বিজেপিকে আটকাতে সোনিয়ার নৈশভোজে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ
ভারতে
কেন্দ্রীয় সরকারে বিজেপির ক্ষমতায় ফিরে আসা আটকাতে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া
গান্ধীর দেয়া নৈশভোজে বিরোধী দলগুলো একজোট হয়েছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে
সোনিয়ার ‘ডিনার ডিপ্লোম্যাসি’তে ২০টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালে ভারতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখন থেকেই দেশের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপিবিরোধী জোট গড়ার কাজ শুরু হয়েছে।
নৈশভোজ শেষে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বার্তায় বলেন, ‘অসাধারণ নৈশভোজ! বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া স্তরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর সুযোগ। অনেক রাজনৈতিক কথা হল। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক শক্তি, উষ্ণতা ও অকৃত্রিম স্নেহ।’
সোনিয়ার ওই নৈশভোজ শেষে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা বলেন, দেশের সামনে আজ গভীর সঙ্কট। সরকারের নাকের ডগা দিয়ে কোটি কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বেকারত্ব ও দুর্নীতি বেড়ে চলেছে। এরকম অবস্থায় বিরোধীদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও জাতীয় স্বার্থে এসব ইস্যুতে সকলেই উদ্বিগ্ন।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, ‘জাতীয় স্তরে কোনো কোনো ইস্যুতে আমরা হাত মিলিয়েছি। কিন্তু, তৃণমূলস্তরে আমরা একে অপরের প্রতিপক্ষ। প্রত্যেক দলেরই কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। কাজটা কঠিন। কিন্তু আমরা যদি বৃহত্তর স্বার্থ ও দেশের কথা ভাবি, তাহলে স্থানীয় স্তরের বিভেদ ভুলে আমাদের একসঙ্গে আসতেই হবে।’
'বিজেপি ফিনিশের আশায় আছি'
এ প্রসঙ্গে কোলকাতার ‘সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ফর উইমেন’-এর অধ্যাপিকা ড. আফরোজা খাতুন আজ (বুধবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘বিরোধী শক্তি যদি জোটবদ্ধ হয় তাহলে অবশ্যই সরকারের পতন হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি এবং হওয়াটা প্রয়োজন। বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে যে অরাজকতা, দুর্নীতি এসব প্রসঙ্গ বাদ দিয়েই বলতে চাই, এই মুহূর্তে দেশ থেকে হিন্দুত্ববাদী সরকারকে নামানো দরকার। এজন্য যতটা শক্তি ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার সেই শক্তি জোট বাঁধুক তা আমরা চাই। গতকাল দেখলাম সোনিয়া গান্ধীর আহ্বানে একসঙ্গে ২০ টা দল একসঙ্গে তারা ডিনারে গেছেন, উদ্দেশ্য জোট বাঁধা। এটি যদি আরো শক্তিশালী হয় তাহলে ভালো কিন্তু বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে গেলে তাতে ক্ষতি হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বাম-ডান যদি সকলে মিলে ওই উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ হয় এবং মমতা যেটা বলেছেন, ‘দু’হাজার উনিশ-বিজেপি ফিনিশ’, সেই ফিনিশের আশায় আমরা আছি। কিন্তু যে সরকার ক্ষমতায় আসুক, গণতান্ত্রিক সরকার দরকার।’
অধ্যাপিকা ড. আফরোজা খাতুন বলেন, ‘এই মুহূর্তে অবশ্যই বিজেপি সরকারকে সরানো সবচেয়ে প্রধান জরুরি বিষয় হয়ে উঠেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি শুধু সংখ্যালঘুরা নয়, মুক্তমনা, যুক্তিবাদী, নারীসহ সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সংখ্যালঘু মুসলিম ছাড়াও আমরা সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে বিজেপিকে হটাতে হবে এটাই আমাদের আশা।
২০১৯ সালে ভারতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখন থেকেই দেশের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপিবিরোধী জোট গড়ার কাজ শুরু হয়েছে।
নৈশভোজ শেষে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বার্তায় বলেন, ‘অসাধারণ নৈশভোজ! বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া স্তরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর সুযোগ। অনেক রাজনৈতিক কথা হল। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক শক্তি, উষ্ণতা ও অকৃত্রিম স্নেহ।’
সোনিয়ার ওই নৈশভোজ শেষে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা বলেন, দেশের সামনে আজ গভীর সঙ্কট। সরকারের নাকের ডগা দিয়ে কোটি কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বেকারত্ব ও দুর্নীতি বেড়ে চলেছে। এরকম অবস্থায় বিরোধীদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও জাতীয় স্বার্থে এসব ইস্যুতে সকলেই উদ্বিগ্ন।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, ‘জাতীয় স্তরে কোনো কোনো ইস্যুতে আমরা হাত মিলিয়েছি। কিন্তু, তৃণমূলস্তরে আমরা একে অপরের প্রতিপক্ষ। প্রত্যেক দলেরই কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। কাজটা কঠিন। কিন্তু আমরা যদি বৃহত্তর স্বার্থ ও দেশের কথা ভাবি, তাহলে স্থানীয় স্তরের বিভেদ ভুলে আমাদের একসঙ্গে আসতেই হবে।’
'বিজেপি ফিনিশের আশায় আছি'
এ প্রসঙ্গে কোলকাতার ‘সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ফর উইমেন’-এর অধ্যাপিকা ড. আফরোজা খাতুন আজ (বুধবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘বিরোধী শক্তি যদি জোটবদ্ধ হয় তাহলে অবশ্যই সরকারের পতন হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি এবং হওয়াটা প্রয়োজন। বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে যে অরাজকতা, দুর্নীতি এসব প্রসঙ্গ বাদ দিয়েই বলতে চাই, এই মুহূর্তে দেশ থেকে হিন্দুত্ববাদী সরকারকে নামানো দরকার। এজন্য যতটা শক্তি ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার সেই শক্তি জোট বাঁধুক তা আমরা চাই। গতকাল দেখলাম সোনিয়া গান্ধীর আহ্বানে একসঙ্গে ২০ টা দল একসঙ্গে তারা ডিনারে গেছেন, উদ্দেশ্য জোট বাঁধা। এটি যদি আরো শক্তিশালী হয় তাহলে ভালো কিন্তু বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে গেলে তাতে ক্ষতি হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বাম-ডান যদি সকলে মিলে ওই উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ হয় এবং মমতা যেটা বলেছেন, ‘দু’হাজার উনিশ-বিজেপি ফিনিশ’, সেই ফিনিশের আশায় আমরা আছি। কিন্তু যে সরকার ক্ষমতায় আসুক, গণতান্ত্রিক সরকার দরকার।’
অধ্যাপিকা ড. আফরোজা খাতুন বলেন, ‘এই মুহূর্তে অবশ্যই বিজেপি সরকারকে সরানো সবচেয়ে প্রধান জরুরি বিষয় হয়ে উঠেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি শুধু সংখ্যালঘুরা নয়, মুক্তমনা, যুক্তিবাদী, নারীসহ সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সংখ্যালঘু মুসলিম ছাড়াও আমরা সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে বিজেপিকে হটাতে হবে এটাই আমাদের আশা।
নৈশভোজে অংশ নেয়া নেতাদের মাঝে সোনিয়া গান্ধী |
No comments