পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করতে হবে
পার্বত্য
চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘কম্বাইন্ড’ অভিযান জোরদার করার নির্দেশ
দেয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। বিভিন্ন পার্বত্য জেলায় সম্প্রতি বোমা ও
বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রসঙ্গটি নিয়ে আলোচনা
হওয়ার পর এ নির্দেশনা দেয়া হয়। সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে
প্রধানমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে পরিস্থিতি এভাবে চলতে
থাকলে এর সুযোগে বড় ধরনের নাশকতা হতে পারে। বৈঠকে মন্ত্রিসভার সদস্যদের কেউ
কেউ বলেছেন, সারা দেশে নাশকতা চালাতে পাহাড়ি এলাকা দিয়ে অস্ত্র, বোমা,
বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস আনার চেষ্টা হতে পারে। পাহাড়ি এলাকায়
জঙ্গিরা সংগঠিত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করতে পারে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীকে আরো সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকাসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম
এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কম্বাইন্ড অভিযান আরো জোরদার করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকা। বাংলাদেশের মোট আয়তনের এক-দশমাংশ নিয়ে গঠিত এই অঞ্চলের জনসংখ্যার অর্ধেক মূলধারার বাইরের ভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর। তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রয়েছে। সেখানকার জনশাসন ও ভূমিব্যবস্থার ধরনও সমতলের তুলনায় আলাদা। ব্রিটিশ উপনিবেশ আমল থেকে সেখানে স্বাভাবিক প্রশাসনের পাশাপাশি রাজাদের নিজস্ব ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ফলে সেখানকার যেকোনো সমস্যা মোকাবেলার ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, সে ধরনের সতর্ক সরকার সব সময় থাকতে পারেনি। স্বাধীনতার পর পর পাহাড়িদের সবাইকে বাঙালি হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তাদের মধ্যে একধরনের ক্ষোভ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেই ক্ষোভের পথ ধরে সেখানে সশস্ত্র বিদ্রোহের ঘটনাও ঘটে। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সে বিদ্রোহের অবসান ঘটায়। কিন্তু শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো রয়ে গেছে মতদ্বৈধতা। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এই শান্তিচুক্তি সরকার বাস্তবায়ন করছে না বলে অভিযোগ করে আসছে দীর্ঘ দিন। চুক্তি অনুসারে পার্বত্য আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদের নির্বাচনও ঠিকমতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালি নাগরিকদের সেখান থেকে সরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে ভূমির মালিকানাসহ নানা ইস্যুতে তাদের প্রতি একধরনের বৈষম্যমূলক অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে যেকোনো সময় সেখানে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে পার্বত্য জেলায় সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতি ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রসিত খিসা গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাতে সেখানে অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার ঘটার খবর বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে সেখানে আবার সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করার যে হুমকি বিভিন্ন সময় সন্তু লারমা দিয়েছেন, তা বাস্তবে ঘটলে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো সেনাক্যাম্প পার্বত্য জেলাগুলোতে নেই। এই অবস্থায় পাহাড়ে জঙ্গিরা যাতে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে না পারে তার জন্য যেমন পদক্ষেপ নেয়া দরকার, তেমনিভাবে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক রাখা এবং প্রয়োজনে স্পর্শকাতর দুর্গম এলাকায় সেনাক্যাম্প স্থাপনের বিষয়ও বিবেচনা করা দরকার। একই সাথে পাহাড়িদের নিজস্ব অধিকার ও জীবনাচার যাতে কোনোভাবে আক্রান্ত না হয় সেটির প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকা। বাংলাদেশের মোট আয়তনের এক-দশমাংশ নিয়ে গঠিত এই অঞ্চলের জনসংখ্যার অর্ধেক মূলধারার বাইরের ভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর। তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রয়েছে। সেখানকার জনশাসন ও ভূমিব্যবস্থার ধরনও সমতলের তুলনায় আলাদা। ব্রিটিশ উপনিবেশ আমল থেকে সেখানে স্বাভাবিক প্রশাসনের পাশাপাশি রাজাদের নিজস্ব ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ফলে সেখানকার যেকোনো সমস্যা মোকাবেলার ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, সে ধরনের সতর্ক সরকার সব সময় থাকতে পারেনি। স্বাধীনতার পর পর পাহাড়িদের সবাইকে বাঙালি হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তাদের মধ্যে একধরনের ক্ষোভ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেই ক্ষোভের পথ ধরে সেখানে সশস্ত্র বিদ্রোহের ঘটনাও ঘটে। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সে বিদ্রোহের অবসান ঘটায়। কিন্তু শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো রয়ে গেছে মতদ্বৈধতা। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এই শান্তিচুক্তি সরকার বাস্তবায়ন করছে না বলে অভিযোগ করে আসছে দীর্ঘ দিন। চুক্তি অনুসারে পার্বত্য আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদের নির্বাচনও ঠিকমতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালি নাগরিকদের সেখান থেকে সরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে ভূমির মালিকানাসহ নানা ইস্যুতে তাদের প্রতি একধরনের বৈষম্যমূলক অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে যেকোনো সময় সেখানে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে পার্বত্য জেলায় সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতি ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রসিত খিসা গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাতে সেখানে অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার ঘটার খবর বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে সেখানে আবার সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করার যে হুমকি বিভিন্ন সময় সন্তু লারমা দিয়েছেন, তা বাস্তবে ঘটলে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো সেনাক্যাম্প পার্বত্য জেলাগুলোতে নেই। এই অবস্থায় পাহাড়ে জঙ্গিরা যাতে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে না পারে তার জন্য যেমন পদক্ষেপ নেয়া দরকার, তেমনিভাবে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক রাখা এবং প্রয়োজনে স্পর্শকাতর দুর্গম এলাকায় সেনাক্যাম্প স্থাপনের বিষয়ও বিবেচনা করা দরকার। একই সাথে পাহাড়িদের নিজস্ব অধিকার ও জীবনাচার যাতে কোনোভাবে আক্রান্ত না হয় সেটির প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
No comments