প্রতিদিন বিছানার চাদর না ধুলে বিপদ!
আমরা দিনের এক তৃতীয়াংশ সময় কাটাই বিচানায়। তাই তো বিছানার চাদর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বহুগুণে বেড়ে যায়। বিশেষ করে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। ফলে অ্যাজমা, কাশি, হাঁচি, রাইনাইটিস, অ্যালার্জি, একজিমা (অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস) প্রভৃতি রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই সাবধান হওয়াটা জরুরি। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, বিছানার চাদর পরিষ্কার আছে কিনা তার সঙ্গে শরীর সুস্থ থাকার সম্পর্কটা কী? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নানা ক্ষতিকর উপাদান এবং জীবাণু বাসা বানায় বিছানার চাদরে, যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়।
এর মধ্যে একটি হল ডাস্ট মাইটস। আপনি যদি কোনো দিন আপনার বেড শিট মাইক্রোস্কোপের নিচে রাখেন তাহলে মাথা ঘুরে যাবে। কারণ খালি চোখে দেখা না গলেও বিচানার চাদরে কোটি কোটি ডাস্ট মাইটস বা এক ধরনের ছোট ছোট পোকা থাকে, যা আমাদের ত্বকের মৃত কোষ খেয়ে বেঁচে থাকে। এরা একবার যদি বিছানার চাদরে জন্ম নেয়, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই এদের সংখ্যা লক্ষাধিকে গিয়ে পৌঁছায়। আর এমন ক্ষতিকর পোকার সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, তত আমাদের শরীর খারাপ হওয়ার আশংকা বাড়বে। আর এ থেকে নিস্তার পেতে অবশ্যই প্রতিদিন পরিষ্কার বেড শিট বিছানায় রাখাটা জরুরি। আর ব্যবহৃত চাদরটি ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এমনটা করলেই রক্ষা মিলবে এই সব পোকার হাত থেকে। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, বিছানার চাদরে আর কী কী ক্ষতিকর উপাদান আছে আসুন তা জেনে নেই;
মৃতকোষ: প্রতিদিন যদি পরিষ্কার চাদরে না শোন, তাহলে বিছানা কোটি কোটি মৃত কোষে ভরে যায়। আর এমনটা হলে পোকা মাকড়ের পাশপাশি নানা ক্ষতিকর জীবাণুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। কারণ আমাদের শরীরের মৃতকোষগুলি পোকাদের পছন্দের খাবার। ফলে সুস্বাদু খাবারের লোভে এই সব পোকা এসে ভিড় করে বিছানায়। ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।
তেল: ঘুমনোর সময় আমাদের শরীর থেকে তেল নিঃষ্কৃত হয়, যা বিছানার চাদরে লাগতে থাকে। অপরিষ্কার চাদরে এই তেল লাগতে লাগতে চাদরটা আরও অপরিষ্কার হয়ে যায়।
ঘাম: গরমকালে ঘুমনোর সময়ও আমরা প্রচুর ঘেমে থাকি। আর সেই ঘাম বিছানার চাদরে লেগে যায়। এতে চাদর থেকে বাজে গন্ধ বের হয়। সেই সঙ্গে সেখানে নানাবিধ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার জন্ম নেয়, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
খাবারের টুকরো: আমরা অনেকেই বিছানায় বসে খাবার খাই। ফলে খাওয়ার সময় বিছানা নোংরা হয়। আর যদি সেই নোংরা চাদর পরিষ্কার করা না হয়, তাহলে বিছানা পোকা মাকড়ের রাজ্য হয়ে ওঠে। আর আপনিতো জানেন পোকা-মাকড় কখনোই আমাদের বন্ধু নয়। এছাড়া বিছানার চাদরে থাকা বিভিন্ন রোগ জীবাণু থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
* প্রতিদিন বিচানার চাদর ধোয়া সম্ভব নয়। তাই প্রতি দু'দিন অন্তর নতুন চাদর পাতুন। অর্থাৎ সপ্তাহের শেষে আপনাকে মোট ৩টা চাদর ধুতে হবে। আর এই ব্যবহৃত চাদরে শুতে যাওয়ার আগে মনে করে চাদরটা ঝেড়ে নেবেন।
