মানবতাবিরোধী অপরাধ- সুবহানের রায় যে কোন দিন
জামায়াতের
নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী
অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে যে কোন দিন। মামলার
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়টি অপেক্ষাধীন
রেখেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। বিচারপতি এম ওবায়দুল হাসানের
নেতৃত্বে গঠিত ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের পাল্টা যুক্তি
উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে গতকাল এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি
শাহিনুর ইসলাম। চলতি বছরের ১লা এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের মধ্য
দিয়ে জামায়াতের এই নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম
শুরু হয়। সুবহানের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩১শে ডিসেম্বর একাত্তরে গণহত্যা,
হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রসহ ৮ ধরনের ৯টি
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
গতকাল রায় অপেক্ষমাণ রাখার পর তার সর্বোচ্চ সাজার (মৃত্যুদ-) আশা করছে
প্রসিকিউশনের আইনজীবীরা। অন্যদিকে সুবহানের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগ অসত্য
উল্লেখ করে তার আইনজীবীরা বলছেন তিনি এ মামলার অভিযোগ থেকে খালাস পাবেন। এ
বিষয়ে প্রসিকিউশনের কৌঁসুলি তুরিন আফরোজ বলেন, আমরা মনে করি তথ্যপ্রমাণ,
সাক্ষী ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রতিটি অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম
হয়েছি। তাই এই মামলায় আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজার (মৃত্যুদ-)
আশা করছি। অন্যদিকে সুবহানের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ
আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ এনেছেন। তিনি যে যুদ্ধাপরাধী নন এ
সংক্রান্ত ডকুমেন্ট আমরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেছি। আশা করি তিনি
ন্যায়বিচার পাবেন। গত ৫ই নভেম্বর থেকে ১৭ই নভেম্বর পর্যন্ত সাত কার্যদিবসে
আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ
প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, সুলতান মাহমুদ
সিমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে গত ১৭ই নভেম্বর থেকে ৩০শে নভেম্বর
পর্যন্ত ৮ কার্যদিবসে মাওলানা সুবহানের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার
আইনজীবী মিজানুল ইসলাম ও এহসান এ সিদ্দিকী। চলতি বছরের ৭ই এপ্রিল থেকে
৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুবহানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন দুই তদন্ত
কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও মো. নূর হোসাইনসহ রাষ্ট্রপক্ষের ৩১ জন সাক্ষী।
তাদের মধ্যে অভিযোগভিত্তিক ঘটনার সাক্ষী ছিলেন ২৭ জন। তবে সুবহানের পক্ষে ৩
জন সাক্ষী সাফাই সাক্ষ্য দেবেন বলে ট্রাইব্যুনাল নির্ধারণ করে দিলেও কোন
সাফাই সাক্ষী হাজির করেনি আসামি পক্ষ।
গত বছরের ১৯শে সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে একাত্তরে ৯টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ১৫ই সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে ৮৬ পৃষ্ঠার ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় প্রসিকিউশন। এর আগে ২০১২ সালের ১৫ই এপ্রিল থেকে সুবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। গত বছরের ১২ই সেপ্টেম্বর তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে তদন্ত সংস্থা। তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও মো. নূর হোসাইন এ মামলার তদন্তকাজ সম্পন্ন করেন। ওইদিনই তদন্ত সংস্থা তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেন। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় প্রসিকিউশন। গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর ধানমন্ডিস্থ তদন্ত সংস্থার সেফহোমে নিয়ে সুবহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। চলতি বছরের ২৭শে মার্চ ট্রাইব্যুনাল-১ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ মামলাটি ট্রাইব্যুনাল ২-এ স্থানান্তর করেন। ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে ২০১২ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর সকালে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে সুবহানকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ৩০শে সেপ্টেম্বর প্রসিকিউশনের আবেদন আমলে নিয়ে সুবহানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকে তিনি কারাগারে।
সুবহানের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৩৬ সালে পাবনার সুজানগর থানার মানিকহাটি ইউনিয়নের তৈলকু- গি্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান আমলে পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর তিনি পাবনা জেলা শান্তি কমিটির সেক্রেটারি এবং পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বে পাবনা জেলার বিভিন্ন থানায় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও মুজাহিদ বাহিনী গঠিত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। একাত্তরের ২৫শে মার্চ কালরাতে ঢাকায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হলে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে সুবহান পাবনায় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট শুরু করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। পাবনা সদরের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকদের নামের তালিকা তিনি পাকিস্তানি সেনাদের কাছে সরবরাহ করতেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে তিনিও পাকিস্তানে চলে যান। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মাওলানা আবদুস সুবহান দেশে ফিরে আসেন এবং পরে জামায়াতের সংসদ সদস্য হন।
গত বছরের ১৯শে সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে একাত্তরে ৯টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ১৫ই সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে ৮৬ পৃষ্ঠার ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় প্রসিকিউশন। এর আগে ২০১২ সালের ১৫ই এপ্রিল থেকে সুবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। গত বছরের ১২ই সেপ্টেম্বর তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে তদন্ত সংস্থা। তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও মো. নূর হোসাইন এ মামলার তদন্তকাজ সম্পন্ন করেন। ওইদিনই তদন্ত সংস্থা তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেন। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় প্রসিকিউশন। গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর ধানমন্ডিস্থ তদন্ত সংস্থার সেফহোমে নিয়ে সুবহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। চলতি বছরের ২৭শে মার্চ ট্রাইব্যুনাল-১ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ মামলাটি ট্রাইব্যুনাল ২-এ স্থানান্তর করেন। ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে ২০১২ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর সকালে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে সুবহানকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ৩০শে সেপ্টেম্বর প্রসিকিউশনের আবেদন আমলে নিয়ে সুবহানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকে তিনি কারাগারে।
সুবহানের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৩৬ সালে পাবনার সুজানগর থানার মানিকহাটি ইউনিয়নের তৈলকু- গি্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান আমলে পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর তিনি পাবনা জেলা শান্তি কমিটির সেক্রেটারি এবং পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বে পাবনা জেলার বিভিন্ন থানায় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও মুজাহিদ বাহিনী গঠিত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। একাত্তরের ২৫শে মার্চ কালরাতে ঢাকায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হলে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে সুবহান পাবনায় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট শুরু করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। পাবনা সদরের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকদের নামের তালিকা তিনি পাকিস্তানি সেনাদের কাছে সরবরাহ করতেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে তিনিও পাকিস্তানে চলে যান। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মাওলানা আবদুস সুবহান দেশে ফিরে আসেন এবং পরে জামায়াতের সংসদ সদস্য হন।
No comments