খালেদা জিয়ার আত্মসমর্পণ ও গ্রেপ্তার নিয়ে ধোঁয়াশা- আদালতে যেতে দুই শর্ত
সরকার
পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ নিজ কার্যালয়ে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ বুধবার আদালতে যেতে পারেন। এমনটা
জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল রাতে
প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি।’ খালেদা জিয়াকে
গ্রেপ্তার করা হবে কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি আদালতে
আত্মসমর্পণ করবেন। আদালত তাঁকে জেলেও পাঠাতে পারেন, আবার জামিনও দিতে
পারেন। এদিকে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় আজ
তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় কয়েক দিন ধরে
উদ্বেগের মধ্যে আছেন বিএনপির নেতারা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায়
থেকে তারা কোনো সবুজ সংকেত পায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন
পদস্থ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত পর্যন্ত খালেদা জিয়ার বাসায়
তল্লাশি বা তাঁকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি। এ ব্যাপারে
পুলিশের কোনো প্রস্তুতিও নেই।
এ ছাড়া নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে ককটেল হামলার মামলায় খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তল্লাশির জন্য আদালত থেকে পুলিশ অনুমতি পেলেও কবে-কখন তল্লাশি করা হবে, সেটাও কর্মকর্তারা নিশ্চিত করছেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশির পরোয়ানা থানা পুলিশের হাতে এসেছে। তবে কখন তল্লাশি করা হবে, সেটা সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের ব্যাপার।
এর আগে গত সোমবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হলে পুলিশ পরোয়ানা অনুযায়ী তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিয়ে যেতে পারে। গতকাল পরিস্থিতি একটু পাল্টে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে যাওয়ার পর বিএনপির নেতাদের উদ্বেগ কিছুটা কমে আসে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এ দুটি মামলায় এর আগের তারিখে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ-সংক্রান্ত আদালতের আদেশ ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেনি পুলিশ। জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার লুৎফুল কবীর গতকালও প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এখনো সংশ্লিষ্ট থানায় আসেনি। তবে পরোয়ানার কথা তাঁরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে শুনেছেন।
এ অবস্থায় খালেদা জিয়া আজ আদালতে যাবেন কি না, এ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গতকাল এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং জামিন পেয়ে আবার নিজ কার্যালয়ে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে নিজ চেম্বারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘মনে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে জনবিচ্ছিন্ন করতে তিনি রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে বের হলে আর সেখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তার পরও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেলে এবং সরকার এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাবে না, তিনি যদি জামিন পান তাহলে নিজ কার্যালয়ে ফেরত আসতে পারবেন, স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন, এমন নিশ্চয়তা পেলে খালেদা জিয়া অবশ্যই আদালতের প্রতি সন্মান দেখিয়ে সেখানে হাজির হবেন।’
খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, ‘এখন এখানে দুটি বিষয়। বর্তমান যে বিচারিক আদালত আছে, সেই আদালতের ওপর আমরা অনাস্থা দিয়েছি। এটি সচরাচর অনেক ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। এই অনাস্থার ব্যাপারে হাইকোর্টে একটি দরখাস্ত করেছি। সেই দরখাস্তটি বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য আসবে। এখন প্রশ্ন হলো, যে আদালতের প্রতি আমরা অনাস্থা দিয়েছি, সে ব্যাপারটি উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় আছে। এটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতের পক্ষে আইনগতভাবে বা নৈতিকতার দিক থেকেও ওই মামলার শুনানি হতে পারে না। কেননা, তার প্রতি অনাস্থা দিয়েছি।’
মাহবুব হোসেন বলেন, তার পরও যদি আদালতে হাজির হতে হয়, আত্মমসর্পণ করতে হয়, খালেদা জিয়া অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রতিদিন তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয় ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ঘেরাও করে রাখছে। এমনকি বর্তমান সরকারের একজন ক্ষমতাধর মন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।
খালেদা জিয়া দুই মাস ধরে তাঁর কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। বিএনপির দাবি, তাঁকে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা হয়েছে। শুরুতে নেতা-কর্মীদের ওই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হলেও ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের ভয়ে এখন আর নেতা-কর্মীরা সেখানে যাচ্ছেন না।
এদিকে খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়ে গতকাল হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আরেক আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১৫ জানুয়ারি বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। আদালত পরিবর্তনের জন্য তাঁর পক্ষে হাইকোর্টে ২৮ জানুয়ারি দুটি আবেদন করা হয়। গত সোমবার হাইকোর্টে তা উপস্থাপন করা হয়। ৫ মার্চ শুনানির জন্য তালিকায় আসবে।
সাংবাদিকেরা মাহবুব হোসেনের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘উনি শর্ত দিয়েছেন। উনি ঠিকই বলেছেন, ওনার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত নেই। এই শর্ত সরকার থেকে স্পষ্ট করলে অসুবিধা নেই বলে মনে করি।’
