ট্রাম্পকে গর্দভ বলেছিলেন তিনি
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত
করেছেন। গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর পরিচালক মাইক পম্পিওকে নতুন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করেছেন। টুইটারে এক বার্তায়, প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্প গতানুগতিক-ভাবে মি টিলারসনের কাজের প্রশংসা করেছেন. তবে পাশাপাশি
তিনি লিখেছেন, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী "দারুণ কাজ করবেন"। সিআইএ'র পরিচালক
হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে জিনা হ্যাসপেলকে। এই প্রথম কোনো নারী সিআইএর
প্রধান হচ্ছেন। বছর-খানেক আগে জ্বালানি কোম্পানি এক্সন মবিলের সাবেক প্রধান
নির্বাহী রেক্স টিলারসনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি সবচেয়ে কম সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকলেন। সাম্প্রতিক
সময়ে ইরান এবং উত্তর কোরিয়া সহ বেশ কিছু বিদেশ নীতি নিয়ে তার সাথে
প্রেসিডেন্ট মতদ্বৈততা চলছিলো বলে খবর বেরুচ্ছিলো। গত জুলাইতে খবর বেরোয়
মি টিলারসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গর্দভ বলেছেন, এবং সে কথা কখনো অস্বীকার
করেননি তিনি। তবে গত অক্টোবর মাসে তার পদত্যাগের গুজব ওঠার পর এক সংবাদ
সম্মেলন করে তাকে তা অস্বীকার করতে হয়েছিল।
সে সময় প্রেসিডেন্টও খোলাখুলি
তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপদস্থ করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেছিলেন, উত্তর
কোরিয়ার সাথে মীমাংসা বৈঠকের চেষ্টা করে টিলারসন তার সময় নষ্ট করছেন।
নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদপত্রগুলো লিখেছে -
পররাষ্ট্র বিষয়ে প্রেসিডেন্টের ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়ে মি টিলারসন বিস্ময়
প্রকাশ করতেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে - বিভিন্ন বৈঠকে মি টিলারসনের
মুখভঙ্গি বা শরীরী ভাষা নিয়ে বিরক্ত হতেন প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের
সিদ্ধান্তের সাথে একমত না হলে, মি টিলারসন চোখ বড় করে ফেলতেন অথবা চেয়ারে
গা এলিয়ে দিতেন। কেমন মন্ত্রী হবেন মাইক পম্পিও উত্তর কোরিয়া বা ইরান
ইস্যুতে মাইক পম্পিও অধিকতর কট্টরপন্থী। ফলে হোয়াইট হাউজের সাথে পররাষ্ট্র
দপ্তরের মতপার্থক্য কমবে বলে ধারনা করছেন পর্যবেক্ষকরা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে
রাজনীতির শিক্ষক ড আলী রিয়াজ বিবিসিকে বলেন, পম্পিওর নিয়োগের পর মার্কিন
পররাষ্ট্র নীতি অনেক বেশি কঠোর হতে পারে।
No comments