বৃষ্টিতে ভবদহের ২০০ বাড়িঘর জলাবদ্ধ- চালু হয়নি জোয়ারাধার
বৃষ্টির
কারণে যশোরের অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলার পাঁচটি গ্রামের প্রায় ২০০
বাড়িঘর জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে ভবদহ অঞ্চলের
বিলগুলো ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছে। বিলগুলো উপচে বৃষ্টির পানি উপজেলা দুটির
বেদভিটা, বলারাবাদ, ডহর মশিয়াহাটি, হাটগাছ ও কুলটিয়া গ্রামের বিভিন্ন
বাড়ির উঠানে ঢুকেছে। জলাবদ্ধ এসব বাড়ির লোকজন পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন
যাপন করছেন।
এলাকার পানিনিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, শ্রী, হরি ও টেকা নদীর বুক পলি জমে উঁচু হয়ে পড়েছে। ফলে শ্রী নদীর ওপর অবস্থিত ভবদহ স্লুইসগেট দিয়ে পানিনিষ্কাশন হচ্ছে না। এ অবস্থায় উজানের বৃষ্টির পানির চাপে বিলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে পানি বিলসংলগ্ন গ্রামগুলোতে ঢুকছে।
৮ জুলাই থেকে বৃষ্টি শুরু হয় এবং থেমে থেমে এখনো তা অব্যাহত আছে। মাঝেমধ্যে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বিল কপালিয়ায় প্রস্তাবিত জোয়ারাধার চালু করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এলাকার কোনো বিলে বর্তমানে জোয়ারাধার কার্যকর নেই। ফলে জোয়ারের সঙ্গে আসা পলিতে মুক্তেশ্বরী, শ্রী, হরি ও টেকা নদী ক্রমেই ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানিনিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টির পানিতে বিলগুলো ভরে উঠেছে।
গত সোম ও গতকাল বুধবার গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বাড়িতে পানি ঢুকেছে। গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ বাড়িতে পানি উঠেছে। প্রতিদিন পানি বাড়ছে। তাঁরা জানান, অনেক ঘরে পানি ঢুকেছে। ঘরের মধ্যে মাচা করে সেখানে তাঁরা থাকছেন। অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের অন্তরা মণ্ডল বলেন, ‘বিল জল ভরে ওপরের দিকে এগোচ্ছে। আমার বাড়ি একটু নিচু বলে আগেই তলিয়ে গেছে। খুব কষ্ট হচ্ছে বাড়িতে থাকতে।’ গ্রামের মিহির মণ্ডল বলেন, ‘ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের প্রায় সব বাড়িতে জল উঠে গেছে। অনেকেই ঘরের মধ্যে মাচা তৈরি করে বসবাস করছেন।’
ভবদহ পানিনিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির বলেন, ভবদহ সমস্যার একমাত্র সমাধান জোয়ারাধার বাস্তবায়ন করা। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড বিল কপালিয়ায় জোয়ারাধার বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এলাকার অন্য কোনো বিলেও এখন জোয়ারাধার কার্যকর নেই।
ফলে জোয়ারের সঙ্গে আসা পলিতে নদীগুলো ভরাট হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি নদী দিয়ে বের হতে না পারায় জলাবদ্ধতা শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে জলাবদ্ধতা বাড়ছে। জলাবদ্ধতার দ্রুত নিরসন না হলে এলাকার লোকদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী অখিল কুমার বিশ্বাস বলেন, এলাকার কতিপয় মৎস্যঘের মালিকের বাধার মুখে বিল কাপালিয়ায় জোয়ারাধার বাস্তবায়ন করা যায়নি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চেয়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এলাকার পানিনিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, শ্রী, হরি ও টেকা নদীর বুক পলি জমে উঁচু হয়ে পড়েছে। ফলে শ্রী নদীর ওপর অবস্থিত ভবদহ স্লুইসগেট দিয়ে পানিনিষ্কাশন হচ্ছে না। এ অবস্থায় উজানের বৃষ্টির পানির চাপে বিলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে পানি বিলসংলগ্ন গ্রামগুলোতে ঢুকছে।
৮ জুলাই থেকে বৃষ্টি শুরু হয় এবং থেমে থেমে এখনো তা অব্যাহত আছে। মাঝেমধ্যে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বিল কপালিয়ায় প্রস্তাবিত জোয়ারাধার চালু করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এলাকার কোনো বিলে বর্তমানে জোয়ারাধার কার্যকর নেই। ফলে জোয়ারের সঙ্গে আসা পলিতে মুক্তেশ্বরী, শ্রী, হরি ও টেকা নদী ক্রমেই ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানিনিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টির পানিতে বিলগুলো ভরে উঠেছে।
গত সোম ও গতকাল বুধবার গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বাড়িতে পানি ঢুকেছে। গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ বাড়িতে পানি উঠেছে। প্রতিদিন পানি বাড়ছে। তাঁরা জানান, অনেক ঘরে পানি ঢুকেছে। ঘরের মধ্যে মাচা করে সেখানে তাঁরা থাকছেন। অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের অন্তরা মণ্ডল বলেন, ‘বিল জল ভরে ওপরের দিকে এগোচ্ছে। আমার বাড়ি একটু নিচু বলে আগেই তলিয়ে গেছে। খুব কষ্ট হচ্ছে বাড়িতে থাকতে।’ গ্রামের মিহির মণ্ডল বলেন, ‘ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের প্রায় সব বাড়িতে জল উঠে গেছে। অনেকেই ঘরের মধ্যে মাচা তৈরি করে বসবাস করছেন।’
ভবদহ পানিনিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির বলেন, ভবদহ সমস্যার একমাত্র সমাধান জোয়ারাধার বাস্তবায়ন করা। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড বিল কপালিয়ায় জোয়ারাধার বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এলাকার অন্য কোনো বিলেও এখন জোয়ারাধার কার্যকর নেই।
ফলে জোয়ারের সঙ্গে আসা পলিতে নদীগুলো ভরাট হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি নদী দিয়ে বের হতে না পারায় জলাবদ্ধতা শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে জলাবদ্ধতা বাড়ছে। জলাবদ্ধতার দ্রুত নিরসন না হলে এলাকার লোকদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী অখিল কুমার বিশ্বাস বলেন, এলাকার কতিপয় মৎস্যঘের মালিকের বাধার মুখে বিল কাপালিয়ায় জোয়ারাধার বাস্তবায়ন করা যায়নি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চেয়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে যশোরের অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলার প্রায় ২০০ বাড়িঘরে। অভয়নগরের ডহর মশিয়াহাটি গ্রাম থেকে গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো |
No comments