বৃটেনে ১৩৭০ বছরের পুরনো কোরআন আবিষ্কার by তানজির আহমেদ রাসেল
বৃটেনে
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালা থেকে বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে
প্রাচীনতম কোরআনের পাণ্ডুলিপি পাওয়া গেছে। রেডিও কার্বন প্রযুক্তি ব্যবহার
করে পাণ্ডুলিপি পরীক্ষা করে গবেষকরা বলছেন এটি অন্তত ১৩৭০ বছরের পুরনো।
তারা বলছেন বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারে সংরক্ষিত এই পাণ্ডুলিপি
হয়তো পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে পুরনো পণ্ডুলিপির অংশ। কোরআনের এই পৃষ্ঠাগুলো
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারে প্রায় একশ বছর ধরে অবহেলিতভাবে
পড়েছিল। গবেষকরা বলছেন যিনি এই পাণ্ডুলিপি লিপিবদ্ধ করেছিলেন তিনি সম্ভবত
মহানবী (স.)-এর সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন অথবা মুখোমুখি তাঁর বাণী শুনেছিলেন। এই
আবিষ্কারে গবেষকরা বিস্মিত ও আনন্দিত। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সংগ্রহশালার পরিচালক বলেছেন কার্বন ডেটিং পরীক্ষা বলছে যে চামড়ার ওপর এই পাণ্ডুলিপি লেখা হয়েছে তা ৫৬৮ থেকে ৬৪৫ সালের মধ্যে লেখা হয়েছিল এবং এই ফলাফলের নিশ্চয়তা শতকরা ৯৫ ভাগ। তিনি বলেন, গবেষকরা স্বপ্নেও ভাবেন নি তারা কি আবিষ্কার করতে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ক অধ্যাপক ডেভিড টমাস বলেছেন এর অর্থ হলো এই পাণ্ডুলিপি লিপিবদ্ধ হয়েছিল ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের কয়েক বছরের মধ্যেই। তিনি আরও বলেছেন এই পাণ্ডুলিপির লিপিবদ্ধকারী হয়তো মহানবী (স.)-এর সংস্পর্শে এসে তাঁর মুখ থেকে বাণী শুনেছিলেন। ১৯২০ সালে একজন ইরাকি বংশোদ্ভূত ঐতিহাসিক ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের বহু প্রাচীন হাজার হাজার পুঁথিপুস্তক ও নথি সংগ্রহ করেছিলেন। তার মধ্যে এই পৃষ্ঠাগুলো যে পবিত্র কোরআনের অংশ তা তিনি বুঝতে পারেন নি।
শত বছর ধরে পড়ে থাকা এই পাণ্ডুলিপি একজন পিএইচডি গবেষকের নথিটি নজরে এলে তিনি এর বয়স নির্ধারণ করার জন্য রেডিও কার্বন ডেটিং প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিও কার্বন অ্যাক্সিলেরেটর ইউনিটে এই পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় ভেড়া বা ছাগলের চামড়ার ওপর লেখা এই পাণ্ডুলিপি এযাবৎ বিশ্বে কোরআনের সবচেয়ে পুরনো পাণ্ডুলিপি যা এখনও টিকে আছে। এই পাণ্ডুলিপির লেখা এখনও পরিষ্কার পড়া সম্ভব। বৃটিশ লাইব্রেরির নথি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. মুহাম্মদ ইসা ওয়ালি বলেছেন এই আবিষ্কার মুসলমানদের জন্য দারুণ উত্তেজনাময় ও ভীষণ খুশির খবর।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সংগ্রহশালার পরিচালক বলেছেন কার্বন ডেটিং পরীক্ষা বলছে যে চামড়ার ওপর এই পাণ্ডুলিপি লেখা হয়েছে তা ৫৬৮ থেকে ৬৪৫ সালের মধ্যে লেখা হয়েছিল এবং এই ফলাফলের নিশ্চয়তা শতকরা ৯৫ ভাগ। তিনি বলেন, গবেষকরা স্বপ্নেও ভাবেন নি তারা কি আবিষ্কার করতে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ক অধ্যাপক ডেভিড টমাস বলেছেন এর অর্থ হলো এই পাণ্ডুলিপি লিপিবদ্ধ হয়েছিল ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের কয়েক বছরের মধ্যেই। তিনি আরও বলেছেন এই পাণ্ডুলিপির লিপিবদ্ধকারী হয়তো মহানবী (স.)-এর সংস্পর্শে এসে তাঁর মুখ থেকে বাণী শুনেছিলেন। ১৯২০ সালে একজন ইরাকি বংশোদ্ভূত ঐতিহাসিক ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের বহু প্রাচীন হাজার হাজার পুঁথিপুস্তক ও নথি সংগ্রহ করেছিলেন। তার মধ্যে এই পৃষ্ঠাগুলো যে পবিত্র কোরআনের অংশ তা তিনি বুঝতে পারেন নি।
শত বছর ধরে পড়ে থাকা এই পাণ্ডুলিপি একজন পিএইচডি গবেষকের নথিটি নজরে এলে তিনি এর বয়স নির্ধারণ করার জন্য রেডিও কার্বন ডেটিং প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিও কার্বন অ্যাক্সিলেরেটর ইউনিটে এই পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় ভেড়া বা ছাগলের চামড়ার ওপর লেখা এই পাণ্ডুলিপি এযাবৎ বিশ্বে কোরআনের সবচেয়ে পুরনো পাণ্ডুলিপি যা এখনও টিকে আছে। এই পাণ্ডুলিপির লেখা এখনও পরিষ্কার পড়া সম্ভব। বৃটিশ লাইব্রেরির নথি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. মুহাম্মদ ইসা ওয়ালি বলেছেন এই আবিষ্কার মুসলমানদের জন্য দারুণ উত্তেজনাময় ও ভীষণ খুশির খবর।
No comments