যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন ভিয়েতনামের পর বাংলাদেশ
তৈরি
পোশাক রপ্তানির বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে অবশেষে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ।
দীর্ঘ ১৫ মাস ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির পর গত জানুয়ারিতে পোশাক রপ্তানিতে প্রায়
আড়াই শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালের
সেপ্টেম্বরে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের
জানুয়ারিতে ৪৯ কোটি ডলার বা ৪ হাজার ১৮ কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি করে
বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছরের জানুয়ারিতে
রপ্তানি হয়েছিল ৪৮ কোটি ডলারের পোশাক। ২০১৭ সালে ৫০৬ কোটি ডলারের পোশাক
রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব
টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস (অটেক্সা) যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির
হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেখা যায়, গত জানুয়ারিতে
যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশ থেকে ৭০৫ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।
প্রবৃদ্ধি মাত্র দশমিক ৯২ শতাংশ। অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, গত জানুয়ারিতে ১৮
কোটি ৮৬ লাখ বর্গমিটারের সমপরিমাণ কাপড়ের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে
বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জানুয়ারিতে
যুক্তরাষ্ট্রের মোট পোশাক রপ্তানির ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ বাংলাদেশ থেকে গেছে।
গত ডিসেম্বরে সেটি ছিল ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। তার মানে যুক্তরাষ্ট্রে বাজার
হিস্যা সামান্য বেড়েছে বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে বরাবরের
মতো শীর্ষে আছে চীন। তবে দেশটির রপ্তানি অনেক কমে গেছে। গত জানুয়ারিতে তারা
যুক্তরাষ্ট্রে ২৩৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। এটি গত বছরের
জানুয়ারিতে রপ্তানি হওয়া ২৫২ কোটি ডলারের চেয়ে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ কম।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মোট পোশাক রপ্তানির ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশই চীনের দখলে।
গত বছর শেষে সেটি ছিল ৩৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনাম। গত জানুয়ারিতে ১১০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি
করেছে ভিয়েতনাম। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ০৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে
পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। তৃতীয়
সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রে গত জানুয়ারিতে
চতুর্থ সর্বোচ্চ ৪১ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ইন্দোনেশিয়া। পঞ্চম
সর্বোচ্চ ৩৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ভারত। ভারতের বাজার হিস্যা
বর্তমানে ৪.৬০ শতাংশ।
No comments