এই উন্নয়নকাজে কিছুটা প্রাকৃতিক ক্ষতি হতে পারে। তবে তাঁদের কিছু করার নেই। কারণ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন এ কাজ চলছে। স্থানীয়ভাবে তাঁরা শুধু স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
শ্বাসমূলীয় বন হরিণঘাটা: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সংরক্ষিত বন হরিণঘাটা। বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে মিলিত হওয়া তিন নদ-নদী পায়রা-বলেশ্বর-বিষখালীর মোহনার শ্বাসমূলীয় বন এটি। বলিষ্ঠ ও আকারে বড় চিত্রল হরিণের বাস বলেই বনের এমন নাম। স্থানীয়ভাবে লালদিয়ার বন নামে পরিচিত।
জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল থেকে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে এই ‘উন্নয়নকাজ’ করছে বন বিভাগ।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের শেষ দিকে এখানে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের আওতায় প্রায় তিন হাজার হেক্টর আয়তনের এই বনে পাঁচতলা একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, আরসিসি খুঁটির ওপর কাঠের পাটাতন দেওয়া এক কিলোমিটার দীর্ঘ হাঁটার পথ, চারটি পাকা বিশ্রামাগার, একটি পাকা সেতু, ১০টি পাকা বেঞ্চ, একটি গণশৌচাগার ও একটি জেটি নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, বিশ্রামাগার, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হরিণঘাটা বিট কার্যালয় থেকে আগে যে সরু মাটির রাস্তা বনের মধ্যে গিয়ে মিলেছিল, এখন সেখানে ঢালাইয়ের খুঁটির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে ১২ ফুট প্রশস্ত রাস্তা। প্রকল্পের প্রথম ধাপে রাস্তাটি যাবে বনের গভীরে এক কিলোমিটার পর্যন্ত। পরবর্তী ধাপে এটা তিন কিলোমিটার বেড়ে মিলবে বঙ্গোপসাগরের মোহনায়। বনে ঢুকতে ছোট্ট খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে একটি পাকা সেতু। সেতু পার হয়ে একটু পশ্চিমে এগোতেই পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই এসব স্থাপনা করা হচ্ছে। এতে এলাকার মানুষের সচ্ছলতা আসবে। তবে বাপার বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন বলেন, ‘সংরক্ষিত বনে এ ধরনের স্থাপনা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের উন্নয়নের জন্য পরিবেশ অধিপ্তরের ছাড়পত্র প্রয়োজন। কিন্তু এ ছাড়পত্র অধিদপ্তর দিয়ে থাকলেও সেটা অনৈতিক।’
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, এরই মধ্যে কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। নির্মাণকাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে বনের গাছ। এমনিতেই ভাঙনে বনের আধা কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বনের ঝাউবাগানটিও প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এতে বনের অস্তিত্বই এখন হুমকিতে। চর লাঠিমারা এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, ‘এই বন না থাকলে ঘূর্ণিঝড় সিডরে আমরা হয়তো বাঁচতেই পারতাম না। এই অঞ্চলের মানুষ বেঁচে আছে এই বনের কারণে।’
যোগাযোগ করা হলে পটুয়াখালী-বরগুনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার বলেন, ‘এতে বন ও জীববৈচিত্র্যের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, যেসব স্থান দিয়ে রাস্তা নেওয়া হয়েছে, সেসব স্থানে গাছ খুব কম ছিল। বেশি গাছ কাটা পড়েনি। তা ছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে বনায়নও করা হচ্ছে।’
সংরক্ষিত বনে মানুষের আনাগোনা কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে তো কেউ রাত্রিযাপন করবে না। এ কথা ভেবেই এখানে কোনো রেস্টহাউস নির্মাণ করা হয়নি।’
No comments