রংপুরে বোরো আবাদে খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা
রংপুরে বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত নারী শ্রমিকরা -সমকাল |
বোরো
আবাদই একমাত্র ভরসা রংপুর অঞ্চলের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিদের।
শৈত্যপ্রবাহ শেষ না হতেই মৌসুমের শুরুতে হরতাল-অবরোধসহ নানা প্রতিকূলতার
মধ্যেও বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখানকার চাষিরা কোমর বেঁধে মাঠে
নেমেছেন। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতায় এ বছর সেচ খরচ বাড়বে। সে
তুলনায় বাজারে ধানের দাম নেই। এ বছর বোরো আবাদসহ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা
অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
রংপুরের উপপরিচালক জুলফিকার হায়দর জানান, ১৫ মার্চ পর্যন্ত বোরো আবাদের
সময়। চারা লাগানো প্রায় শেষ পর্যায়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে হারে চারা
লাগানো হচ্ছে তাতে ওই সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এজন্য বোরো
আবাদে তীক্ষষ্ট নজরদারি করাসহ চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে
হরতাল-অবরোধের অজুহাতে গ্রামাঞ্চলে সেচ খরচ বেশি নিলে বোরোতে উৎপাদন খরচ
বাড়বে।
রংপুর নগরীর মীরগঞ্জ এলাকার চাষি হালিম মিয়া বলেন, 'বোরো আবাদ না করলে হামাক না খ্যায়া মরা নাগবে। এবার দুই বিঘা জমিত চারা নাগাচু (লাগানো হয়েছে), আরও দুই বিঘা জমিত বোরো চাষের আশা আছিল।' হরতাল-অবরোধের অজুহাতে তেলের দাম বাড়ার কারণে পানির দামও বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হচ্ছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রামের বর্গাচাষি হাসেম আলী বলেন, 'মোর নিজের কোনো জমি-জিরাত নাই বাহে। প্রত্যেক বছর মাইনষের জমি বর্গা নিয়্যা ৪-৫ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করি। এবার দেড় বিঘা জমিতে চারা নাগাচু। পানির (সেচ) দাম বাড়ার কথা শুনি বোরো আবাদের হাউস (শখ) মিটি (শেষ) গেইছে (গেছে)।' গত বছর বোরো চাষে সেচযন্ত্র মালিকরা প্রতি ঘণ্টা পানির দাম ৬০ টাকা নিলেও মৌসুমের শুরুতে এবার হরতাল-অবরোধের অজুহাতে ১০০ টাকা ঘণ্টাতেও পানি মিলছে না। এ ছাড়া গ্রামগঞ্জে সারের দামও কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। চারা রোপণের জন্য জমি তৈরি করছিলেন তারাগঞ্জ উপজেলার ইকোরচালী এলাকার আবদুল গফুর। তিনি বলেন, 'মৌসুমে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় এমনিতে প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়।
চলতি বছর রংপুরের আট উপজেলায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাইব্রিড জাতের ৪০ হাজার ২৭২ হেক্টর এবং উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৯০ হাজার ৭৬৭ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৩২৪ টন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এক লাখ ১৪ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে চারা লাগানো সম্পন্ন হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।
রংপুর নগরীর মীরগঞ্জ এলাকার চাষি হালিম মিয়া বলেন, 'বোরো আবাদ না করলে হামাক না খ্যায়া মরা নাগবে। এবার দুই বিঘা জমিত চারা নাগাচু (লাগানো হয়েছে), আরও দুই বিঘা জমিত বোরো চাষের আশা আছিল।' হরতাল-অবরোধের অজুহাতে তেলের দাম বাড়ার কারণে পানির দামও বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হচ্ছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রামের বর্গাচাষি হাসেম আলী বলেন, 'মোর নিজের কোনো জমি-জিরাত নাই বাহে। প্রত্যেক বছর মাইনষের জমি বর্গা নিয়্যা ৪-৫ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করি। এবার দেড় বিঘা জমিতে চারা নাগাচু। পানির (সেচ) দাম বাড়ার কথা শুনি বোরো আবাদের হাউস (শখ) মিটি (শেষ) গেইছে (গেছে)।' গত বছর বোরো চাষে সেচযন্ত্র মালিকরা প্রতি ঘণ্টা পানির দাম ৬০ টাকা নিলেও মৌসুমের শুরুতে এবার হরতাল-অবরোধের অজুহাতে ১০০ টাকা ঘণ্টাতেও পানি মিলছে না। এ ছাড়া গ্রামগঞ্জে সারের দামও কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। চারা রোপণের জন্য জমি তৈরি করছিলেন তারাগঞ্জ উপজেলার ইকোরচালী এলাকার আবদুল গফুর। তিনি বলেন, 'মৌসুমে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় এমনিতে প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়।
চলতি বছর রংপুরের আট উপজেলায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাইব্রিড জাতের ৪০ হাজার ২৭২ হেক্টর এবং উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৯০ হাজার ৭৬৭ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৩২৪ টন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এক লাখ ১৪ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে চারা লাগানো সম্পন্ন হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।
No comments