‘ষড়যন্ত্রের দুঃস্বপ্ন দেখছে সরকার’ -মির্জা ফখরুল
সরকার ষড়যন্ত্রের দুঃস্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, সরকার বুঝতে পারছে, তারা চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তাদের ঘর যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়বে। সে কারণে তারা ষড়যন্ত্রের দুঃস্বপ্ন দেখছে। বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, এরশাদের আমলের চেয়ে দেশ এখন আরও ভয়াবহ স্বৈরাচারের যাঁতাকলে। হাসিনার বিরুদ্ধে সেøাগান উঠতে হবে। আওয়াজ তুলুুন, নব্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা নিপাত যাক। উত্তর-দক্ষিণ সেøাগান না দিয়ে এ ধরনের সেøাগান দিতে হবে। তিনি বলেন, বলেন, একদিনে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন হয়নি। দীর্ঘ ৯ বছর সংগ্রাম করে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এরশাদের পতন হয়েছে। তিনি বলেন, স্বৈরাচার এরশাদকে বাঁচিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বেঈমানি করে নির্বাচনে গিয়েছিলেন। তার সে ঋণ শোধ করতে এরশাদ ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর পর বিক্ষোভের বিষয়টি উল্লেখ্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, আমেরিকায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুতে লাখ লাখ মানুষ মিছিল করেছে। দেশে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, শত শত মায়ের কান্না শোনা যায়, কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। আমাদের মাঠে নামতে হবে। শপথ নিতে হবে, কোনভাবেই এদের ছাড় দেব না। বাধ্য করবো, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে। মির্জা আলমগীর বলেন, সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। এ কারণে তারা কথায় কথায় ষড়যন্ত্র দেখে। দুঃস্বপ্ন দেখে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন যখনই দানা বাঁধে তখন সরকার বলে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে। বিএনপি কাউকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন করে না। বিএনপির আন্দোলন গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের সব দরজা-জানালা বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা আলমগীর। আলোচনা সভায় বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, আমানউল্লাহ আমান, নাজিম উদ্দীন আলম, জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবীব-উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুর রহমান হাবিব, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, রাজিব আহসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments