ব্যানারে ঢাকা পড়েছে বরিশাল- রাজনৈতিক নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা
জিলা স্কুল–সংলগ্ন রাস্তায় চলে এসেছে ব্যানার |
ঈদের
শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুনে ঢাকা পড়েছে বরিশালের নগরের সৌন্দর্য।
বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানগুলোর চারপাশ ঘিরে এখন
ব্যানার-ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। এগুলোর সবই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের।
এসব স্থাপনা দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের যার দায়িত্ব, খোদ সেই নগরপিতার পক্ষেও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার টানানো হয়েছে। বিষয়টি নজরে আনলে মেয়র অবশ্য তাঁর ব্যানার সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি অন্যগুলোও অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
যেকোনো উৎসবে নগরের বিবির পুকুর, অশ্বিনীকুমার হল, রাজাবাহাদুর সড়ক, নৌবন্দর, জেলখানার মোড়, নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড ও রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থাকে লোকে লোকারণ্য। সেখানে সবাই মেতে ওঠে গল্পগুজব, আড্ডায়। চলে নানা অনুষ্ঠান।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এসব স্থান অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুনে ঢাকা পড়ে আছে। এগুলোর সংখ্যা এতই বেশি যে আসল স্থাপনাই খুঁজে পাওয়া দায়। বিবির পুকুরের চারদিকে এমনভাবে ডিজিটাল ব্যানার সাঁটানো হয়েছে যে এর অস্তিত্বই বোঝা যায় না। পুকুরের মধ্যে স্থাপন করা ফোয়ারাও বন্ধ। ফলে পুকুরটির সৌন্দর্যই উপভোগ করা সম্ভব নয় বলে জানালেন বরিশালে ঈদ করতে আসা সাইদা আক্তার।
এসব স্থাপনা দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের যার দায়িত্ব, খোদ সেই নগরপিতার পক্ষেও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার টানানো হয়েছে। বিষয়টি নজরে আনলে মেয়র অবশ্য তাঁর ব্যানার সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি অন্যগুলোও অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
যেকোনো উৎসবে নগরের বিবির পুকুর, অশ্বিনীকুমার হল, রাজাবাহাদুর সড়ক, নৌবন্দর, জেলখানার মোড়, নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড ও রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থাকে লোকে লোকারণ্য। সেখানে সবাই মেতে ওঠে গল্পগুজব, আড্ডায়। চলে নানা অনুষ্ঠান।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এসব স্থান অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুনে ঢাকা পড়ে আছে। এগুলোর সংখ্যা এতই বেশি যে আসল স্থাপনাই খুঁজে পাওয়া দায়। বিবির পুকুরের চারদিকে এমনভাবে ডিজিটাল ব্যানার সাঁটানো হয়েছে যে এর অস্তিত্বই বোঝা যায় না। পুকুরের মধ্যে স্থাপন করা ফোয়ারাও বন্ধ। ফলে পুকুরটির সৌন্দর্যই উপভোগ করা সম্ভব নয় বলে জানালেন বরিশালে ঈদ করতে আসা সাইদা আক্তার।
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সড়কজুড়ে নেতাদের ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। এতে ঢাকা পড়েছে পেছনের সব স্থাপনা। ছবিটি বরিশাল নগরের সদর রোড থেকে গতকাল সকালে তোলা l প্রথম আলো |
একই অবস্থা অশ্বিনীকুমার হল চত্বরসহ অন্যান্য বিনোদন স্থানেও। বড় দুটি দলের নেতাদের ব্যানার টানিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে সেসব স্থান।
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সাঁটানো বেশির ভাগ ব্যানার-ফেস্টুনই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বড় ছেলে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর। সদর আসনের সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজ হিরণ ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানও ব্যানার টানিয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকটি রয়েছে মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার ও বর্তমান মেয়র সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামালের ব্যানারও।
নগরবাসীর অভিযোগ, কোনো উৎসব এলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানোর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন। নগরের সৌন্দর্যহানি করা এসব বস্তু অপসারণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশেনর হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয় না।
বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এখন রাজনীতি হয়ে গেছে বিলবোর্ডকেন্দ্রিক। কে কত বেশি বিলবোর্ড স্থাপন করতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে। এটা রোধে সিটি করপোরেশন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি রাজনৈতিক দল ও নেতাদের কাছে ক্ষমতার আবরণে নগরের ঐতিহ্যকে ঢেকে না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
বরিশাল নগর সৌন্দর্য রক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, বরিশাল নগরে বিনোদনের স্থান খুবই কম। যেটুকু আছে তা-ও দখল করে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। নেতারা জনগণের বিষয়টি বোঝেন না।
জানতে চাইলে মেয়র আহসান হাবিব কামাল গতকাল বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগরের প্রধান প্রধান স্থান শুভেচ্ছা বিলবোর্ডে ঢাকা পড়েছে। বিষয়টি দেখে আমি আমার বিলবোর্ড খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। একই সঙ্গে দুই দিনের মধ্যে অন্যান্য বিলবোর্ড সরিয়ে নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বিলবোর্ড অপসারণ করা হবে।’
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সাঁটানো বেশির ভাগ ব্যানার-ফেস্টুনই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বড় ছেলে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর। সদর আসনের সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজ হিরণ ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানও ব্যানার টানিয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকটি রয়েছে মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার ও বর্তমান মেয়র সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামালের ব্যানারও।
নগরবাসীর অভিযোগ, কোনো উৎসব এলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানোর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন। নগরের সৌন্দর্যহানি করা এসব বস্তু অপসারণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশেনর হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয় না।
বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এখন রাজনীতি হয়ে গেছে বিলবোর্ডকেন্দ্রিক। কে কত বেশি বিলবোর্ড স্থাপন করতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে। এটা রোধে সিটি করপোরেশন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি রাজনৈতিক দল ও নেতাদের কাছে ক্ষমতার আবরণে নগরের ঐতিহ্যকে ঢেকে না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
বরিশাল নগর সৌন্দর্য রক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, বরিশাল নগরে বিনোদনের স্থান খুবই কম। যেটুকু আছে তা-ও দখল করে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। নেতারা জনগণের বিষয়টি বোঝেন না।
জানতে চাইলে মেয়র আহসান হাবিব কামাল গতকাল বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগরের প্রধান প্রধান স্থান শুভেচ্ছা বিলবোর্ডে ঢাকা পড়েছে। বিষয়টি দেখে আমি আমার বিলবোর্ড খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। একই সঙ্গে দুই দিনের মধ্যে অন্যান্য বিলবোর্ড সরিয়ে নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বিলবোর্ড অপসারণ করা হবে।’
No comments