* শুধু চাদর নয়, বালিশও পরিষ্কার রাখতে হবে। তবে চাদরের মতো সপ্তাহে সপ্তাহে না কাচলেও চলবে।
* অসুস্থ ব্যক্তির বিচানার চাদর প্রতিদিন পরিবর্তন করতে হবে। এমনটা করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার কারণে রোগীর আরও অসুস্থ হয়ে পরার আশংকা কমবে।
* গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকেই সঠিক পদ্ধতিতে বিছানার চাদর বা বালিশ ধোয় না। ফলে ধোয়ার পরেও ডাস্ট মাইটস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। তাই গরম পানিতে কাপড় কাচা সাবান বা পাউডার মিশিয়ে চাদর ধুতে হবে। আর ধোয়ার পর ভালো করে যেন চাদর শুকিয়ে নিতে হবে।
* জামা কাপড়ের সঙ্গে কখনই বিছানার চাদর ধোবেন না।
* সাদা বিছানার চাদর ভালো করে পরিষ্কার করতে সাবান পানিতে হাফ কাপ লেবুর রস মিশিয়ে দেবেন। এমনটা করলে জীবাণুরা যেমন দূরে পালাবে, তেমনি সাদা রং আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
* যদি নিয়মিত বালিশের কভার পরিষ্কার করতে না পারেন তাহলে প্রতিদিন ঝেড়ে নেবেন। এমনটা করলেও জীবাণু আর ডাস্ট মাইটসরা বলিশে বাসা বাঁধার সুযোগ পাবে না।
তেল: ঘুমনোর সময় আমাদের শরীর থেকে তেল নিঃষ্কৃত হয়, যা বিছানার চাদরে লাগতে থাকে। অপরিষ্কার চাদরে এই তেল লাগতে লাগতে চাদরটা আরও অপরিষ্কার হয়ে যায়।
ঘাম: গরমকালে ঘুমনোর সময়ও আমরা প্রচুর ঘেমে থাকি। আর সেই ঘাম বিছানার চাদরে লেগে যায়। এতে চাদর থেকে বাজে গন্ধ বের হয়। সেই সঙ্গে সেখানে নানাবিধ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার জন্ম নেয়, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
খাবারের টুকরো: আমরা অনেকেই বিছানায় বসে খাবার খাই। ফলে খাওয়ার সময় বিছানা নোংরা হয়। আর যদি সেই নোংরা চাদর পরিষ্কার করা না হয়, তাহলে বিছানা পোকা মাকড়ের রাজ্য হয়ে ওঠে। আর আপনিতো জানেন পোকা-মাকড় কখনোই আমাদের বন্ধু নয়। এছাড়া বিছানার চাদরে থাকা বিভিন্ন রোগ জীবাণু থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
* প্রতিদিন বিচানার চাদর ধোয়া সম্ভব নয়। তাই প্রতি দু'দিন অন্তর নতুন চাদর পাতুন। অর্থাৎ সপ্তাহের শেষে আপনাকে মোট ৩টা চাদর ধুতে হবে। আর এই ব্যবহৃত চাদরে শুতে যাওয়ার আগে মনে করে চাদরটা ঝেড়ে নেবেন।
* শুধু চাদর নয়, বালিশও পরিষ্কার রাখতে হবে। তবে চাদরের মতো সপ্তাহে সপ্তাহে না কাচলেও চলবে।
* অসুস্থ ব্যক্তির বিচানার চাদর প্রতিদিন পরিবর্তন করতে হবে। এমনটা করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার কারণে রোগীর আরও অসুস্থ হয়ে পরার আশংকা কমবে।
* গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকেই সঠিক পদ্ধতিতে বিছানার চাদর বা বালিশ ধোয় না। ফলে ধোয়ার পরেও ডাস্ট মাইটস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। তাই গরম পানিতে কাপড় কাচা সাবান বা পাউডার মিশিয়ে চাদর ধুতে হবে। আর ধোয়ার পর ভালো করে যেন চাদর শুকিয়ে নিতে হবে।
* জামা কাপড়ের সঙ্গে কখনই বিছানার চাদর ধোবেন না।
* সাদা বিছানার চাদর ভালো করে পরিষ্কার করতে সাবান পানিতে হাফ কাপ লেবুর রস মিশিয়ে দেবেন। এমনটা করলে জীবাণুরা যেমন দূরে পালাবে, তেমনি সাদা রং আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
* যদি নিয়মিত বালিশের কভার পরিষ্কার করতে না পারেন তাহলে প্রতিদিন ঝেড়ে নেবেন। এমনটা করলেও জীবাণু আর ডাস্ট মাইটসরা বলিশে বাসা বাঁধার সুযোগ পাবে না।
No comments