সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীর জামিন বহাল
যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, এ রায়ের ফলে ব্যারিস্টার ফখরুলের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। এর আগে গত ৪ এপ্রিল ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে এক বছরের জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে সে জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে বুধবার চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। চেম্বার আদালত আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য তা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর রায় খসড়া ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের আপিল গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলার রায় দেন সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম শামসুল আলম।
রায়ে সাকা চৌধুরীর আইনজীবীসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী খালাস পান। ওই মামলায় সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলামকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সাংবাদিকদের দেখান এবং স্পাইরাল বাইন্ডিং করা কপি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষে যান। এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় জিডি করেন। পরে তা তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলায় রূপান্তরিত হয়।
No comments