কাছের লোকরাই বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে : শেখ হাসিনা
স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের জন্য দলের ভেতরের মানুষের ষড়যন্ত্রকেই দায়ী করেছেন শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার স্থপতিকে হত্যায় তৎকালীন মন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক আহমেদের জড়িত থাকার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আরও অনেকে এর মধ্যে জড়িত ছিল, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে। আসলে ঘরের শত্রু বিভীষণ। ঘরে থেকে শত্রুতা না করলে বাইরের শত্রু সুযোগ পায় না। সে সুযোগটা (তারা) করে দিয়েছিল।’ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নিজের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বুধবার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার (শেখ হাসিনা) দেশে ফিরতে বাধাও দিয়েছিলেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ছয় বছর প্রবাসে থাকার পর প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বাবার দল আওয়ামী লীগের হাল ধরেন শেখ হাসিনা। তারপর এখন তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। দেশের জনগণের ওপর বিশ্বাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনও হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার কথা ভাবতে পারেননি বলে জানান তার মেয়ে। শেখ হাসিনা বলেন,
অনেকেই তাকে সাবধান করেছিলেন- এরকম একটা ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি বিশ্বাসই করেননি। আব্বা বলতেন, ‘না, ওরা তো আমার ছেলের মতো, আমাকে কে মারবে?’ শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসররাই জাতির জনককে হত্যা করেছিল। এ হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের অনেকে নিয়মিত ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডালিম (শরিফুল হক ডালিম), ডালিমের শাশুড়ি, ডালিমের বউ, ডালিমের শ্যালিকা ২৪ ঘণ্টা আমাদের বাসায় পড়ে থাকত। ডালিমের শাশুড়ি তো সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত, ডালিমের বউ তো সারা দিনই আমাদের বাসায়।’ খুনি মেজর এএইচএমবি নূর চৌধুরীর নিজের ভাই শেখ কামালের সঙ্গে প্রধান সেনাপতি কর্নেল আতাউল গণি ওসমানীর এডিসি হিসেবে কাজ করার কথাও বলেন শেখ হাসিনা। তার মতে, ‘এরা তো অত্যন্ত চেনা মুখ।’ আরেক খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান বঙ্গবন্ধুর তৎকালীন মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী এআর মল্লিকের শ্যালিকার ছেলে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুব দূরের না। এরাই ষড়যন্ত্র করল।’ ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় দলের নেতৃত্ব থেকে শেখ হাসিনাকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্রের জন্যও আওয়ামী লীগ কর্মীদের রোষের শিকার হয়েছিলেন কয়েক নেতা। পরে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি তাদের ক্ষমা করে দিলেও ভুলে যাননি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার কথা আবারও বলেন শেখ হাসিনা; যে সেনা কর্মকর্তা তার কয়েক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘যারা এভাবে বেঈমানি করে, মোনাফেকি করে, তারা কিন্তু এভাবে থাকতে পারে না। মোশতাক রাষ্ট্রপতি হয়ে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করে। তাদের মধ্যে অবশ্যই যোগসাজশ ছিল।’
জিয়ার পারিবারিক সমস্যা সমাধানে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগ নেয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান প্রতি সপ্তাহে একদিন তার স্ত্রীকে (খালেদা জিয়া) নিয়ে ওই ৩২ নম্বরের বাড়িতে যেত।’ বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দুয়ার সবার জন্য অবারিত ছিল, যার সুযোগ ষড়যন্ত্রকারীরা নিয়েছিল বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তাদের যাওয়াটা আন্তরিকতা না..., চক্রান্ত করাটাই ছিল তাদের লক্ষ্য; সেটা বোধহয় আমরা বুঝতে পারিনি।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমার মাঝে মধ্যে মনে হয়, আব্বা যখন দেখেছেন, তাকে গুলি করছে, তারই দেশের লোক, তার হাতে গড়া সেনাবাহিনীর সদস্য, তার হাতে গড়া মানুষ... জানি না তার মনে কী প্রশ্ন জেগেছিল?’ স্বামী এম ওয়াজেদ মিয়ার গবেষণার কারণে ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই জার্মানিতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা; ছোট বোন শেখ রেহানাও সেখানে গিয়েছিলেন বেড়াতে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দিন দুই বোন ছিলেন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। খবর শোনার পর পশ্চিম জার্মানিতে ফিরে তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বাসায় উঠেন তারা। পরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এক দিনে পরিবারের সবাইকে হারানোর দিনটি মনে করতে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তখনও ততটা জানতে পরিনি কী ঘটে গেছে বাংলাদেশে। যখন জানতে পারলাম, তখন সহ্য করাটা কঠিন ছিল।’ ওই সময় তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেনের পশ্চিম জার্মানির বন শহরে সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কথা চেপে রাখার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে একটা কথাও বললেন না। উনার কোথায় যাওয়ার কথা ছিল, চলে গেলেন। হুমায়ুন রশীদ এ হত্যাকাণ্ডকে কনডেম করলেন প্রেসের সামনে।’ বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেন শেখ হাসিনার সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতেও ছিলেন। পরে আলাদা দল গড়েন তিনি। