আবর্জনা ফেলতে নিরাপত্তা চায় নাসিক
সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ময়লা-আবর্জনা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে অস্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনে ফেলতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে লেখা চিঠিতে নাসিক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেছেন, ডাম্পিং স্পট নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে স্টেডিয়াম থেকে দূরে খালি জায়গায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়া ফেলতে সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। নাসিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নির্ধারিত স্থানে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে নানা খেলা শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত ২৩শে নভেম্বর মানববন্ধন ও মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন বক্তব্য দেয়া হয়। ২৪শে নভেম্বরের পত্রিকায় বিষয়টি ফলাও করে প্রচার পেয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠির সঙ্গে ওই পেপার কাটিংয়ের কপি যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। নাসিক-এর চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৪শে নভেম্বর থেকে আবর্জনা ফেলতে কিছু ব্যক্তি বাধা দিচ্ছে। আবর্জনা ফেলার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বাধা সৃষ্টিসহ হুমকি দিয়ে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। তাই বর্জ্য ফেলার কাজ বন্ধ করা হলে শহরের বর্জ্য অপসারণ কাজ ব্যাহত হবে। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়বে। সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে দিলেও আশেপাশের ইউনিয়ন পরিষদ ও মিল কারাখানার বর্জ্য ফেলতে কোন ধরনের বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে না। এদিকে নাসিক-এর আওতাভুক্ত এলাকার বর্জ্য অপসারণ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোন ডাম্পিং স্পট নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডাম্পিং স্পট নির্মাণের জন্য সিটি রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিআরডিপি) থেকে নাসিক-এর বিপরীতে ইতিমধ্যে অর্থ বরাদ্দ আছে। তাই অত্যাধুনিক ডাম্পিং স্পট নির্মাণের জন্য জমি কেনা বা অধিগ্রহণের জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে নাসিক উল্লেখ করেছে, বর্জ্য ফেলার মতো বিকল্প কোন জায়গা না থাকার কারণে নিতান্ত বাধ্য হয়ে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে স্টেডিয়াম থেকে দূরে ও ফাঁকা জায়গায় সাময়িকভাবে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন ছাড়া ফতুল্লাসহ অন্যান্য ইউনিয়ন ও মিল-কারখানার বর্জ্য ওই স্থানে আগে থেকেই ফেলা হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নাসিক থেকে বেশ কয়েকবার ওই ময়লা ফেলার স্থান ড্রেজিং করে মাটি ও বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এ বছর ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পুনরায় ড্রেজিং ও মাটি এবং বালু ভরাট করতে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু নানা বাধার কারণে এ কাজ বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।
No comments