টানা বৃষ্টিতে সড়ক আরও বেহাল by সুজন ঘোষ
বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের সড়কগুলো বেহাল অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। এতে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নগরবাসী। মুরাদপুর সড়কের বিবিরহাট এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো |
টানা
তিন দিনের বৃষ্টিতে আরও বেহাল হয়েছে চট্টগ্রাম নগরের সড়কগুলো। অনেক
সড়কের পিচ উঠে গেছে। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের।
এতে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়। এর আগে গত জুন মাসের শেষের দিকেও টানা বৃষ্টি হয়েছিল। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হিসাবে, ওই সময় নগরের প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার আগে নতুন করে আরও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃষ্টি হলে কিছু সড়ক তো খারাপ হবে। একেকবার বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়া সড়ক সংস্কার করতে প্রায় দুই কোটি টাকা খরচ হয়। বৃষ্টির কারণে বছরে অন্তত তিনবার সড়ক সংস্কার করতে হয়।’
গত সোমবার সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নবনির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তাঁর বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে নবনির্বাচিত মেয়র ক্ষতিগ্রস্ত সব সড়ক দ্রুত মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার নির্দেশ দেন। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পরপরই সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করারও নির্দেশ দেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার ও গত সোমবার নগরের অন্তত ১১টি সড়ক ঘুরে দেখা যায়, নগরের মুরাদপুর সড়কের বিবিরহাট, হামজারবাগ ও ১ নম্বর রেলগেট অংশে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিবিরহাট গরু বাজারের সামনে সড়কের বিশাল অংশ থেকে পিচ উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় আকারের গর্তের। এক জায়গায় বের হয়ে এসেছে ইটের টুকরো।
বিবিরহাট এলাকার ব্যবসায়ী সৈয়দ আহমেদ বলেন, নিয়মিত সড়ক সংস্কার করা হয় না। এর মধ্যে বৃষ্টিতে আরও বেহাল হয়েছে সড়কটি।
সিডিএ অ্যাভিনিউয়ের ২ নম্বর গেটের আশপাশের বিভিন্ন অংশে পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ২ নম্বর গেট থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত এই সড়কে রয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ।
নগরের জে আই মাদ্রাসা সড়কের কাজীর দেউড়ি থেকে চট্টেশ্বরী মোড় পর্যন্ত পুরো সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অংশ হচ্ছে ব্যাটারি গলির সামনের অংশ। এই অংশে পুরো সড়কে বড় আকারের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
বিমানবন্দর সড়কের সল্টগোলা, ২ নম্বর জেটি গেট, ইপিজেড গেট, বন্দরটিলা অংশ বেহাল। বন্দরটিলা এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে যায়। রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়।
নগরের ওয়াসা মোড় থেকে আলমাস মোড় পর্যন্ত রেবতী মোহন লেন, ডিসি হিল এলাকার সড়ক, মেহেদীবাগ সড়ক, ও আর নিজাম সড়ক, আইস ফ্যাক্টরি সড়ক, বায়েজিদ সড়ক, এস এস খালেদ সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন বলেন, এই বৃষ্টিতে অনেক সড়কে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে অনেক সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আপাতত ইট-বালু দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে সড়কের সংস্কারকাজ শুরু হবে।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা বলেন, এবারের বৃষ্টিতে নতুন করে অনেক সড়ক নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে জাকির হোসেন সড়ক, পোর্ট কানেকটিং সড়ক ও আগ্রাবাদ অ্যাকসেস সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ। তিনি বলেন, যেসব সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলে সেগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়। এর আগে গত জুন মাসের শেষের দিকেও টানা বৃষ্টি হয়েছিল। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হিসাবে, ওই সময় নগরের প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার আগে নতুন করে আরও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃষ্টি হলে কিছু সড়ক তো খারাপ হবে। একেকবার বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়া সড়ক সংস্কার করতে প্রায় দুই কোটি টাকা খরচ হয়। বৃষ্টির কারণে বছরে অন্তত তিনবার সড়ক সংস্কার করতে হয়।’
গত সোমবার সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নবনির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তাঁর বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে নবনির্বাচিত মেয়র ক্ষতিগ্রস্ত সব সড়ক দ্রুত মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার নির্দেশ দেন। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পরপরই সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করারও নির্দেশ দেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার ও গত সোমবার নগরের অন্তত ১১টি সড়ক ঘুরে দেখা যায়, নগরের মুরাদপুর সড়কের বিবিরহাট, হামজারবাগ ও ১ নম্বর রেলগেট অংশে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিবিরহাট গরু বাজারের সামনে সড়কের বিশাল অংশ থেকে পিচ উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় আকারের গর্তের। এক জায়গায় বের হয়ে এসেছে ইটের টুকরো।
বিবিরহাট এলাকার ব্যবসায়ী সৈয়দ আহমেদ বলেন, নিয়মিত সড়ক সংস্কার করা হয় না। এর মধ্যে বৃষ্টিতে আরও বেহাল হয়েছে সড়কটি।
সিডিএ অ্যাভিনিউয়ের ২ নম্বর গেটের আশপাশের বিভিন্ন অংশে পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ২ নম্বর গেট থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত এই সড়কে রয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ।
নগরের জে আই মাদ্রাসা সড়কের কাজীর দেউড়ি থেকে চট্টেশ্বরী মোড় পর্যন্ত পুরো সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অংশ হচ্ছে ব্যাটারি গলির সামনের অংশ। এই অংশে পুরো সড়কে বড় আকারের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
বিমানবন্দর সড়কের সল্টগোলা, ২ নম্বর জেটি গেট, ইপিজেড গেট, বন্দরটিলা অংশ বেহাল। বন্দরটিলা এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে যায়। রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়।
নগরের ওয়াসা মোড় থেকে আলমাস মোড় পর্যন্ত রেবতী মোহন লেন, ডিসি হিল এলাকার সড়ক, মেহেদীবাগ সড়ক, ও আর নিজাম সড়ক, আইস ফ্যাক্টরি সড়ক, বায়েজিদ সড়ক, এস এস খালেদ সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন বলেন, এই বৃষ্টিতে অনেক সড়কে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে অনেক সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আপাতত ইট-বালু দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে সড়কের সংস্কারকাজ শুরু হবে।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা বলেন, এবারের বৃষ্টিতে নতুন করে অনেক সড়ক নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে জাকির হোসেন সড়ক, পোর্ট কানেকটিং সড়ক ও আগ্রাবাদ অ্যাকসেস সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ। তিনি বলেন, যেসব সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলে সেগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
No comments