ছাত্রী ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার নাঈমের
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। নাঈম আশরাফকে বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে তিনি ধর্ষণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মনিরুল ইসলাম বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার দশ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।'
রিমান্ডে নিলে নাঈম আশরাফের কাছ থেকে এ ঘটনার খুঁটিনাটি আরও অনেক বিষয় জানা যাবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর 'দ্য রেইনট্রি' হোটেলে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। ওই ঘটনায় ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল ও অজ্ঞাতনামা একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। ইতিমধ্যে আলোচিত এ মামলার আরও চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত আলী। চার আসামিকেই বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
No comments