গজারিয়ায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ার টেংগারচর ইউপির কামাল মেম্বারের বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সোহেল (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অসহায় গরিব লোক ভিজিডি কার্ড না পাওয়ায় সোহেল প্রতিবাদ করেছিল। শুক্রবার রাতে সোহেলকে তার ঢাকার বাসা থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গজারিয়ায় একটি ভুট্টাক্ষেতে কুপিয়ে হত্যা করে ওই মেম্বারের লোকজন। সোহেল টেংগারচর গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে। সোহেলের মা সুফিয়া বেগম (৫০) বলেন, ‘৪-৫ দিন আগে গ্রামের কয়েকজন অসহায় গরিব লোক ভিজিডি কার্ড না পাওয়ায় কামাল মেম্বারকে চোর বলে প্রতিবাদ করে। এ কারণে কামাল মেম্বার ও মোতালেব মেম্বার লোক দিয়ে আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’ সুফিয়া বেগম জানান, সোহেল ডিস ব্যবসা করে গ্রামে। আগে একাধিকবার বর্তমান মেম্বার কামালের আপন ভাই রাসেল চাঁদা দাবি করে তার কাছে। কিন্তু চাঁদা না পেয়ে সোহেলের মোবাইল সেট ও টাকা ছিনতাই করে রাসেল। অনেকদিন আগে সাবেক মেম্বার আহম্মদ আলীকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয় কামাল মেম্বার ও মোতালেব মেম্বারের লোকজন। তার ছেলে সোহেল সাবেক মেম্বার আহম্মদ আলীর পক্ষের লোক। সোহেলের স্ত্রী আঁখি বেগম জানান, ঢাকার মিরপুর নিউ সি-ব্লকের ১৯নং রোডের ভাড়া বাসা থেকে রাত ৯টায় তার স্বামীকে জাবেদ নামে এক লোক মোবাইলে ডেকে নেয়।
পরে মিরপুর-১ নম্বর থেকে দ্রুত বাসায় ফেরার কথা জানান স্বামী সোহেল। ১৫ মিনিট পর তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সোহেলের চাচাতো ভাই দেলোয়ার জানান, একই গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে জাবেদ ঢাকার বাসা থেকে সোহেলকে ডেকে গাড়িতে করে গজারিয়ার জামালদী স্ট্যান্ডে নিয়ে যায়। সেখানে স্কুয়ার কারখানার কাছে ভুট্টাক্ষেতে টেংগারচর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে জামাল, বিল্লাল ও তাদের চাচাতো ভাই মহসীনসহ আরও কয়েকজন মিলে সোহেলকে কুপিয়ে ফেলে রাখে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। গজারিয়া থানার এসআই সুব্রত জানান, শুক্রবার রাত ২টায় পেট্রোল ডিউটির সময় জামালদী এলাকায় ব্র্যাক অফিসের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সোহেলকে। পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওসি হেদায়াতুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
No comments