কোমর ব্যথা হলেই কি অপারেশন
কোমর
ব্যথার প্রধান কারণ পিএলআইডি বা লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক
প্রল্যাপস। পিএলআইডি তিন মাত্রার হতে পারে- স্বল্প, মাঝারি ও তীব্র মাত্রা।
লক্ষণ : প্রধান লক্ষণ কোমর ব্যথা। ব্যথা কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। পায়ে ঝিঁঝি ধরতে পারে বা শিরশিরে অনুভূতি হতে পারে। অনেক রোগী বলে থাকেন পা চাবাচ্ছে। সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বাড়ে, রোগী বেশিক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। অনেকে শোয়া থেকে উঠে বসতেই পারেন না। তীব্র পিএলআইডির ক্ষেত্রে ব্যথা ছাড়াও স্নায়ুজনিত বিভিন্ন লক্ষণ থাকতে পারে।
রোগ নির্ণয় : মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ পাঁচটি কশেরুকা দ্বারা গঠিত। এর নিচে থাকে স্যাক্রাম। এই হাড়ের মাঝে তালের শাঁসের মতো স্থিতিস্থাপক চাকতি থাকে। এগুলো শক এবজর্বারের ভূমিকা পালন করে। সামনে ঝোঁকা, ডানে-বামে বাঁকা হওয়া, হাঁটা, শোয়া, বসাসহ প্রায় সব মুভমেন্টেই এই চাকতি ভূমিকা পালন করে। পিএলআইডিতে এই চাকতিটি তার অবস্থান থেকে সরে যায় এবং সরে যাওয়া চাকতিটি øায়ুর গোড়ায় চাপ প্রয়োগ করে, ফলে কোমরে ব্যথা শুরু হয়। øায়ুগুলো যেহেতু কোমর থেকে বের হয়ে পায়ের দিকে চলে গেছে তাই পায়ের দিকেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে কোন øায়ুর গোড়াটি চাপে পড়ল এবং চাপের ধরন ও মাত্রা কেমন। ডিস্কটি অক্ষত থেকে øায়ুকে চাপ দিতে পারে আবার এর পর্দা ছিঁড়ে এর ভেতরের নিউক্লিয়াস ও জেলি বেরিয়ে এসে তা øায়ুর গোড়ায় চাপ দিতে পারে। এটি নির্ভুলভাবে নির্ণয় করতে এমআরআই করতে হবে। শারীরিক লক্ষণ ও এমআরআইয়ের রিপোর্ট চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে।
চিকিৎসা : পিএলআইডি মানেই অপারেশন নয়। স্বল্প ও মাঝারি মাত্রার পিএলআইডি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পূর্ণ বিশ্রামে রেখে দিনে তিন-চারবার ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ করলে তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই পিএলআইডিজনিত কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তীব্র মাত্রার পিএলআইডিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে, তবে লাল পতাকা উপসর্গ না থাকলে ফিজিওথেরাপি প্রয়েগে তীব্র মাত্রার পিএলআইডি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
পেইন ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ
এইচপিআরসি
সেক্টর ৪, উত্তরা, ঢাকা
মোবাইল ফোন : ০১৮৭২৫৫৫৪৪৪
লক্ষণ : প্রধান লক্ষণ কোমর ব্যথা। ব্যথা কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। পায়ে ঝিঁঝি ধরতে পারে বা শিরশিরে অনুভূতি হতে পারে। অনেক রোগী বলে থাকেন পা চাবাচ্ছে। সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বাড়ে, রোগী বেশিক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। অনেকে শোয়া থেকে উঠে বসতেই পারেন না। তীব্র পিএলআইডির ক্ষেত্রে ব্যথা ছাড়াও স্নায়ুজনিত বিভিন্ন লক্ষণ থাকতে পারে।
রোগ নির্ণয় : মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ পাঁচটি কশেরুকা দ্বারা গঠিত। এর নিচে থাকে স্যাক্রাম। এই হাড়ের মাঝে তালের শাঁসের মতো স্থিতিস্থাপক চাকতি থাকে। এগুলো শক এবজর্বারের ভূমিকা পালন করে। সামনে ঝোঁকা, ডানে-বামে বাঁকা হওয়া, হাঁটা, শোয়া, বসাসহ প্রায় সব মুভমেন্টেই এই চাকতি ভূমিকা পালন করে। পিএলআইডিতে এই চাকতিটি তার অবস্থান থেকে সরে যায় এবং সরে যাওয়া চাকতিটি øায়ুর গোড়ায় চাপ প্রয়োগ করে, ফলে কোমরে ব্যথা শুরু হয়। øায়ুগুলো যেহেতু কোমর থেকে বের হয়ে পায়ের দিকে চলে গেছে তাই পায়ের দিকেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে কোন øায়ুর গোড়াটি চাপে পড়ল এবং চাপের ধরন ও মাত্রা কেমন। ডিস্কটি অক্ষত থেকে øায়ুকে চাপ দিতে পারে আবার এর পর্দা ছিঁড়ে এর ভেতরের নিউক্লিয়াস ও জেলি বেরিয়ে এসে তা øায়ুর গোড়ায় চাপ দিতে পারে। এটি নির্ভুলভাবে নির্ণয় করতে এমআরআই করতে হবে। শারীরিক লক্ষণ ও এমআরআইয়ের রিপোর্ট চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে।
চিকিৎসা : পিএলআইডি মানেই অপারেশন নয়। স্বল্প ও মাঝারি মাত্রার পিএলআইডি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পূর্ণ বিশ্রামে রেখে দিনে তিন-চারবার ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ করলে তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই পিএলআইডিজনিত কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তীব্র মাত্রার পিএলআইডিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে, তবে লাল পতাকা উপসর্গ না থাকলে ফিজিওথেরাপি প্রয়েগে তীব্র মাত্রার পিএলআইডি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
পেইন ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ
এইচপিআরসি
সেক্টর ৪, উত্তরা, ঢাকা
মোবাইল ফোন : ০১৮৭২৫৫৫৪৪৪
No comments