মৌলভীবাজার পৌর এলাকায় অর্ধেক সড়কবাতি জ্বলে না
মৌলভীবাজার
পৌর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রায় অর্ধেক সড়কবাতিই (স্ট্রিট লাইট) জ্বলে
না। এতে প্রায়ই শহরের অনেক এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
মৌলভীবাজার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লার অনেক সড়কেই রাতের বেলা সড়কবাতি জ্বলে না। অনেক দিন ধরেই এ অবস্থা বিরাজ করছে। প্রধান সব সড়ক আশপাশের দোকানের বাতি আর নিয়ন সাইনবোর্ডের আলোতে যতটুকু আলোকিত হয়, তা দিয়েই পথচারী ও যানবাহনের চলাচল করতে হয়। দোকান বন্ধ হয়ে গেলে সড়কে অন্ধকার নেমে আসে। অনেক বাসাবাড়ির লোকজন বাইরের দিকের বাতি নিভিয়ে ফেলেন। এতে রাতের বেলা এলাকার গলিপথ অন্ধকারে ডুবে থাকে। তখন এসব গলিপথে আতঙ্ক নিয়ে পথচারীরা চলাচল করেন। অন্ধকারের সুযোগে এসব গলিপথ এলাকায় প্রায়ই চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অনেক রিকশাচালক রাতের বেলা এসব পথে যাত্রী পরিবহন করতে চান না। একবার বাতি নষ্ট হলে নতুন করে লাগাতে অনেক দিন লেগে যায় বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। ঈদ মৌসুমে অনেক রাত পর্যন্ত শহরের বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কেনাকাটা চলে। কেনাকাটা শেষে অনেকে অন্ধকার পথে ভয়ভীতির মধ্যে বাসায় ফেরেন।
ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী ভুট্টো সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সদর (মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল) হাসপাতালের সামনে থেকে কোনো স্ট্রিট লাইট জ্বলতে দেখি না।’
গত কয়েক রাতে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়কগুলোর বেশির ভাগ বাতিই জ্বলছে না। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম স্থান চৌমোহনা চত্বরের বাতিগুলোই নিভে আছে। চৌমোহনা থেকে চাঁদনীঘাট মনু সেতু পর্যন্ত ছয়টি লাইটপোস্টের মধ্যে একটিতেও বাতি জ্বলছে না। এম সাইফুর রহমান সড়কের (সাবেক সেন্ট্রাল রোড) চৌমোহনা থেকে তহশিল অফিস পর্যন্ত সাতটি সড়কবাতির মধ্যে জ্বলছে মাত্র একটি। চৌমোহনা থেকে গীর্জাপাড়া সড়কের মুখ পর্যন্ত পাঁচটির মধ্যে সব বাতিই নিভে আছে। এ ছাড়া এম সাইফুর রহমান সড়কের পুরোনো থানা থেকে পশ্চিম বাজার হয়ে কুসুমবাগ পর্যন্ত একটি বাতিও জ্বলে না। একইভাবে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সড়ক ও জনপথ (সওজ) কার্যালয় এলাকা থেকে যুগীডর এলাকা পর্যন্ত প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটারে হাতে গোনা কয়েকটি সড়কবাতি জ্বলতে দেখা গেছে। তবে পশ্চিম গীর্জাপাড়া, সৈয়দ মুজতবা আলী সড়ক (সাবেক পুরোনো হাসপাতাল সড়ক), সৈয়ারপুর এলাকা, কোর্ট এলাকাসহ কিছু এলাকায় বেশ কিছু বাতি জ্বলতে দেখা গেছে। মনু সেতুতেও বেশ কিছু বাতি নিভে আছে।
পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী রণধীর রায় বলেন, অনেক জায়গায় বাতি লাগানো হয়েছে। মেইন রোডে বাতি নেই। সবখানেই বাতি লাগানো হবে। শর্টসার্কিট হলে বা ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণ ঘটলে অনেক বাতি নষ্ট হয়ে যায়। ঝড়েও প্রায়ই বাতি নষ্ট হচ্ছে। পৌরসভায় তিন হাজার লাইটপোস্ট আছে। এর মধ্যে দেড়-হাজারের মতো লাইটপোস্টে বাতি নেই। পৌরসভার মেয়র ফয়জুল করিম সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে বাতি লাগানো শেষ হয়ে যাবে। এখন পাড়ার গলি শেষ করছি। পরে মেইন রোডে লাগানো হবে।’
