টাঙ্গাইলে নিখোঁজের একদিন পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার
টাঙ্গাইলে নিখোঁজের একদিন পর দুই শিশুর লাশ পাওয়া গেল তাদের নানার বাড়ির পাশের ডোবায়। শহরের দেওলা এলাকায় নানার বাড়িতে এসে মঙ্গলবার নিখোঁজ হয় শিশু আমানুল্লাহ সৈকত (১১) ও তার খালাতো ভাই নাহিন আল নুর (১০)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুদের নানা নুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তার দুই নাতি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাদের পাওয়া যায়নি। পরে তিনি বাদী হয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বুধবার দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় এলাকার শিশুরা গোসল করতে গিয়ে দুটি লাশ ভাসতে দেখে। পরে স্বজনরা গিয়ে তাদের শনাক্ত করেন। টাঙ্গাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন যুগান্তরকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তিনি জানান, লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে,
পানিতে ডুবেই দু’শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে নিহত দু’শিশুর নানার বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, শুধু ওই বাড়ি নয়, পুরো এলাকাতেই শোকের ছায়া। লোকজন শিশুদের নানা-নানি এবং মায়েদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই কারও বিরুদ্ধে। সৈকতের মা সাথী বেগম বলেন, আমাদের কোনো শত্রু নেই। তাই কারও প্রতি সন্দেহও নেই। নিহত আমানুল্লাহ সৈকত ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। তার বাবা আতাউল্লাহর বাড়ি কালিহাতী উপজেলার পারকিতে। তিনি সখীপুর উপজেলা সদরে ব্যবসা করেন। নাহিন আল নুরের বাবা শাহীনুর রহমানের বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার জোরদিঘী গ্রামে। তিনি বান্দরবানে বন বিভাগে বিট কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। নাহিনের বাবা শাহীনুর রহমান জানান, স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি হওয়ায় নাহিনকে তার নানা বান্দরবান থেকে টাঙ্গাইল নিয়ে এসেছিলেন। বুধবার তার বান্দরবান ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
No comments