দশমিনার লক্ষিপুর সড়ক এখন মরণফাঁদ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে সৈয়দ জাফর পর্যন্ত লক্ষিপুরের ৩ কিলোমিটার সড়ক এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। সড়কটিতে পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি উপজেলার বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে দক্ষিনে ঐতিহ্যবাহী লক্ষিপুর গ্রাম হয়ে রনগোপালদি ইউনিয়নের পূর্ব আউলিয়াপুরের দিকে বয়ে গেছে। উপজেলার পোষ্ট অফিসের সামনে থেকে সৈয়দ জাফর পর্যন্ত মোট ৫ কিলোমিটার সড়ক ২০১০-১১ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সর্বশেষ সংস্কার করা হয়। ফলে ৬ বছর আগে সর্বশেষ সংস্কারের পর এখন পর্যন্ত সড়কটি আর নতুন করে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সড়কটিতে বড় বড় অসংখ্য খানাখন্দে সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির এমন বেহাল দশার কারনে শিক্ষার্থী ও জনসাধারনসহ যানবাহন চলাচল করছে ভয়াবহ ঝুকিঁ নিয়ে। আর প্রায় ঘটছে ছোট খাটো দূর্ঘটনা।
উপজেলার বালিকা বিদ্যালয় এলাকা থেকে লক্ষিপুর ও সৈয়দ জাফর এলাকা পর্যন্ত কৃষি নির্ভর । গ্রামের প্রন্তিক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপন্য বিক্রির জন্য উপজেলা সদরের নলখোলা বন্দরে, জেলা সদর ও কালাইয়া বন্দরে নিয়ে যেতে সিমাহীন কষ্ট করতে হয়। সড়কটিতে বড় বড় খানাখন্দ ও ধুলাবালি থাকায় কৃষকদের কৃষিপন্য যানবাহন মালিকরা বহন করতে অস্বিকৃতি জানায়। কৃষকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। বর্ষাকালে সড়কটির বড় বড় গর্ত পরিনত হয় জলাশয়ে । ফলে জনসাধারননের দূর্ভোগ আরও চরম আকার ধারন করে। লক্ষিপুর গ্রামের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সড়কটির করুন অবস্থার কারনে তাদের ব্যবসায় ভাটা পড়ে গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন শওকত বলেন, আমি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা বলেছি। আগামী অর্থ বছরে সড়কটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
No comments