মৌলভীবাজার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লার অনেক সড়কেই রাতের বেলা সড়কবাতি জ্বলে না। অনেক দিন ধরেই এ অবস্থা বিরাজ করছে। প্রধান সব সড়ক আশপাশের দোকানের বাতি আর নিয়ন সাইনবোর্ডের আলোতে যতটুকু আলোকিত হয়, তা দিয়েই পথচারী ও যানবাহনের চলাচল করতে হয়। দোকান বন্ধ হয়ে গেলে সড়কে অন্ধকার নেমে আসে। অনেক বাসাবাড়ির লোকজন বাইরের দিকের বাতি নিভিয়ে ফেলেন। এতে রাতের বেলা এলাকার গলিপথ অন্ধকারে ডুবে থাকে। তখন এসব গলিপথে আতঙ্ক নিয়ে পথচারীরা চলাচল করেন। অন্ধকারের সুযোগে এসব গলিপথ এলাকায় প্রায়ই চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অনেক রিকশাচালক রাতের বেলা এসব পথে যাত্রী পরিবহন করতে চান না। একবার বাতি নষ্ট হলে নতুন করে লাগাতে অনেক দিন লেগে যায় বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। ঈদ মৌসুমে অনেক রাত পর্যন্ত শহরের বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কেনাকাটা চলে। কেনাকাটা শেষে অনেকে অন্ধকার পথে ভয়ভীতির মধ্যে বাসায় ফেরেন।
ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী ভুট্টো সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সদর (মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল) হাসপাতালের সামনে থেকে কোনো স্ট্রিট লাইট জ্বলতে দেখি না।’
গত কয়েক রাতে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়কগুলোর বেশির ভাগ বাতিই জ্বলছে না। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম স্থান চৌমোহনা চত্বরের বাতিগুলোই নিভে আছে। চৌমোহনা থেকে চাঁদনীঘাট মনু সেতু পর্যন্ত ছয়টি লাইটপোস্টের মধ্যে একটিতেও বাতি জ্বলছে না। এম সাইফুর রহমান সড়কের (সাবেক সেন্ট্রাল রোড) চৌমোহনা থেকে তহশিল অফিস পর্যন্ত সাতটি সড়কবাতির মধ্যে জ্বলছে মাত্র একটি। চৌমোহনা থেকে গীর্জাপাড়া সড়কের মুখ পর্যন্ত পাঁচটির মধ্যে সব বাতিই নিভে আছে। এ ছাড়া এম সাইফুর রহমান সড়কের পুরোনো থানা থেকে পশ্চিম বাজার হয়ে কুসুমবাগ পর্যন্ত একটি বাতিও জ্বলে না। একইভাবে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সড়ক ও জনপথ (সওজ) কার্যালয় এলাকা থেকে যুগীডর এলাকা পর্যন্ত প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটারে হাতে গোনা কয়েকটি সড়কবাতি জ্বলতে দেখা গেছে। তবে পশ্চিম গীর্জাপাড়া, সৈয়দ মুজতবা আলী সড়ক (সাবেক পুরোনো হাসপাতাল সড়ক), সৈয়ারপুর এলাকা, কোর্ট এলাকাসহ কিছু এলাকায় বেশ কিছু বাতি জ্বলতে দেখা গেছে। মনু সেতুতেও বেশ কিছু বাতি নিভে আছে।
পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী রণধীর রায় বলেন, অনেক জায়গায় বাতি লাগানো হয়েছে। মেইন রোডে বাতি নেই। সবখানেই বাতি লাগানো হবে। শর্টসার্কিট হলে বা ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণ ঘটলে অনেক বাতি নষ্ট হয়ে যায়। ঝড়েও প্রায়ই বাতি নষ্ট হচ্ছে। পৌরসভায় তিন হাজার লাইটপোস্ট আছে। এর মধ্যে দেড়-হাজারের মতো লাইটপোস্টে বাতি নেই। পৌরসভার মেয়র ফয়জুল করিম সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে বাতি লাগানো শেষ হয়ে যাবে। এখন পাড়ার গলি শেষ করছি। পরে মেইন রোডে লাগানো হবে।’
No comments