ভারতে নিখোঁজ দুবাইয়ের রাজকন্যা লাতিফা
পশ্চিম
ভারতের গোয়া উপকূল থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছেন দুবাইয়ের রাজকন্যা শেখা লাতিফা। এ
ঘটনা ঘিরে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। তিনি রাজপরিবারের নির্যাতন থেকে
রক্ষা পাওয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন বলে
খবরে প্রকাশ। জানা গেছে, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শেখা লাতিফার জনক হচ্ছে দুবাইয়ের
শাসক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী মোহম্মদ বিন রশিদ সাইদ আল
মাকতৌম। ৩৩ বছরের শেখা লাতিফা নিজের বাবা তথা রাজার কাছে নির্যাতনের শিকার
হচ্ছিলেন। সেই কারণেই তিই ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন। মঙ্গলবার একটি ভিডিও
প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছেন লতিফার মার্কিন আইনজীবী। তার মতে, “পরিবারে
অমতে তার এক বোনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাড়িতে লাতিফাকে নির্যাতন করা হতো,
আটকে রাখা হতো। তিনি যে পালিয়ে আমেরিকায় গিয়ে স্বাধীন জীবন যাপনের স্বপ্ন
দেখছিলেন।” আমেরিকার বাসিন্দা, ফরাসি লেখক হার্ভে জবার্টের সঙ্গে লতিফা
পালিয়ে ভারতে এসেছিলেন বলেও দাবি করেন ওই আইনজীবী।
চলতি মাসের চার তারিখে
লাতিফার প্রেরিত একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন তার আইনজীবী। যেখানে তিনি
জানান বন্দুকবাজেরা তাকে ঘিরে ফেলেছে। কেবিনের বাইরে গুলির আওয়াজ শোনা
যাচ্ছে। এই হয়তো তার শেষ ভিডিও। ভিডিওতে তাকে সরাসরি ক্যামেরার সামনে কথা
বলতে দেখা যায়। এ সময় তার পরনে ছিল স্রেফ একটি নীল টপ। তার চুল ছিল পেছনে
বাঁধা। সূত্র মারফত আরো জানা গেছে, অন্তিম ভিডিও পাঠানোর সময় ভারতীয় উপকূল
থেকে ৫০ মাইল দূরে ছিলেন রাজকন্যা লাতিফা। সমুদ্রপথেই তিনি আমেরিকা যাওয়ার
চেষ্টা করছিলেন। কারণ, বিমানবন্দরে পরিচয় জানাজানি হলে তাকে দুবাইতে ফেরত
পাঠিয়ে দিত ভারত সরকার। এমনই আশঙ্কা ছিল শেখ লাতিফার। যদিও এই বিষয়ে ভারতীয়
কোনো মন্তব্য করেননি ভারতীয় উপকূলতক্ষা বাহিনীর কোনো কর্তা। প্রকাশ করা
হয়নি কোনো বিবৃতি। একইসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দিল্লির পদস্থ
কর্মকর্তারাও।
No comments