গ্রিসের ঋণসংকটঃ নিজ দলের বিরোধীদের তুলাধোনা করলেন সিপ্রাস
গ্রিসের
বামপন্থী প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস দ্বিতীয় দফায় আর্থিক
সংস্কারের বিল পার্লামেন্টে তোলার প্রাক্কালে নিজ দলে তাঁর
সমালোচনাকারীদের তুলাধোনা করলেন। দলের যেসব এমপি আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের
সঙ্গে করা চুক্তির বিরোধিতা করেছেন, সিপ্রাসের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন
তাঁরাই। খবর বিবিসি ও এএফপির।
দলের সমালোচক সাংসদের উদ্দেশে সিপ্রাস বলেন, ‘আমি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি আর ওঁরা তাঁর পেছনে আশ্রয় নিয়েই গা বাঁচিয়েছেন।’
এবার সংস্কারের প্রস্তাব পাসের আগে সিপ্রাসকে বিরোধী দলের ওপর নির্ভর করতে হবে। কেননা, গেল সপ্তাহে প্রথম দফার প্রস্তাব পাসের আগে নিজ দলের ১৪৯ জন এমপির মধ্যে এক-পঞ্চমাংশই এর বিরোধিতা করেন। এর মধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারফোকিসও ছিলেন। তবে দাতাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুত ৮ হাজার ৬০০ কোটি ইউরো পেতে গেলে এসব সংস্কারের বিকল্প নেই গ্রিসের।
গতকাল বুধবার গ্রিসের পার্লামেন্টে এই সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। দলীয় এমপিদের সমর্থন কমে এখন সিপ্রাসের পক্ষের এমপির সংখ্যা হয়েছে ১২৩। সরকার টিকিয়ে রাখতে অন্তত ১২০ সাংসদের সমর্থন দরকার।
তবে এই দফায় সংস্কার প্রস্তাবে সিপ্রাস খুব বেশি বিরোধিতার সম্মুখীন না-ও হতে পারেন। এবারের প্রস্তাবের মধ্যে বিচার বিভাগ, সরকারি নিলাম ব্যবস্থার সংস্কার এবং গ্রিসের ব্যাংকগুলোর তারল্য ধরে রাখার বিষয় আছে। তিন সপ্তাহ পর গ্রিসের ব্যাংকগুলো খুলেছে গত সোমবার। নতুন বিলে ব্যাংকের সঞ্চয় সর্বোচ্চ এক লাখ ইউরো পর্যন্ত রাখার প্রস্তাব আছে। ঋণদাতা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এই শর্ত জুড়ে দেয়। গ্রিসের বিরোধী দল এবারের প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবারের বিল পাসের আরেক গুরুত্ব হলো, বিলটি পাস হওয়ার পরপরই ঋণদাতা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এবং ইউইউর সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, সিপ্রাসের নিজ দলের মধ্যে ভাঙন দেখা দেবে কি না বা এর ফলে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা আছে কি না পার্লামেন্টের সম্ভাব্য উত্তপ্ত আলোচনাই তা বলে দেবে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস ব্যাংকগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত ডিসেম্বর মাস থেকে গ্রিসের ব্যাংক থেকে শঙ্কিত গ্রাহকেরা চার হাজার কোটি ইউরো তুলে নেন। এর ফলে এসব ব্যাংক চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এএনএ জানায়, সিপ্রাস বলেছেন, ‘আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে স্বাভাবিক করাই এখনকার মূল কাজ। এর পাশাপাশি আমাদের স্বল্প আয়ের মানুষদেরও রক্ষা করতে হবে।’
দলের সমালোচক সাংসদের উদ্দেশে সিপ্রাস বলেন, ‘আমি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি আর ওঁরা তাঁর পেছনে আশ্রয় নিয়েই গা বাঁচিয়েছেন।’
এবার সংস্কারের প্রস্তাব পাসের আগে সিপ্রাসকে বিরোধী দলের ওপর নির্ভর করতে হবে। কেননা, গেল সপ্তাহে প্রথম দফার প্রস্তাব পাসের আগে নিজ দলের ১৪৯ জন এমপির মধ্যে এক-পঞ্চমাংশই এর বিরোধিতা করেন। এর মধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারফোকিসও ছিলেন। তবে দাতাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুত ৮ হাজার ৬০০ কোটি ইউরো পেতে গেলে এসব সংস্কারের বিকল্প নেই গ্রিসের।
গতকাল বুধবার গ্রিসের পার্লামেন্টে এই সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। দলীয় এমপিদের সমর্থন কমে এখন সিপ্রাসের পক্ষের এমপির সংখ্যা হয়েছে ১২৩। সরকার টিকিয়ে রাখতে অন্তত ১২০ সাংসদের সমর্থন দরকার।
তবে এই দফায় সংস্কার প্রস্তাবে সিপ্রাস খুব বেশি বিরোধিতার সম্মুখীন না-ও হতে পারেন। এবারের প্রস্তাবের মধ্যে বিচার বিভাগ, সরকারি নিলাম ব্যবস্থার সংস্কার এবং গ্রিসের ব্যাংকগুলোর তারল্য ধরে রাখার বিষয় আছে। তিন সপ্তাহ পর গ্রিসের ব্যাংকগুলো খুলেছে গত সোমবার। নতুন বিলে ব্যাংকের সঞ্চয় সর্বোচ্চ এক লাখ ইউরো পর্যন্ত রাখার প্রস্তাব আছে। ঋণদাতা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এই শর্ত জুড়ে দেয়। গ্রিসের বিরোধী দল এবারের প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবারের বিল পাসের আরেক গুরুত্ব হলো, বিলটি পাস হওয়ার পরপরই ঋণদাতা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এবং ইউইউর সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, সিপ্রাসের নিজ দলের মধ্যে ভাঙন দেখা দেবে কি না বা এর ফলে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা আছে কি না পার্লামেন্টের সম্ভাব্য উত্তপ্ত আলোচনাই তা বলে দেবে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস ব্যাংকগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত ডিসেম্বর মাস থেকে গ্রিসের ব্যাংক থেকে শঙ্কিত গ্রাহকেরা চার হাজার কোটি ইউরো তুলে নেন। এর ফলে এসব ব্যাংক চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এএনএ জানায়, সিপ্রাস বলেছেন, ‘আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে স্বাভাবিক করাই এখনকার মূল কাজ। এর পাশাপাশি আমাদের স্বল্প আয়ের মানুষদেরও রক্ষা করতে হবে।’
No comments