খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে বাদীকে জেরা
আদালত প্রাঙ্গণে গতকাল খালেদা জিয়া |
বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির
মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর পক্ষে বাদীকে জেরা করা হয়েছে। জেরা শেষ না
হওয়ায় বাকি জেরার জন্য আগামী ৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ তারিখ ধার্য করেন। একই আদালতে বিচারাধীন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিও ৩ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। খালেদা জিয়া গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কার্যক্রম চলাকালে আইনজীবীদের মধ্য থেকে একজন আদালতকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করেন। এতে বিচারক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ধরনের কথা যাঁরা বলেন, আইনের ভাষায় তাঁরা সন্ত্রাসী।’ খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন এ জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ দুই মামলায় খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মোট নয়জন আসামি। সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকায় গতকাল সকাল থেকে বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাস এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। সকাল সোয়া ১০টার দিকে খালেদা জিয়া আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। সাড়ে ১০টার দিকে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। বিচারক কার্যক্রমের শুরুতে আইনজীবী, আসামিসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। আইনজীবীরাও বিচারককে শুভেচ্ছা জানান। এ দুই মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশীদকে খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। খালেদা জিয়া এ সময় হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন।
জেরা: আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জেরায় বাদীকে বলেন, ‘আপনি মামলার বাদী হিসেবে এজাহার করেছেন। এজাহারে ঘটনার তারিখ ও সময় বলেছেন ২০০৫ সালের ৯ থেকে ১৯ জানুয়ারি। আর আদালতে সাক্ষ্যে বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল। কোনটি সত্যি?’ জবাবে বাদী বলেন, দুটিই সত্য।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এই মামলাটি করা হয়েছে, সত্য কি না—এ প্রশ্নে বাদী বলেন, সত্য।
মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে—আইনজীবীর এ কথায় বাদী বলেন, এটি সত্য নয়।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে নাইকো, নভো থিয়েটার, মেঘনা পাওয়ার প্ল্যান্ট, মিগ-২৯ ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে ১৫টি মামলা হয়েছিল। দুদক এই মামলাগুলো করেছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাগুলো ‘আমার ভাষায় হাওয়া হয়ে গেছে’ আর আইনের ভাষায় বাতিল হয়েছে। এই মামলাগুলোর রায়ের বিরুদ্ধে দুদক উচ্চ আদালতে আপিল করেনি। দুদক যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে, তার হয়ে কাজ করে। বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এ মামলা করা হয়েছে।
জবাবে সাক্ষী হারুন অর রশীদ বলেন, দুদক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ মামলা করেছে, এটা সত্য নয়। এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেনকে বলেন, বিলিয়ন মানে কী?
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আপনি মামলার বিষয়বস্তুর বাইরে সাক্ষীকে জেরা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়টি মামলা ছিল, কোন আদালত থেকে কয়টিতে খালাস পেয়েছেন, তা সংশ্লিষ্ট আদালতের বিষয়, এই মামলার বিষয়বস্তু নয়। সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী আপনি মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়—এমন বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন না।’
এ পর্যায়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতকে বলেন, এই প্রশ্ন করার কারণ, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নূর আলী ও আজম জে চৌধুরী মামলা করেছিলেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাঁরাই আবার মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ সময় বিচারক বলেন, একজনের বিষয়ে জেরা করতে অন্যজনকে হেয় করা ঠিক না।
এ পর্যায়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন জেরা মুলতবি রাখার আবেদন জানান। আদালত প্রথমে ৩০ জুলাই তারিখ ধার্য করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তারিখ পরিবর্তনের মৌখিক আবেদন জানান। এ সময় আইনজীবীদের মধ্য থেকে একজন আদালতকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করেন। বিচারক এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন আইনজীবীদের পক্ষ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। পরে আদালত ৩ আগস্ট তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে আরও অংশ নেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, সানাউল্লাহ মিয়া, মহসীন মিয়া, সাজ্জাদ হায়দার প্রমুখ।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ তারিখ ধার্য করেন। একই আদালতে বিচারাধীন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিও ৩ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। খালেদা জিয়া গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কার্যক্রম চলাকালে আইনজীবীদের মধ্য থেকে একজন আদালতকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করেন। এতে বিচারক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ধরনের কথা যাঁরা বলেন, আইনের ভাষায় তাঁরা সন্ত্রাসী।’ খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন এ জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ দুই মামলায় খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মোট নয়জন আসামি। সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকায় গতকাল সকাল থেকে বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাস এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। সকাল সোয়া ১০টার দিকে খালেদা জিয়া আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। সাড়ে ১০টার দিকে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। বিচারক কার্যক্রমের শুরুতে আইনজীবী, আসামিসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। আইনজীবীরাও বিচারককে শুভেচ্ছা জানান। এ দুই মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশীদকে খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। খালেদা জিয়া এ সময় হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন।
জেরা: আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জেরায় বাদীকে বলেন, ‘আপনি মামলার বাদী হিসেবে এজাহার করেছেন। এজাহারে ঘটনার তারিখ ও সময় বলেছেন ২০০৫ সালের ৯ থেকে ১৯ জানুয়ারি। আর আদালতে সাক্ষ্যে বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল। কোনটি সত্যি?’ জবাবে বাদী বলেন, দুটিই সত্য।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এই মামলাটি করা হয়েছে, সত্য কি না—এ প্রশ্নে বাদী বলেন, সত্য।
মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে—আইনজীবীর এ কথায় বাদী বলেন, এটি সত্য নয়।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে নাইকো, নভো থিয়েটার, মেঘনা পাওয়ার প্ল্যান্ট, মিগ-২৯ ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে ১৫টি মামলা হয়েছিল। দুদক এই মামলাগুলো করেছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাগুলো ‘আমার ভাষায় হাওয়া হয়ে গেছে’ আর আইনের ভাষায় বাতিল হয়েছে। এই মামলাগুলোর রায়ের বিরুদ্ধে দুদক উচ্চ আদালতে আপিল করেনি। দুদক যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে, তার হয়ে কাজ করে। বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এ মামলা করা হয়েছে।
জবাবে সাক্ষী হারুন অর রশীদ বলেন, দুদক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ মামলা করেছে, এটা সত্য নয়। এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেনকে বলেন, বিলিয়ন মানে কী?
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আপনি মামলার বিষয়বস্তুর বাইরে সাক্ষীকে জেরা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়টি মামলা ছিল, কোন আদালত থেকে কয়টিতে খালাস পেয়েছেন, তা সংশ্লিষ্ট আদালতের বিষয়, এই মামলার বিষয়বস্তু নয়। সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী আপনি মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়—এমন বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন না।’
এ পর্যায়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতকে বলেন, এই প্রশ্ন করার কারণ, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নূর আলী ও আজম জে চৌধুরী মামলা করেছিলেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাঁরাই আবার মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ সময় বিচারক বলেন, একজনের বিষয়ে জেরা করতে অন্যজনকে হেয় করা ঠিক না।
এ পর্যায়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন জেরা মুলতবি রাখার আবেদন জানান। আদালত প্রথমে ৩০ জুলাই তারিখ ধার্য করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তারিখ পরিবর্তনের মৌখিক আবেদন জানান। এ সময় আইনজীবীদের মধ্য থেকে একজন আদালতকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করেন। বিচারক এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন আইনজীবীদের পক্ষ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। পরে আদালত ৩ আগস্ট তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে আরও অংশ নেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, সানাউল্লাহ মিয়া, মহসীন মিয়া, সাজ্জাদ হায়দার প্রমুখ।
No comments