কোকোর চেহলাম আজ: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর চেহলাম আজ বুধবার। এ উপলক্ষে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আজ সারা দিন কোরআনখানির আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হবে। চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গত রাতে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আরাফাত রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায় খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আরাফাত রহমান কোকো গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এ ছাড়া নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে ককটেল হামলার মামলায় খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তল্লাশির জন্য আদালত থেকে পুলিশ অনুমতি পেলেও কবে-কখন তল্লাশি করা হবে, সেটাও কর্মকর্তারা নিশ্চিত করছেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশির পরোয়ানা থানা পুলিশের হাতে এসেছে। তবে কখন তল্লাশি করা হবে, সেটা সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের ব্যাপার।
এর আগে গত সোমবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হলে পুলিশ পরোয়ানা অনুযায়ী তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিয়ে যেতে পারে। গতকাল পরিস্থিতি একটু পাল্টে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে যাওয়ার পর বিএনপির নেতাদের উদ্বেগ কিছুটা কমে আসে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এ দুটি মামলায় এর আগের তারিখে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ-সংক্রান্ত আদালতের আদেশ ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেনি পুলিশ। জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার লুৎফুল কবীর গতকালও প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এখনো সংশ্লিষ্ট থানায় আসেনি। তবে পরোয়ানার কথা তাঁরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে শুনেছেন।
এ অবস্থায় খালেদা জিয়া আজ আদালতে যাবেন কি না, এ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গতকাল এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং জামিন পেয়ে আবার নিজ কার্যালয়ে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে নিজ চেম্বারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘মনে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে জনবিচ্ছিন্ন করতে তিনি রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে বের হলে আর সেখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তার পরও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেলে এবং সরকার এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাবে না, তিনি যদি জামিন পান তাহলে নিজ কার্যালয়ে ফেরত আসতে পারবেন, স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন, এমন নিশ্চয়তা পেলে খালেদা জিয়া অবশ্যই আদালতের প্রতি সন্মান দেখিয়ে সেখানে হাজির হবেন।’
খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, ‘এখন এখানে দুটি বিষয়। বর্তমান যে বিচারিক আদালত আছে, সেই আদালতের ওপর আমরা অনাস্থা দিয়েছি। এটি সচরাচর অনেক ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। এই অনাস্থার ব্যাপারে হাইকোর্টে একটি দরখাস্ত করেছি। সেই দরখাস্তটি বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য আসবে। এখন প্রশ্ন হলো, যে আদালতের প্রতি আমরা অনাস্থা দিয়েছি, সে ব্যাপারটি উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় আছে। এটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতের পক্ষে আইনগতভাবে বা নৈতিকতার দিক থেকেও ওই মামলার শুনানি হতে পারে না। কেননা, তার প্রতি অনাস্থা দিয়েছি।’
মাহবুব হোসেন বলেন, তার পরও যদি আদালতে হাজির হতে হয়, আত্মমসর্পণ করতে হয়, খালেদা জিয়া অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রতিদিন তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয় ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ঘেরাও করে রাখছে। এমনকি বর্তমান সরকারের একজন ক্ষমতাধর মন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।
খালেদা জিয়া দুই মাস ধরে তাঁর কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। বিএনপির দাবি, তাঁকে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা হয়েছে। শুরুতে নেতা-কর্মীদের ওই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হলেও ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের ভয়ে এখন আর নেতা-কর্মীরা সেখানে যাচ্ছেন না।
এদিকে খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়ে গতকাল হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আরেক আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১৫ জানুয়ারি বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। আদালত পরিবর্তনের জন্য তাঁর পক্ষে হাইকোর্টে ২৮ জানুয়ারি দুটি আবেদন করা হয়। গত সোমবার হাইকোর্টে তা উপস্থাপন করা হয়। ৫ মার্চ শুনানির জন্য তালিকায় আসবে।
সাংবাদিকেরা মাহবুব হোসেনের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘উনি শর্ত দিয়েছেন। উনি ঠিকই বলেছেন, ওনার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত নেই। এই শর্ত সরকার থেকে স্পষ্ট করলে অসুবিধা নেই বলে মনে করি।’
কোকোর চেহলাম আজ: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর চেহলাম আজ বুধবার। এ উপলক্ষে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আজ সারা দিন কোরআনখানির আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হবে। চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গত রাতে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আরাফাত রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায় খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আরাফাত রহমান কোকো গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
No comments