ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার তীব্র সমালোচনায় জাতিসংঘ
ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও কাশ্মীরে মানবাধিকবার লঙ্ঘনের তীব্র সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির ‘ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ রিপোর্টে’ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার নিন্দা জানানো হয়। শুক্রবার জেনেভায় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ। খবর এনডিটিভির। জাতিসংঘের রিপোর্টে ভারতের গত চার বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এই চার বছরের প্রায় তিন বছর ক্ষমতায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার অভিযোগের পাশাপাশি, নারী নির্যাতন, লিঙ্গবৈষম্য, বিশেষভাবে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সুপারিশ মেনে ভারত দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষদের আরও বেশি আইনি সহায়তা দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। ভারতে বেড়ে চলেছে বিনা বিচারে জেলবন্দি রাখার ঘটনা। দলিত, আদিবাসী এবং মুসলিম সম্প্র্রদায়ের ক্ষেত্রে এটা বেশি হচ্ছে। গত চার বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা এবং বৈষম্য কমাতে কোনো পদক্ষেপই নেয়নি ভারত। লিঙ্গ বৈষম্যের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমানো এবং এই ধরনের ঘটনার তদন্তের প্রশ্নে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
তবে এসব অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ‘ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি বলেন, ‘ভারতের কোনোও রাষ্ট্রীয় ধর্ম নেই। ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুনিশ্চিত করাটা দেশের মৌলিক নীতির মধ্যেই পড়ে।’ তিনি যুক্তি দেন, ‘ভারতের ঐতিহ্য সহিষ্ণুতার, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার।’ ভারতে মানবাধিবার লঙ্ঘনের এই অভিযোগ নিয়ে নয়াদিল্লিকে আক্রমণ করেছে ইসলামাবাদ। জেনেভার ওই সম্মেলনেই পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল অবিলম্বে কাশ্মীর সফর করে পরিস্থিতি সরেজমিন দেখুক। কাশ্মিরে গণভোটের আয়োজন করা, ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনের অবসান ঘটানো এবং ছররা গুলি ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানায় পাকিস্তান।
No comments