ওবামার বিরুদ্ধে ১৭ রাজ্যের মামলা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার
বিরুদ্ধে মামলা করেছে টেক্সাসসহ যুক্তরাজ্যের ১৭ অঙ্গরাজ্য। ৫০ লক্ষাধিক
অবৈধ অভিবাসীর বৈধতা প্রদানের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে বুধবার এ মামলা করা
হয়। এ মামলার ফলে অভিবাসন নিয়ে নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন তিনি। খবর
নিউইয়র্ক টাইমসের। টেক্সাসের অস্টিন সিটির ব্রাউন্সভিলেতে ফেডারেল
ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে দায়েরকৃত এ মামলায় বাদী হয়েছে টেক্সাসসহ ১৭ অঙ্গরাজ্য
মিলে গঠিত একটি জোট। মামলায় অবিলম্বে ওই নির্বাহী আদেশকে বেআইনি ঘোষণার
দাবি জানানো হয়েছে। আদালত মামলাটি নথিভুক্ত করেছেন। ২০ নভেম্বর ওবামা অবৈধ
অভিবাসীদের জন্য এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০
লাখ অবৈধ অভিবাসীকে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা যাবে না। অবৈধ অভিবাসীকে
বৈধতা প্রদানের এ আদেশটি বন্ধ করার পক্ষে কংগ্রেসের রিপাবলিকানরাও।
ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে রিপাবলিকানদের এটি প্রথম আইনগত চ্যালেঞ্জ। মামলায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা তার সাংবিধানিক ক্ষমতা লংঘন করে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এর ফলে এসব অঙ্গরাজ্যকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের সম্মুখীন করেছেন। জোটের অপর রাজ্যগুলো হচ্ছে- আলাবামা, জর্জিয়া, আইডাহো, ইন্ডিয়ানা, ক্যানসাস, লুইঝিয়ানা, মেইন, মিসিসিপি, মন্টানা, নেব্রাস্কা, নর্থ ক্যারলিনা, সাউথ ক্যারলিনা, সাউথ ডেকটা, ইউটাহ, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এবং উইসকনসিন। এই জোটের পক্ষে টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল (রাজ্যের আইনমন্ত্রী) গ্রেগ অ্যাবোট মামলার পর মিডিয়াকে বলেন, ‘কংগ্রেসে পাস হওয়া বিল অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজেই অভিবাসন আইন তৈরি করেছেন যা সংবিধান পরিপন্থী।’
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে এই অ্যাটর্নি জেনারেল রিপাবলিকান পার্টি থেকে টেক্সাস রাজ্যের গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী মাসে তিনি রিক পেরির স্থলাভিষিক্ত হবেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন করে বিদেশীদের আগমন ঠেকাতে সীমান্তরক্ষীসহ অভ্যন্তরীণ প্রশাসনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে অর্থ-ব্যয় বাড়বে। শুধু তাই নয়, অবৈধ অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা খাতেও ব্যয় বাড়বে। ২৭ বছরের ব্যবধানে অভিবাসন সমস্যার সমাধানে প্রেসিডেন্ট ওবামা বারবার কংগ্রেসকে আহ্বান জানিয়েছেন মানবিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে একটি বিল পাসের জন্য। সিনেট বছর দেড়েক আগে ‘কম্প্রিহেনসিভ ইমিগ্রেশন রিফর্ম বিল’ পাস করলেও রিপাবলিকান শাসিত কংগ্রেসের নিুকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ওবামার আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এ কারণে ওবামা নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা যাবে না। অবশিষ্ট ৫০ লাখকে বহিষ্কার প্রক্রিয়া জোরদারের কোনো স্পষ্ট নির্দেশ নেই ওই আদেশে। এ অবস্থায় মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজ্যগুলোতে অবৈধভাবে প্রবেশের প্রবণতা বাড়বে এবং নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যারা ওয়ার্ক পারমিট পাবেন, তাদের জন্য অঙ্গরাজ্যের বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিটের পথ ধরে তারা অভিবাসনের মর্যাদা ঢেলে সাজানোর সুযোগ পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দায়েরকৃত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসের সূত্র বলেছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা কখনোই সংবিধান লংঘন করেননি। তিনি এখনও কংগ্রেসের ভূমিকার অপেক্ষায় রয়েছেন। কংগ্রেস একটি বিল পাস করলেই প্রায় সোয়া কোটি অবৈধ অভিবাসীর একটি হিল্যা হয়ে যাবে। ওবামার নির্বাহী আদেশের ফলে যারা অভিবাসনের আইন লংঘনের পাশাপাশি গুরুতর অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের কথা রয়েছে। কেবল তারাই ওয়ার্ক পারমিট পাবেন, যাদের সন্তান অথবা স্বামী/স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেন অথবা গ্রিনকার্ডধারী।
ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে রিপাবলিকানদের এটি প্রথম আইনগত চ্যালেঞ্জ। মামলায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা তার সাংবিধানিক ক্ষমতা লংঘন করে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এর ফলে এসব অঙ্গরাজ্যকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের সম্মুখীন করেছেন। জোটের অপর রাজ্যগুলো হচ্ছে- আলাবামা, জর্জিয়া, আইডাহো, ইন্ডিয়ানা, ক্যানসাস, লুইঝিয়ানা, মেইন, মিসিসিপি, মন্টানা, নেব্রাস্কা, নর্থ ক্যারলিনা, সাউথ ক্যারলিনা, সাউথ ডেকটা, ইউটাহ, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এবং উইসকনসিন। এই জোটের পক্ষে টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল (রাজ্যের আইনমন্ত্রী) গ্রেগ অ্যাবোট মামলার পর মিডিয়াকে বলেন, ‘কংগ্রেসে পাস হওয়া বিল অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজেই অভিবাসন আইন তৈরি করেছেন যা সংবিধান পরিপন্থী।’
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে এই অ্যাটর্নি জেনারেল রিপাবলিকান পার্টি থেকে টেক্সাস রাজ্যের গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী মাসে তিনি রিক পেরির স্থলাভিষিক্ত হবেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন করে বিদেশীদের আগমন ঠেকাতে সীমান্তরক্ষীসহ অভ্যন্তরীণ প্রশাসনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে অর্থ-ব্যয় বাড়বে। শুধু তাই নয়, অবৈধ অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা খাতেও ব্যয় বাড়বে। ২৭ বছরের ব্যবধানে অভিবাসন সমস্যার সমাধানে প্রেসিডেন্ট ওবামা বারবার কংগ্রেসকে আহ্বান জানিয়েছেন মানবিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে একটি বিল পাসের জন্য। সিনেট বছর দেড়েক আগে ‘কম্প্রিহেনসিভ ইমিগ্রেশন রিফর্ম বিল’ পাস করলেও রিপাবলিকান শাসিত কংগ্রেসের নিুকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ওবামার আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এ কারণে ওবামা নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা যাবে না। অবশিষ্ট ৫০ লাখকে বহিষ্কার প্রক্রিয়া জোরদারের কোনো স্পষ্ট নির্দেশ নেই ওই আদেশে। এ অবস্থায় মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজ্যগুলোতে অবৈধভাবে প্রবেশের প্রবণতা বাড়বে এবং নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যারা ওয়ার্ক পারমিট পাবেন, তাদের জন্য অঙ্গরাজ্যের বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিটের পথ ধরে তারা অভিবাসনের মর্যাদা ঢেলে সাজানোর সুযোগ পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দায়েরকৃত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসের সূত্র বলেছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা কখনোই সংবিধান লংঘন করেননি। তিনি এখনও কংগ্রেসের ভূমিকার অপেক্ষায় রয়েছেন। কংগ্রেস একটি বিল পাস করলেই প্রায় সোয়া কোটি অবৈধ অভিবাসীর একটি হিল্যা হয়ে যাবে। ওবামার নির্বাহী আদেশের ফলে যারা অভিবাসনের আইন লংঘনের পাশাপাশি গুরুতর অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের কথা রয়েছে। কেবল তারাই ওয়ার্ক পারমিট পাবেন, যাদের সন্তান অথবা স্বামী/স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেন অথবা গ্রিনকার্ডধারী।
No comments