না কমা দুঃখজনক
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ালেও দুর্নীতি কমেনি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর এ দুর্নীতি না কমাকে দুঃখজনক বলেও জানান মন্ত্রী। গতকাল সকালে নবনির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের দুর্নীতি কমাতে শুরু থেকে কাজ করছে। এজন্য প্রথমে সরকারি অফিসে দুর্নীতি কমাতে বিগত পাঁচ বছরে ধাপে ধাপে সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ৬২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল হলে দুর্নীতি কমে- এ কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে দুর্নীতি কমাতে সরকার কাজ করছে। আগামীতে দেশে দুর্নীতির হার কমেও আসবে। দুর্নীতিতে আমরা উপরে উঠেছি কিংবা নিচে নেমেছি এখনই সেই বিচার করা খুব সহজ নয়। এদিকে, সমপ্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও ছাত্রলীগ কর্মী সুমন খুনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সেশনজট নেই। তেমন কোন সংঘাতও ছিল না। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমপ্রতি সময়ের সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা দুঃখজনক বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে সেখান থেকে বের করে দিতে হবে। তবেই ওই ক্যম্পাসে ফিরে আসবে শান্তি। এজন্য তিনি সকালের সহায়তা কামনা করেন। সকাল ১০টায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেটের নবনির্মিত শহীদ মিনার পরিদর্শনে আসেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত সিলেটের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা তাকে স্বাগত জানান। অর্থমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে নির্মাণাধীন শহীদ মিনার পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত শহীদ মিনারের কাজ শেষ করার তাগিদ দেন। পরে মন্ত্রী শহীদ মিনারের সামনে বসে সিলেটের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে টিআই’র রিপোর্ট, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, সিলেটের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আ ন ম শফিকুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা সুজাত আলী রফিক, বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন খান, যুবলীগ মহানগর সভাপতি আলম খান মুক্তিসহ সিলেট সংস্কৃতি অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ।
No comments