‘কেউ পাশে না থাকলে মরে যাবো না’ -প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন দেশ পাশে না থাকলে আমরা একেবারে মরে যাব না। কারণ
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করেছিল। তারপরও দেশ
স্বাধীন হয়েছিল। তাই এখনও কোন দেশকে পাশে না পেলে কোন বাংলাদেশের সমস্যা
হবে না। এছাড়া গত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র সব রকম
চেষ্টাই করেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। আজ বিকালে গণভবনে অষ্টাদশ সার্ক
শীর্ষ সম্মেলন ও মালয়েশিয়া সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
তিনি এ কথা বলেন। মার্কিন মন্ত্রী সম্পর্কে সৈয়দ আশরাফের মন্তব্যের দৃষ্টি
আকর্ষণ করলে শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে এসেছেন, তিনি বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে দেখা
করেছেন। কেউ যদি কোন মতামত দিয়ে থাকেন তাহলে সে দায়িত্ব তার। তাকে গিয়ে
জিজ্ঞাসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বোর্ডের
অনুমোদন ছাড়াই পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিলেন, আর যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশেই তা করা হয়েছিল বলে শোনা গেছে। আমাদের
বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সারা বিশ্ব তন্ন তন্ন করে খুঁজেও
প্রমাণ পায়নি। কোন সমস্যা হলেই কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে বলে মনে
করেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর একাত্তরেও যুক্তরাষ্ট্র বিরুদ্ধে
ছিল, বাংলাদেশ শেষ হয়ে যায়নি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে
‘গতকাল রাতে বৈঠকে’ যেসব সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইন তার আপন
গতিতে চলবে। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, রাতের অভিসার বাদ দিন।
দিবালোকে কাজ করুন। পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শর্ত সাপেক্ষ্যে
শিথিল করা হবে কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কারও সঙ্গে
কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সুযোগ নেই। সমস্যা থাকতে পারে। পাশাপাশি
আলোচনাও হতে পারে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের এটিই নিয়ম। সম্মেলনে
প্রধানমন্ত্রী প্রথমে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পরে
বক্তব্য দেন মালয়েশিয়া সফর নিয়ে। এই সফরে জনশক্তি রপ্তানি, ভিসা প্রক্রিয়া
সহজ এবং পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি, দুটি
সমঝোতা স্মারক ও একটি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে।
No comments