ওয়াশিংটনে সংঘাতে জড়ালো এরদোগানের দেহরক্ষীরা


যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের দেহরক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত তুর্কি রাষ্ট্রদূতের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুই বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। ওয়াশিংটনের জরুরি বিভাগের মুখপাত্র দউগ বাচানান বলেন, আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। টেলিফোনে তিনি আরও বলেন, তুর্কি রাষ্ট্রদূতের কার্যালয়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জরুরি বাহিনীকে ডেকে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার ওয়াশিংটন সফরে যান এরদোগান। তার এ সফরকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেন কুর্দিপন্থী ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টির (পিওয়াইডি) সমর্থকরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন এরদোগানের দেহরক্ষীরা। এনবিবিসির খবরে বলা হয়, এ সময় তুর্কি রাষ্ট্রদূতের কার্যালয়ের ভেতরে ছিলেন এরদোগান। মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র দাস্তিন স্টার্নবেক জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে মামলা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার দিনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন এরদোগান। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য কুর্দিদের সঙ্গে আমেরিকার আঁতাত মেনে নেয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের অঞ্চলে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের স্থান ভবিষ্যতে থাকবে না।’ গত সপ্তাহে আমেরিকা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিরিয়ার আইএস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কুর্দিদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করবে। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অনুমোদনও করেছেন। এ প্রেক্ষাপটে এরদোগান বিষয়টি নিয়ে তার অসন্তোষের কথা জানান। কিন্তু তারপরও উভয় নেতা দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বেশ চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও সেটি থাকবে।’ এর কিছুক্ষণ পর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘ন্যাটো জোটের মিত্র তুরস্কের নিরাপত্তা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি পুনরুল্লেখ করেন ট্রাম্প এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।’ কুর্দিদের সংগঠন কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটকে (ওয়াইপিজি) তুরস্ক একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে। তারা সিরিয়ায় আরও ভূমি দখল করুক সে বিষয়টি চায় না তুরস্ক। এরদোগান বলেন, কুর্দিদের সংগঠনগুলোকে মিত্র হিসেবে নেয়ার যে চেষ্টা আমেরিকা করছে সেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

No comments

Powered by Blogger.