সুবহানের বিরুদ্ধে মামলার রায় যে কোনো দিন
জামায়াতের নায়েবে আমীর আবদুস সুবহানের
বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার বিচার শেষ
হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচার কার্যক্রম শেষে যে কোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য
অপেক্ষমাণ রেখেছেন ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি)
রাখেন। এর মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সব
নেতার বিচার শেষ হল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ,
আটক, নির্যাতন ও লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগ রয়েছে তার
বিরুদ্ধে। শুনানির শেষ দিন সমাপনী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। আর সুবহানের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার
আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। সমাপনী বক্তব্যে প্রসিকিউটর
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে দাবি করে সুবহানের সর্বোচ্চ
শাস্তির আর্জি জানান। একই সঙ্গে সুবহানের অপরাধের শিকার ক্ষতিগ্রস্তদের
জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি। ক্ষতিপূরণ দেয়ার ক্ষমতা আদালতের আছে কিনা
ট্রাইব্যুনালের এমন প্রশ্নের জবাবে তুরিন আফরোজ আইনের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ
করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের রয়েছে। এ
সময় তিনি এর আগে আরও দুটি মামলায় ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে সুবহানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি দাবি করে তার খালাস
চান ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী।
সবশেষে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, উভয়পক্ষই বেশ ভালো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু উভয়পক্ষের উদ্দেশ্যেই বলছি, সংবাদমাধ্যমে আপনারা অনেক কথাই বলে থাকেন। কিন্তু এমন কথা বলবেন না, যাতে আদালতের মর্যাদা, সম্মানহানি ঘটে। আদালতের কর্তৃত্বকে খর্ব করে। এমন কথা বলা উচিত নয়, যে কথা আদালতকে আঘাত করে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, আদালতের সম্মান, মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্ব উভয়পক্ষের আইনজীবীদেরও। তাছাড়া আদালত কেবল অপরাধীদের বিচারই করেন না, আদালত অবমাননাকারীর বিচারও করেন। সবাইকে ধরার ক্ষমতা আদালতের রয়েছে।
২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা থেকে সুবহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় প্রসিকিউশনের তদন্ত দল। একই বছরের ১৯ অক্টোবর আদালত তা আমলে নেন এবং ৩১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরু হয়।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও মো. নূর হোসাইনসহ ৩১ জন। অন্যদিকে সুবহানের পক্ষে তিনজনের নাম দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তার আইনজীবীরা কোনো সাফাই সাক্ষী হাজির করেননি।
সবশেষে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, উভয়পক্ষই বেশ ভালো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু উভয়পক্ষের উদ্দেশ্যেই বলছি, সংবাদমাধ্যমে আপনারা অনেক কথাই বলে থাকেন। কিন্তু এমন কথা বলবেন না, যাতে আদালতের মর্যাদা, সম্মানহানি ঘটে। আদালতের কর্তৃত্বকে খর্ব করে। এমন কথা বলা উচিত নয়, যে কথা আদালতকে আঘাত করে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, আদালতের সম্মান, মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্ব উভয়পক্ষের আইনজীবীদেরও। তাছাড়া আদালত কেবল অপরাধীদের বিচারই করেন না, আদালত অবমাননাকারীর বিচারও করেন। সবাইকে ধরার ক্ষমতা আদালতের রয়েছে।
২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা থেকে সুবহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় প্রসিকিউশনের তদন্ত দল। একই বছরের ১৯ অক্টোবর আদালত তা আমলে নেন এবং ৩১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরু হয়।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও মো. নূর হোসাইনসহ ৩১ জন। অন্যদিকে সুবহানের পক্ষে তিনজনের নাম দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তার আইনজীবীরা কোনো সাফাই সাক্ষী হাজির করেননি।
No comments