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী পরে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদের স্পিকার হয়েছিলেন। ভারতে নির্বাসিত জীবনের কথা বলতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতেই শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাবলাম দেশের কাছে যাই। কখনও শুনি, মা বেঁচে আছে। কখনও শুনি, রাসেল বেঁচে আছে। একেক সময় একেক খবর পেতাম। ওই আশা নিয়ে চলে এলাম। কেউ বেঁচে থাকলে ঠিক পাব।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২৪ অগাস্ট দিল্লি পৌঁছলাম। মিসেস গান্ধী (ইন্দিরা গান্ধী) আমাদের ডাকলেন। উনার কাছ থেকে শুনলাম, কেউ বেঁচে নেই। হুমায়ুন রশীদ আগে বলেছিলেন। কিন্তু আমি রেহানাকে বলতে পারিনি। কারণ ওর মনে একটা আশা ছিল, কেউ না কেউ বেঁচে থাকবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘দিল্লিতে মিসেস গান্ধী থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। ওয়াজেদ সাহেবকে (এম ওয়াজেদ মিয়া) অ্যাটমিক এনার্জিতে কাজের ব্যবস্থা করে দিলেন।’ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা কী কষ্টের..., যন্ত্রণার কাউকে বুঝিয়ে বলতে পারব না।’ অর্থের কারণে ১৯৭৭ সালে বোন শেখ রেহানার বিয়েতে লন্ডনে যেতে না পারার বেদনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে যাব, অত টাকা ছিল না। আর কোথায় থাকব?’ ১৯৮০ সালে লন্ডনে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইন্দিরা গান্ধীর ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বলেন, ‘ওর (শেখ রেহানা) যখন বাচ্চা হবে, আমি মিসেস গান্ধীকে গিয়ে বললাম, আমি যেতে চাই রেহানার কাছে। উনি ব্যবস্থা করে দিলেন।
টিকিটের ব্যবস্থা করে দিলেন। থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘৮০-র শেষে দিল্লিতে ফিরে আসি। টাকাও ছিল না। আর কারও কাছে হাত পাতা... ভালো লাগত না।’ ১৯৮০ সালে বিদেশে থাকার সময়ই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় রাজনীতির বাইরে থাকা শেখ হাসিনাকে। তিনি বলেন, ‘এত বড় সংগঠন করার অভিজ্ঞতাও আমার ছিল না। আমার চলার পথ অত সহজ ছিল না।’ দল এবং দলের বাইরে নানা প্রতিকূলতার কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনিরা বহাল তবিয়তে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরত। স্বাধীনতার বিরোধীরা তখন বহাল তবিয়তে। তারাই ক্ষমতার মালিক। যে পরিবারকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, সে পরিবারের একজন এসে রাজনীতি করবে। সেটা এত সহজ ছিল না, প্রতি পদে পদে প্রতিবন্ধকতা ছিল।’ বক্তব্যের এ পর্যায়ে উপস্থিত নেতাদের আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে বলেন শেখ হাসিনা; তবে সবাই সমস্বরে ‘না, না’ বলে ওঠেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘নতুন নেতৃত্ব খোঁজা দরকার। জীবন-মৃত্যু আমি পরোয়া করি না। মৃত্যুকে আমি সামনে থেকে দেখেছি। আমি ভয় পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমার আব্বা ছায়ার মতো আমাকে দেখে রাখেন... আর উপরে আল্লাহর ছায়া আমি পাই।’ ৩৬ বছর আগের এই দিনটিতে দেশে ফেরার কারণ ব্যাখ্যা করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বলেন, ‘মেয়ের হাত ধরে দুটি সুটকেস নিয়ে চলে আসি। আমি মনে করি, আমাকে যেতে হবে, কিছু করতে হবে।’
কোনো অঞ্চলের মানুষ উপেক্ষিত থাকবে না : বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের কোনো অঞ্চলের মানুষ উপেক্ষিত থাকবে না। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে এনে সবার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যারা পিছিয়ে আছেন শিক্ষা এবং আর্থ-সামাজিকভাবে যাতে তারা উন্নত হতে পারেন সেই উদ্যোগ আমরা হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় শিক্ষাকে অধিকার আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘দেশের প্রায় ৫৫টি জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। তাদের জীবনমান কীভাবে উন্নত করা যায় এবং সেই লক্ষ্যে আমরা কিছু বিশেষ এলাকা নিয়ে উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এজন্য বাজেটেও আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার তার কার্যালয়ে আয়োজিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৩৫০ শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে বৃত্তি হিসেবে ২৫ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন। রাজধানীকে বাসযোগ্য করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে : বাসস জানায়, শেখ হাসিনা বলেন, বিগত দিনে কোনো পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় রাজধানীর উন্নয়নে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বুধবার তার কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে এ কথা বলেন। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঢাকা মহানগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য দশটি প্রকল্পের ওপর তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ঢাকা সার্কুলার রোড : সেকেন্ড ফেস এবং ইস্টার্ন বাইপাস, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-টঙ্গী এবং ঢাকা-মাওয়া রেললাইন, টঙ্গী-নারায়ণগঞ্জ সাবওয়ে, মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) এবং বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), ঢাকা ইলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-আশুলিয়া ইলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, শান্তিনগর-ঢাকা-মাওয়া ফ্লাইওভার, গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক প্রজেক্ট এবং বাস রুট র্যাশিওনালাইজেশন ও কোম্পানি বেজড অপারেশন ও বিআরটি এক্সপ্রেসওয়ে। অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রেলমন্ত্রী এম মুজিবুল হক, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র উপস্থিত ছিলেন। এসডিজি প্রোগ্রামের মুখ্য সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
No comments