খোঁজ মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
খোঁজ মেলেনি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবিএম সোহেল উদদৌলার। দু’দিন পরও খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ বাড়ছে তার পরিবার, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। পুলিশ বলছে, নিখোঁজ শিক্ষকের ফোন বন্ধ। তবে তার ব্যবহৃত ফোন নম্বর যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, তার সর্বশেষ অবস্থান রাজধানীর রমনা থানা এলাকায়। এ ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম সোহেল উদদৌলা। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নিয়ে সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার বিকালে তেজগাঁও থানায় জিডি করেন তার ভাই শফিক উদদৌলা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় হওয়ায় শনিবার দুপুরে নতুন করে ওই থানায় আরও একটি জিডি করা হয়। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান রাশেদ যুগান্তরকে বলেন, নিখোঁজ শিক্ষকের ভাই জিডি করেছেন। পুলিশ কাজ শুরু করেছে। জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ক্যাম্পাস থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে মিরপুর পল্লবী বাসার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত বাসায় ফেরেননি। নিখোঁজের পর থেকে তার মোবাইল-০১৭৬০২৫১৭৪৭ নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর আবদুল গফুর যুগান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। ক্লাসও নিয়েছেন। বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন। তিনি নিখোঁজ শিক্ষককে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্দেহজনক কোনো কিছু নজরে আসেনি।
তবে কার মনে কি? সেটা তো বলতে পারব না। কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী দুর্জয়ের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, স্যারকে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে দেখেছি। তবে ওই দিন আমাদের সঙ্গে স্যারের কোনো ক্লাস ছিল না। তবে স্যার খুব মজা করে পড়াতেন। নিয়মিত নামাজ পড়তেন। একাডেমিক বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়নি। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এবিএম সোহেল উদদৌলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পাস করেন। ৩ বছর ধরে তিনি আহসানউল্লাহয় শিক্ষকতা করছেন। তাবলিগ জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও রাজনীতি করেন না তিনি। নিখোঁজের বড় ভাই এবিএম শফিক উদদৌলা যুগান্তরকে বলেন, বৃদ্ধ বাবা-মা ভেঙে পড়েছেন। পরিবার তার অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, আমার ভাই ধর্ম-কর্ম করতেন। দাড়ি ছিল, পাঞ্জাবি পরতেন। কিন্তু সন্দেহজনক কোনো কিছু তার মধ্যে ছিল না। থানায় জিডি করেছি। র্যাবকেও জানিয়েছি।
No comments