দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বপদে ১০ স্বতন্ত্র এমপি
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বপদে বহাল
তবিয়তে রয়েছেন ১০ স্বতন্ত্র এমপি। তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী
সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একতরফা নির্বাচনে এসব
নেতা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হন। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির
প্রার্থীদের পরাজিত করে বিজয়ী হলে জাতীয় সংসদে তাদের পরিচয় নির্ধারণ হয়
স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে। বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকায়
থাকলেও ২০০৮ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে প্রার্থী
দেয় আওয়ামী লীগ।
বর্তমান জাতীয় সংসদে ২১ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। বাকি তিনজন নারী (সংরক্ষিত আসনের) সংসদ সদস্য আছেন। এদের দুজন্য আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী। অপরজন আওয়ামী লীগ সমর্থক হলেও রাজনীতিতে সক্রিয় নন।
সরাসরি নির্বাচিত ১০ স্বতন্ত্র সংসদের সবাই বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনে সক্রিয়। ঝিনাইদহের তাহজীব আলম সিদ্দিকী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। নির্বাচনে তার আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলাম অপু। নরসিংদীর সিরাজুল ইসলাম মোল্লা যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঞা মোহনকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন।
ঢাকা থেকে নির্বাচিত হাজী মোহাম্মদ সেলিম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের প্রাথী, সাবেক সংসদ সদস্য ও দলটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে পরাজিত করেন তিনি। ফেনীর রহিম উল্লাহ সৌদি আরবের জেদ্দা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি জাতীয় পার্টির রিন্টু আনোয়ারকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গাইবান্ধার আবুল কালাম আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি দলের প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে পরাজিত করেন। নওগাঁর ছলিম উদ্দীন তরফদার মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি পরাজিত করেন দলীয় প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য আকরাম হোসেন চৌধুরীকে। মেহেরপুরের মকবুল হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল খালেককে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
কুষ্টিয়ার রেজাউল হক চৌধুরী দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি পরাজিত করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিন আহমেদকে। যশোরের স্বপন ভট্টাচার্য জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। তিনি পরাজিত করেন দলের প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানকে। কুমিল্লার ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমানে মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকতার হোসেনকে পরাজিত করেন।
এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফুলু সরকার কুড়িগ্রামের একটি আসন থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বহিষ্কৃত হন। তিনি আজও দলের বাইরে রয়েছেন। একই পরিণতি হয়েছে কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানুর। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মানু ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফলে বহিষ্কার হন আওয়ামী লীগ থেকে। তিনিও আর দলে ফিরতে পারেননি।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি যুগান্তরকে বলেন, সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করলে দল থেকে অটো বহিষ্কার হয়ে যায়। গত সংসদ নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সেভাবেই বহিষ্কার হন। তবে পরবর্তী সময়ে তারা (বিদ্রোহীরা) অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন। দলের কাছে আবেদনকারীদের জবাব সন্তোষজনক মনে হয়েছে। তাই তারা আওয়ামী লীগে স্বপদে রয়েছেন। অবশ্য আওয়ামী লীগের এ নেতা জানান, দলীয় পদে থাকতে পারলেও এদের (স্বতন্ত্র এমপি) আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ঢাকা-৭ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র জোটের প্রধান এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম যুগান্তরকে বলেন, গঠনতন্ত্রে সিদ্ধান্ত যাই থাকুক, তাকে বহিষ্কার করা হয়নি। হয়তো দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি ছিল বলে তিনি বহিষ্কার হননি বলে দাবি করেন হাজী সেলিম।
গত নির্বাচনে নরসিংদী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল হক ভূঞা মোহন যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের কাজে (দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন) দলের শৃংখলা বিঘ্নিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপেক্ষা করে শুধু এমপি হওয়ার লোভে যারা নৌকাকে ডোবায় আবার তারাই যদি দলীয় পদ ব্যবহার করেন- তাহলে মাঠে-ময়দানের নেতাকর্মীরা মনে কষ্ট পায়। এটা আওয়ামী লীগের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
বর্তমান জাতীয় সংসদে ২১ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। বাকি তিনজন নারী (সংরক্ষিত আসনের) সংসদ সদস্য আছেন। এদের দুজন্য আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী। অপরজন আওয়ামী লীগ সমর্থক হলেও রাজনীতিতে সক্রিয় নন।
সরাসরি নির্বাচিত ১০ স্বতন্ত্র সংসদের সবাই বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনে সক্রিয়। ঝিনাইদহের তাহজীব আলম সিদ্দিকী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। নির্বাচনে তার আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলাম অপু। নরসিংদীর সিরাজুল ইসলাম মোল্লা যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঞা মোহনকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন।
ঢাকা থেকে নির্বাচিত হাজী মোহাম্মদ সেলিম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের প্রাথী, সাবেক সংসদ সদস্য ও দলটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে পরাজিত করেন তিনি। ফেনীর রহিম উল্লাহ সৌদি আরবের জেদ্দা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি জাতীয় পার্টির রিন্টু আনোয়ারকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গাইবান্ধার আবুল কালাম আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি দলের প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে পরাজিত করেন। নওগাঁর ছলিম উদ্দীন তরফদার মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি পরাজিত করেন দলীয় প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য আকরাম হোসেন চৌধুরীকে। মেহেরপুরের মকবুল হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল খালেককে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
কুষ্টিয়ার রেজাউল হক চৌধুরী দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি পরাজিত করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিন আহমেদকে। যশোরের স্বপন ভট্টাচার্য জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। তিনি পরাজিত করেন দলের প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানকে। কুমিল্লার ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমানে মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকতার হোসেনকে পরাজিত করেন।
এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফুলু সরকার কুড়িগ্রামের একটি আসন থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বহিষ্কৃত হন। তিনি আজও দলের বাইরে রয়েছেন। একই পরিণতি হয়েছে কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানুর। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মানু ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফলে বহিষ্কার হন আওয়ামী লীগ থেকে। তিনিও আর দলে ফিরতে পারেননি।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি যুগান্তরকে বলেন, সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করলে দল থেকে অটো বহিষ্কার হয়ে যায়। গত সংসদ নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সেভাবেই বহিষ্কার হন। তবে পরবর্তী সময়ে তারা (বিদ্রোহীরা) অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন। দলের কাছে আবেদনকারীদের জবাব সন্তোষজনক মনে হয়েছে। তাই তারা আওয়ামী লীগে স্বপদে রয়েছেন। অবশ্য আওয়ামী লীগের এ নেতা জানান, দলীয় পদে থাকতে পারলেও এদের (স্বতন্ত্র এমপি) আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ঢাকা-৭ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র জোটের প্রধান এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম যুগান্তরকে বলেন, গঠনতন্ত্রে সিদ্ধান্ত যাই থাকুক, তাকে বহিষ্কার করা হয়নি। হয়তো দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি ছিল বলে তিনি বহিষ্কার হননি বলে দাবি করেন হাজী সেলিম।
গত নির্বাচনে নরসিংদী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল হক ভূঞা মোহন যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের কাজে (দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন) দলের শৃংখলা বিঘ্নিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপেক্ষা করে শুধু এমপি হওয়ার লোভে যারা নৌকাকে ডোবায় আবার তারাই যদি দলীয় পদ ব্যবহার করেন- তাহলে মাঠে-ময়দানের নেতাকর্মীরা মনে কষ্ট পায়। এটা আওয়ামী লীগের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
No comments