ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হলো ‘টুনি’র লাশ
জনপ্রিয়
লেখক হুমায়ূন আহমেদের ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’র টুনি চরিত্রের
অভিনেত্রী নায়ার সুলতানা লোপার লাশ গতকাল কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
গতকাল বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা
হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম বানু শান্তা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দফায় ময়না তদন্তের জন্য লাশটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, লোপার মা রাজিয়া সুলতানার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬শে নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার সাহা কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পুনরায় ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন। আগামী ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আদালতে দাখিলেরও নির্দেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে লাশ তোলার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়। কমিটিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকেও রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম বানু শান্তার উপস্থিতিতে গুলশান থানা পুলিশ কবর থেকে লাশ তোলা হয়। পরে লাশবাহী এম্বুলেন্সের মাধ্যমে লাশটি মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী লাশ উত্তোলনের পর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ই অক্টোবর রাজধানীর গুলশানে শ্বশুরবাড়ি নায়ার সুলতানা লোপার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে লোপার গলার ডানে এবং বাম হাতের কব্জিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই দিনই লোপার স্বামী আলী আমিনকে আসামি করে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা। এতে আমিনের বাবা-মাকেও আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, লোপার স্বামী আলী আমিন মাদকাসক্ত। সে প্রায়ই লোপাকে শারীরিক নির্যাতন করতো। আলী আমিনের মা-বাবা এতে প্রশ্রয় দিতেন। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে যে কোন সময় লোপাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখে। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টে লোপার মৃত্যুর কারণ ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়। ওই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় পোস্টমর্টেম করার জন্য আদালতে আবেদন করেন লোপার মা রাজিয়া সুলতানা। এ বিষয়ে সম্প্রতি তিনি একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, আমেরিকা প্রবাসী শাজ নামে এক মেয়ের সঙ্গে আলী আমিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এছাড়া, ফেসবুকে তার একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এসব জানার পর থেকেই আলী আমিন ও লোপার মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। মাদক ও পরকীয়ার কারণেই লোপাকে আল আমিন হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ২০০০ সালে চট্টগ্রামের বেঙ্গল টাওয়াল ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আমিন আলীর পুত্র আলী আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় লোপার। এই দম্পতির দু’টি শিশু সন্তান রয়েছে।
সূত্র জানায়, লোপার মা রাজিয়া সুলতানার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬শে নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার সাহা কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পুনরায় ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন। আগামী ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আদালতে দাখিলেরও নির্দেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে লাশ তোলার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়। কমিটিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকেও রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম বানু শান্তার উপস্থিতিতে গুলশান থানা পুলিশ কবর থেকে লাশ তোলা হয়। পরে লাশবাহী এম্বুলেন্সের মাধ্যমে লাশটি মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী লাশ উত্তোলনের পর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ই অক্টোবর রাজধানীর গুলশানে শ্বশুরবাড়ি নায়ার সুলতানা লোপার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে লোপার গলার ডানে এবং বাম হাতের কব্জিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই দিনই লোপার স্বামী আলী আমিনকে আসামি করে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা। এতে আমিনের বাবা-মাকেও আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, লোপার স্বামী আলী আমিন মাদকাসক্ত। সে প্রায়ই লোপাকে শারীরিক নির্যাতন করতো। আলী আমিনের মা-বাবা এতে প্রশ্রয় দিতেন। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে যে কোন সময় লোপাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখে। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টে লোপার মৃত্যুর কারণ ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়। ওই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় পোস্টমর্টেম করার জন্য আদালতে আবেদন করেন লোপার মা রাজিয়া সুলতানা। এ বিষয়ে সম্প্রতি তিনি একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, আমেরিকা প্রবাসী শাজ নামে এক মেয়ের সঙ্গে আলী আমিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এছাড়া, ফেসবুকে তার একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এসব জানার পর থেকেই আলী আমিন ও লোপার মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। মাদক ও পরকীয়ার কারণেই লোপাকে আল আমিন হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ২০০০ সালে চট্টগ্রামের বেঙ্গল টাওয়াল ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আমিন আলীর পুত্র আলী আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় লোপার। এই দম্পতির দু’টি শিশু সন্তান রয়েছে।
No comments