কাঠের খুঁটিতে হেলান কংক্রিটের সেতুর
সংযোগ
সড়ক ধসে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সেতুর এক পাশ। ধসে যাওয়া অংশে কাঠের পাটাতন
ফেলা হয়েছে। তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যান চলাচল করছে। নিচে কাঠের
খুঁটির ঠেকনা দিয়ে রাখা হয়েছে কংক্রিটের সেতুটি। জোড়াতালির এই সেতুটি
রংপুর নগরের সরেয়ারতল এলাকায় অবস্থিত।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের খোকসা ঘাঘট খালের ওপর সেতুটির এক দিকের সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়েছে। চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে কাঠের পাটাতন বিছিয়েছেন। সেই পাটাতনের ওপর দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল কোনোরকমে চলাচল করছে। সেতুর যে পাশে পাটাতন বিছানো, সেই পাশেই কাঠের খুঁটি দিয়ে কংক্রিটের সেতুটি ঠেকনা দিয়ে রাখা হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেয়ারতল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা কোনোরকমে পাটাতন পার হয়ে সেতুতে গিয়ে উঠল। এ সময় বিপরীত দিকে একটি মোটরসাইকেল দাঁড়িয়েছিল পাটাতন পার হওয়ার অপেক্ষায়। খানিক পর পাটাতনের ওপর দিয়ে একটি রিকশা ভ্যানকে মালামাল নিয়ে পার হতে দেখা গেল। এ সময় কথা হয় অনেকের সঙ্গে।
অটোরিকশাচালক জহিরুল ইসলাম বললেন, ‘কেমন করি ঝুঁকি নিয়া ব্রিজটি পার হচ্ছি তা তো দেখতেই পারছেন?’ অটোরিকশার আরোহী বেসরকারি সংস্থার কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অটো থেকে নেমে পড়তে হয়েছে। না নামলে যেকোনো সময় নিচে পড়ে যাওয়ার ভয় আছে।’
এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, চার বছর ধরে সেতুটির এই হাল। এর ওপর দিয়ে নগরের চিনিয়াপাড়া, ডিমলা রাজবাড়ী, রঘু, আবদুল্লাহ, সরেয়ারতল এলাকার প্রায় চার হাজার পরিবার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য গাড়ি যেতে চাইলে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে মাহিগঞ্জ-তাজহাট ও দমদমা দিয়ে এই এলাকাগুলোয় যেতে হবে।
চিনিয়াপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েক বছর থাকিয়া ব্রিজটার মুখ ভাঙা। এলাকাবাসীর উদ্যোগে কাঠ, বাঁশ ঠেকা দিয়া চলাচল করতোছি। তবে রাইতোত খুব ভয় লাগে।’
সেতুর ওপারে অবস্থিত ডিমলা রাজবাড়ী এলাকার বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। মালামাল নিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে প্রয়োজনীয় মালামাল আনা-নেওয়া করতে হয়।
সিটি করপোরেশনের ওই এলাকা ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, এই সেতুটি ভেঙে নতুন করে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বলেন, সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এটির নির্মাণকাজ শিগগির শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের খোকসা ঘাঘট খালের ওপর সেতুটির এক দিকের সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়েছে। চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে কাঠের পাটাতন বিছিয়েছেন। সেই পাটাতনের ওপর দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল কোনোরকমে চলাচল করছে। সেতুর যে পাশে পাটাতন বিছানো, সেই পাশেই কাঠের খুঁটি দিয়ে কংক্রিটের সেতুটি ঠেকনা দিয়ে রাখা হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেয়ারতল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা কোনোরকমে পাটাতন পার হয়ে সেতুতে গিয়ে উঠল। এ সময় বিপরীত দিকে একটি মোটরসাইকেল দাঁড়িয়েছিল পাটাতন পার হওয়ার অপেক্ষায়। খানিক পর পাটাতনের ওপর দিয়ে একটি রিকশা ভ্যানকে মালামাল নিয়ে পার হতে দেখা গেল। এ সময় কথা হয় অনেকের সঙ্গে।
অটোরিকশাচালক জহিরুল ইসলাম বললেন, ‘কেমন করি ঝুঁকি নিয়া ব্রিজটি পার হচ্ছি তা তো দেখতেই পারছেন?’ অটোরিকশার আরোহী বেসরকারি সংস্থার কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অটো থেকে নেমে পড়তে হয়েছে। না নামলে যেকোনো সময় নিচে পড়ে যাওয়ার ভয় আছে।’
এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, চার বছর ধরে সেতুটির এই হাল। এর ওপর দিয়ে নগরের চিনিয়াপাড়া, ডিমলা রাজবাড়ী, রঘু, আবদুল্লাহ, সরেয়ারতল এলাকার প্রায় চার হাজার পরিবার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য গাড়ি যেতে চাইলে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে মাহিগঞ্জ-তাজহাট ও দমদমা দিয়ে এই এলাকাগুলোয় যেতে হবে।
চিনিয়াপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েক বছর থাকিয়া ব্রিজটার মুখ ভাঙা। এলাকাবাসীর উদ্যোগে কাঠ, বাঁশ ঠেকা দিয়া চলাচল করতোছি। তবে রাইতোত খুব ভয় লাগে।’
সেতুর ওপারে অবস্থিত ডিমলা রাজবাড়ী এলাকার বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। মালামাল নিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে প্রয়োজনীয় মালামাল আনা-নেওয়া করতে হয়।
সিটি করপোরেশনের ওই এলাকা ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, এই সেতুটি ভেঙে নতুন করে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বলেন, সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এটির নির্মাণকাজ শিগগির শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
রংপুর নগরের সরেয়ারতল এলাকায় খোকসা ঘাঘট খালের ওপর কংক্রিটের পরিত্যক্ত সেতুর ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যান চলাচল করছে। ছবিটি গত বুধবার তোলা l প্রথম আলো |
No comments