রাজনৈতিক সঙ্কটের সর্বগ্রাসী প্রতিক্রিয়া
ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে লক্ষাধিক হকারকে। এর কারণ, অব্যাহত অবরোধ-হরতালে তাদের ব্যবসা সাংঘাতিক মার খাচ্ছে। গত সোমবার নয়া দিগন্তের এক প্রতিবেদনে রাজধানীর দরিদ্র এসব খুদে দোকানির বর্তমান দুর্গতির সরেজমিন খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। এতে প্রথমেই বায়তুল মোকাররম ফুটপাথের একজন হকারের দুরবস্থা তুলে ধরে বলা হয়েছে, শুধু তিনি নন, মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, দৈনিক বাংলা, চাঁদনীচক, ফার্মগেট, নিউ মার্কেট প্রভৃতি এলাকার দুই লাখের বেশি হকারের অর্ধেকের মতো এখন ‘পলাতক’। কারণ, যে ঋণ তারা নিয়েছেন, তার কিস্তি শোধে ব্যর্থতা। এই হকারদের শতকরা ৯৫ ভাগই দুই থেকে দশটি পর্যন্ত ঋণদানকারী সংগঠনের সদস্য। অর্থলগ্নি করে, এ ধরনের কয়েক হাজার সমিতি হকারসহ ুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে থাকে। এই ঋণের জন্য জামানত বাধ্যতামূলক না হলেও সুদের হার চড়া। এত দিন ঋণগ্রহীতাদের তেমন সমস্যা না হলেও গত দুই মাস একটানা হরতাল ও অবরোধে রাস্তার হকারেরা তো বটেই, ঋণদাতাদেরও রাস্তায় বসার অবস্থা। কেননা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় তাদের বিনিয়োগ করা কয়েক কোটি টাকা কতটুকু বা কবে আদায় হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আশঙ্কা হচ্ছে, শোধ না করতে পেরে যে গ্রহীতারা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে আছেন, তাদের বেশির ভাগ টাকাই আদায় হবে না। অন্য দিকে, এ নিয়ে বেশি চাপ দিলে যারা দোকান চালু রেখে কিস্তি কিছুটা হলেও পরিশোধ করছেন, তারাও গা-ঢাকা দেবেন। গুলিস্তানের একটি সমবায় সংগঠন জানায়, তাদের শ’ দেড়েক সদস্যের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কিস্তি দিচ্ছেন। অন্যদের মধ্যে কমপক্ষে ৬০ জন পলাতক। যারা দোকান খুলেছেন, তাদের বেচাবিক্রি তেমন না থাকায় ঋণ আদায়ে চাপ দিলে পালানোর হুমকি দিচ্ছেন।
রাজনৈতিক সঙ্কট দেশে এখন চরমে। এ কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা জনজীবনের প্রায় সব অঙ্গনেই বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই জটিল, তত বেশি অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। এর কারণ একগুঁয়েমি ও অপরিণামদর্শী মনোভাব। জনবিচ্ছিন্নতা ও ক্ষমতার লোভ এর মূলে। যা হোক, জাতীয় অর্থনীতিকেও কড়া মাশুল গুনতে হচ্ছে রাজনৈতিক সঙ্কটের দরুন। এরই একটি নজির, হকারদের আয় না থাকা এবং ঋণশোধে অপারগতা।
বর্তমানে উদ্ভূত এ ধরনের সমস্যাগুলো দৃশ্যত অর্থনৈতিক; তবে সমাধান মূলত রাজনৈতিক। কেবল দল বা জোটবিশেষের কর্মসূচি প্রত্যাহারে এসব সমস্যার পূর্ণাঙ্গ বা স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। চলমান সঙ্কট একটি রাজনৈতিক ব্যাধির পরিণতি। এর ‘সুচিকিৎসা’ তথা কারণ দূর না হলে উপসর্গগুলো বারবার দেখা দিতে পারে আগামী দিনেও। জাতীয় জীবন থেকে প্রথমেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দূর করা না হলে অর্থনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রই হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
রাজনৈতিক সঙ্কট দেশে এখন চরমে। এ কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা জনজীবনের প্রায় সব অঙ্গনেই বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই জটিল, তত বেশি অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। এর কারণ একগুঁয়েমি ও অপরিণামদর্শী মনোভাব। জনবিচ্ছিন্নতা ও ক্ষমতার লোভ এর মূলে। যা হোক, জাতীয় অর্থনীতিকেও কড়া মাশুল গুনতে হচ্ছে রাজনৈতিক সঙ্কটের দরুন। এরই একটি নজির, হকারদের আয় না থাকা এবং ঋণশোধে অপারগতা।
বর্তমানে উদ্ভূত এ ধরনের সমস্যাগুলো দৃশ্যত অর্থনৈতিক; তবে সমাধান মূলত রাজনৈতিক। কেবল দল বা জোটবিশেষের কর্মসূচি প্রত্যাহারে এসব সমস্যার পূর্ণাঙ্গ বা স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। চলমান সঙ্কট একটি রাজনৈতিক ব্যাধির পরিণতি। এর ‘সুচিকিৎসা’ তথা কারণ দূর না হলে উপসর্গগুলো বারবার দেখা দিতে পারে আগামী দিনেও। জাতীয় জীবন থেকে প্রথমেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দূর করা না হলে অর্থনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রই হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
No comments