সোয়াইন ফ্লু
সোয়াইন ফ্লুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময় জানা যায়, সোয়াইন ফ্লুর প্রকোপ তার রাজ্যেও দেখা দিয়েছে। উদ্বিগ্ন সফররত মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন, শিগগিরই এই ফ্লুর মোকাবেলা করে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবে তার রাজ্য।
সোয়াইন ফ্লু পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশব্যাপী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেছেন। কিন্তু সেই নির্দেশ বাস্তবায়নের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং সোয়াইন ফ্লু শনাক্তকারী রি-এজেন্টের অভাবে। ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে অনেকটা ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার-এর লোককথার মতো। গত ১৮ ফেব্র“য়ারি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে জরুরি করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার যুগান্তরে প্রকাশিত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশও কাজে আসছে না শীর্ষক সংবাদে জানা যায় উপরোল্লিখিত বাস্তব পরিস্থিতি। দেশের ৬৪ জেলার হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট খোলার নির্দেশও দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী; তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধ ইউনিট গঠন বিলম্বিত হয়েছে অনেক জেলাতেই। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে স্থাপিত থার্মাল স্ক্যানারগুলো ভারত থেকে আসা যাত্রীদের জ্বর পরীক্ষার কাজে লাগানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু দেশের স্থলবন্দরগুলোতে মেডিকেল টিম গঠন করা হলেও সোয়াইন ফ্লু পরীক্ষার যন্ত্রপাতি ও ওষুধপত্র নেই। সোনামসজিদ স্থলবন্দর, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে ইমিগ্রেশন, দর্শনা-জয়নগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ দেশের অন্য স্থলবন্দরগুলোর অবস্থা প্রায় একই। অর্থাৎ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধ টিমগুলো গঠিত হলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধের অভাবে সেগুলো ঠুঁটো জগন্নাথ ভূমিকা পালন করছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ও বিদ্যমান বাস্তবতা থেকে এটাই উপলব্ধি করা যায় যে, সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে মন্ত্রী, ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্ট সবারই সর্বোচ্চ আন্তরিকতা রয়েছে; কিন্তু দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের সামর্থ্য একেবারেই শূন্যের কোঠায়। এটা একটা দুঃখজনক বাস্তবতা। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে গত ৪৪ বছরে কতটুকু এগোলো রাষ্ট্র? সামান্য ফ্লু প্রতিরোধের সামর্থ্য অর্জন করল না? আমরা আশা করি, স্বাস্থ্য বিভাগের এই অসামর্থ্য দূরীকরণে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হবে। মানুষের জীবন এতটা হেলাফেলায় দেখলে চলবে না।
সোয়াইন ফ্লু পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশব্যাপী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেছেন। কিন্তু সেই নির্দেশ বাস্তবায়নের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং সোয়াইন ফ্লু শনাক্তকারী রি-এজেন্টের অভাবে। ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে অনেকটা ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার-এর লোককথার মতো। গত ১৮ ফেব্র“য়ারি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে জরুরি করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার যুগান্তরে প্রকাশিত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশও কাজে আসছে না শীর্ষক সংবাদে জানা যায় উপরোল্লিখিত বাস্তব পরিস্থিতি। দেশের ৬৪ জেলার হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট খোলার নির্দেশও দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী; তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধ ইউনিট গঠন বিলম্বিত হয়েছে অনেক জেলাতেই। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে স্থাপিত থার্মাল স্ক্যানারগুলো ভারত থেকে আসা যাত্রীদের জ্বর পরীক্ষার কাজে লাগানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু দেশের স্থলবন্দরগুলোতে মেডিকেল টিম গঠন করা হলেও সোয়াইন ফ্লু পরীক্ষার যন্ত্রপাতি ও ওষুধপত্র নেই। সোনামসজিদ স্থলবন্দর, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে ইমিগ্রেশন, দর্শনা-জয়নগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ দেশের অন্য স্থলবন্দরগুলোর অবস্থা প্রায় একই। অর্থাৎ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধ টিমগুলো গঠিত হলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধের অভাবে সেগুলো ঠুঁটো জগন্নাথ ভূমিকা পালন করছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ও বিদ্যমান বাস্তবতা থেকে এটাই উপলব্ধি করা যায় যে, সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে মন্ত্রী, ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্ট সবারই সর্বোচ্চ আন্তরিকতা রয়েছে; কিন্তু দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের সামর্থ্য একেবারেই শূন্যের কোঠায়। এটা একটা দুঃখজনক বাস্তবতা। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে গত ৪৪ বছরে কতটুকু এগোলো রাষ্ট্র? সামান্য ফ্লু প্রতিরোধের সামর্থ্য অর্জন করল না? আমরা আশা করি, স্বাস্থ্য বিভাগের এই অসামর্থ্য দূরীকরণে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হবে। মানুষের জীবন এতটা হেলাফেলায় দেখলে চলবে না।
No comments