টিনের ভাঙা ঘরে পাঠদান
রাজবাড়ী
সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে চরজৌকুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের কয়েক বছর ধরে টিনের ভাঙা ঘরে পাঠদান করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক সূত্রে জানা যায়, চরজৌকুরী গ্রামে ১৮৯৫ সালেবিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ছয়জন শিক্ষক আছেন। শিক্ষার্থী আছে ২১৮ জন। আগে পাকা শৌচাগারসহ বিদ্যালয়ের দুটি পাকা ভবন ছিল। পদ্মার অব্যাহত ভাঙনের কারণে ২০১২ সালের জুন মাসে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকায় ভবন দুটি নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে পাশের চরজৌকুরী উচ্চবিদ্যালয়ে সকালে পাঠদান করা হতো। পরে বিদ্যালয়ের মাঠে দুই কক্ষের টিনের একটি ঘর তৈরি করা হয়।কিন্তু টিনের মান খুব খারাপ হওয়ায় অল্প দিনের মধ্যেই টিনের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বড় একটি শ্রেণিকক্ষ। এটিতে কোনো বেড়া নেই। সব শ্রেণির ক্লাস গাদাগাদি করে এই একটি কক্ষেই হয়। এ কারণে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখাকঠিন বলে জানান শিক্ষকেরা। এ ছাড়া কক্ষ না থাকায় শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বসার কোনো জায়গা নেই।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রহমান ও হিমেল আহমেদ বলে, বৃষ্টি হলে কক্ষের ভেতর পানি চলে আসে। আবার শীতের সময় ঠান্ডা বাতাস। এতে করে ক্লাস করতে অনেক কষ্ট হয়।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজী জান্নাতী বলে, বর্ষার সময় নদীর পানি সরাসরি মাঠে চলে আসে। এ সময় খেলাধুলা করা যায় না।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, লাইব্রেরিতে শিক্ষকেরা বসেন। কিন্তু সেখানে জানালায় কোনো গ্রিল নেই। এ কারণে বিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়। মাদকাসক্তরা রাতে মাদকের আসর বসায়। বন্ধের সময় দিনেও দুষ্ট ছেলেরা কক্ষে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করে।
প্রধান শিক্ষক নাসিমা খাতুন বলেন, অনেক অভিভাবক এখন শিক্ষার্থীদের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন। এ ছাড়া শৌচাগার না থাকায় শিক্ষার্থীদের আশপাশের বাড়িতে যেতে হয়।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি সাইফুর রহমান জানান, সম্প্রতি বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য রাস্তার পাশে ২৪ শতাংশ জমি পাওয়া গেছে। কিন্তু অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, বিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে চেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিও) তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘আমি রাজবাড়ীতে সম্প্রতি যোগ দিয়েছি। ওই বিদ্যালয়ের বিষয়টি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিদ্যালয়ের শিক্ষক সূত্রে জানা যায়, চরজৌকুরী গ্রামে ১৮৯৫ সালেবিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ছয়জন শিক্ষক আছেন। শিক্ষার্থী আছে ২১৮ জন। আগে পাকা শৌচাগারসহ বিদ্যালয়ের দুটি পাকা ভবন ছিল। পদ্মার অব্যাহত ভাঙনের কারণে ২০১২ সালের জুন মাসে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকায় ভবন দুটি নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে পাশের চরজৌকুরী উচ্চবিদ্যালয়ে সকালে পাঠদান করা হতো। পরে বিদ্যালয়ের মাঠে দুই কক্ষের টিনের একটি ঘর তৈরি করা হয়।কিন্তু টিনের মান খুব খারাপ হওয়ায় অল্প দিনের মধ্যেই টিনের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বড় একটি শ্রেণিকক্ষ। এটিতে কোনো বেড়া নেই। সব শ্রেণির ক্লাস গাদাগাদি করে এই একটি কক্ষেই হয়। এ কারণে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখাকঠিন বলে জানান শিক্ষকেরা। এ ছাড়া কক্ষ না থাকায় শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বসার কোনো জায়গা নেই।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রহমান ও হিমেল আহমেদ বলে, বৃষ্টি হলে কক্ষের ভেতর পানি চলে আসে। আবার শীতের সময় ঠান্ডা বাতাস। এতে করে ক্লাস করতে অনেক কষ্ট হয়।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজী জান্নাতী বলে, বর্ষার সময় নদীর পানি সরাসরি মাঠে চলে আসে। এ সময় খেলাধুলা করা যায় না।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, লাইব্রেরিতে শিক্ষকেরা বসেন। কিন্তু সেখানে জানালায় কোনো গ্রিল নেই। এ কারণে বিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়। মাদকাসক্তরা রাতে মাদকের আসর বসায়। বন্ধের সময় দিনেও দুষ্ট ছেলেরা কক্ষে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করে।
প্রধান শিক্ষক নাসিমা খাতুন বলেন, অনেক অভিভাবক এখন শিক্ষার্থীদের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন। এ ছাড়া শৌচাগার না থাকায় শিক্ষার্থীদের আশপাশের বাড়িতে যেতে হয়।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি সাইফুর রহমান জানান, সম্প্রতি বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য রাস্তার পাশে ২৪ শতাংশ জমি পাওয়া গেছে। কিন্তু অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, বিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে চেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিও) তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘আমি রাজবাড়ীতে সম্প্রতি যোগ দিয়েছি। ওই বিদ্যালয়ের বিষয়টি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments